প্রয়োজন হলে বাকি জীবন দেশের জন্য উৎসর্গ করতে চান জুলাইয়ের গাজী খোকন চন্দ্র বর্মণ। আজ বুধবার গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশস্থলে দেওয়া বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি। এ সময় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
১ জুলাই থেকে দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এর মধ্যে দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় এই কর্মসূচি পালন করেছে দলটি। মাসব্যাপী এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ গোপালগঞ্জে পদযাত্রা করছে দলটি। গতকাল মঙ্গলবার দলের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এই কর্মসূচিকে ১৬ জুলাই: মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।
গত বছরের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গুলিতে মুখমণ্ডলে গুরুতর আঘাত পান খোকন চন্দ্র বর্মণ (২৩)। হামলায় তাঁর ওপরের ঠোঁট, মাড়ি, নাক, তালু, বাঁ চোখের কোনো অস্তিত্ব নেই। সে জায়গায় বড় একটি গর্ত তৈরি হয়েছে। সরকারি খরচে গত ২১ ফেব্রুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য খোকনকে রাশিয়ায় নেওয়া হয়। রাশিয়ায় কয়েক ধাপে অস্ত্রোপচার হবে খোকনের। সেসব অস্ত্রোপচারে খোকনের মুখের অবয়ব তৈরি, নাক পুনর্গঠন ও বাঁ চোখে কৃত্রিম চোখ স্থাপন করা হবে।
খোকন পেশায় গাড়িচালক ছিলেন। গত বছরের ৫ আগস্ট দুপুরে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার সামনে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। ওই দিনের একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, গুলিতে খোকনের ঠোঁট, মাড়ি, নাক-মুখের অংশের মাংস প্রায় খুলে পড়ছে। তাঁর মুখ ও পুরো শরীর রক্তাক্ত। এ অবস্থায়ও তিনি একজনের হাত ধরে উঠে দাঁড়ান। খোকন নিজেই আঙুলের ছাপ দিয়ে মুঠোফোনের লক খোলেন। সেই মুঠোফোন থেকেই একজন খোকনের বড় ভাই খোকা চন্দ্র বর্মণকে গুলি লাগার খবর দেন। খোকনের বাবা কিনা চন্দ্র বর্মণ রাজধানীর একটি হাসপাতালে শাকসবজি, মাছ-মাংস সরবরাহ করেন। মা রীনা রানী দাস এক বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করেন। খোকনের ছোট ভাই শুভ চন্দ্র বর্মণ চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ছে। খোকন পড়েছেন পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত।
আপনার মতামত লিখুন :