জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ‘জুলাই সনদ’-এর উদ্দেশ্য প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত তার দল নির্বাচনে অংশ নেবে না। তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য ধরে রাখতে ব্যর্থ হলে দেশে ‘আরেকটি ১/১১’র মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে (কেআইবি) আয়োজিত এক যুব সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন। এনসিপির যুব সংগঠন ‘জাতীয় যুবশক্তি’ এই সম্মেলনের আয়োজন করে। এ সময় দেশের প্রতিরক্ষার অংশ হিসেবে তরুণদের সামরিক প্রশিক্ষণের আওতায় আনার প্রস্তাব দেন নাহিদ ইসলাম।
২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তির পর রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘সমীকরণ এখনও শেষ হয়নি। যারা এখনই সমীকরণ মিলিয়ে ফেলছে, তারা ভুল পথে হাঁটছে।’ তিনি উল্লেখ করেন, গত এক বছর তার দল বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছাড় দিলেও ‘জুলাই সনদ’-এর প্রশ্নে একবিন্দুও ছাড় দেওয়া হবে না।
ঐক্যের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘নিজেদের মধ্যে ঐক্য ধরে রাখতে না পারলে আরেকটি ১/১১ আসবে।’ তার মতে, দেশে নির্বাচন প্রয়োজন, তবে তা অবশ্যই ‘পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে’ হতে হবে এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে হবে।
ভাষণের এক পর্যায়ে তিনি দেশের প্রতিরক্ষার অংশ হিসেবে তরুণদের সামরিক প্রশিক্ষণের আওতায় আনার প্রস্তাব দেন। নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘জাতীয় প্রতিরক্ষার অংশ হিসেবে তরুণদের গড়ে তুলতে হবে। তাদের সামরিকভাবে ট্রেনিং করতে হবে। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য তরুণদের সবসময়ের জন্য প্রস্তুত করে রাখতে হবে।’
অভ্যন্তরীণ সংস্কারের ওপর গুরুত্বারোপ করে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, “সংশোধন ও সংস্কার নিজেদের ঘর থেকে শুরু করতে হবে। চাঁদাবাজি কোনও রাজনৈতিক দলের ভাবমূর্তির জন্য ভালো নয়।” তিনি দলে সুযোগ সন্ধানীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন।
নাহিদ ইসলাম তার দল ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’ এবং এর যুব সংগঠন ‘জাতীয় যুবশক্তি’কে রাজপথ থেকে গড়ে ওঠা সংগঠন হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ক্ষমতার নির্ধারকরা যদি তরুণদের সঙ্গে প্রতারণা করে, তবে দেশের ভবিষ্যৎ ভালো হবে না।