ঢাকা শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫

আগামী নির্বাচনে আ. লীগ ও জাতীয় পার্টির অংশগ্রহণের সুযোগ নেই: আখতার হোসেন

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৫, ২০২৫, ০৬:১৬ এএম
বক্তব্য দেন এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, ‘আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মতো জাতীয় পার্টিকেও অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া যাবে না। কারণ বিগত দিনে তারা দলটির সহযোগী হিসেবে ভূমিকা রেখেছে। তাদের কারণেই ফ্যাসিবাদ দীর্ঘায়িত হয়েছে। এখনও তারা বড় বড় কথা বলছে। খুনিদের পক্ষে সাফাই গাইছে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘তাই এ দুটি দলকেই নির্বাচনের বাইরে রাখতে হবে। কারণ তারা আবার ক্ষমতায় আসলে দেশকে ভারতের করদরাজ্যে পরিণত করবে। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দেওয়ার প্রক্রিয়া সরকারকে টেবিলেই শেষ করতে হবে।’

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টায় রাজধানীর শাহবাগে শহিদ আবু সাঈদ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে দলের ঢাকা জেলা ও দুই মহানগর শাখার সমন্বয় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আখতার হোসেন। সভায় ঢাকা জেলা ও দুই মহানগরের থানা সমন্বয়কারীরা নিজেদের বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ‘জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর দাবি সত্ত্বেও সরকার কথা না শুনে সই অনুষ্ঠান করেছে। এত দিন পরও সরকার এ বিষয়টি এখনও খোলাসা করেনি। আমরা মনে করি, সেদিন আমরা সই করলে সনদে অপমৃত্যু হতো। তাই অতি দ্রুত এটি বাস্তবায়ন করতে হবে। টেবিলেই এর সমাধান করতে হবে। নব্বইয়ের মতো কাগুজে সিদ্ধান্ত হলে আমরা আবার রাজপথে নামবো।’

আখতার হোসেন বলেন, ‘অনেকে শুধু নির্বাচনী রাজনীতির বিষয়টিকে সামনে আনতে চেয়েছিলেন। অথচ আমরা সংস্কার প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়েছি। শুধু আমাদের দাবির প্রেক্ষিতেই ঐকমত্য কমিশন সংস্কার প্রক্রিয়াকে এ পর্যন্ত নিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছে।’

এনসিপির সদস্য সচিব বলেন, ‘কোনও একটি দলের সিদ্ধান্তের কারণে আরপিও সংশোধন করতে চাইলে মনে করবো এর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার লন্ডনে বৈঠকের যোগসূত্র রয়েছে। অতীতের মতো এবার আমরা ডিজিএফআইয়ের নির্বাচন চাই না।’

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এখনও মানুষের মানবিক মর্যাদা নির্ধারণ করা যায় না। দিন মজুর ও খেটে খাওয়া মানুষের অধিকার ক্ষুন্ন হচ্ছে। আমরা দলবাজির রাজনীতি চাই না। মানুষের জন্য রাজনীতি করতে চাই। এ জন্য ব্যক্তিগত কার্যক্রমে দলকে সম্পৃক্ত না করাই ভালো। অনেক সময় নেতিবাচক খবর আমাদের দুঃখ দেয়।’

আখতার হোসেন বলেন, ‘একজন ইমামকে গুম করা হয়েছে। আমরা গুমের ঘটনা দেখতে চাই না। এনসিপি দেশের সব মানুষের পক্ষে কাজ করবে, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে। নতুন বাংলাদেশের রাজনীতি গড়ে তুলতে হলে সংখ্যার পরিবর্তে যোগ্যতাকে প্রাধান্য দিতে হবে।’

সমন্বয় সভায় আরও বক্তব্য দেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ এবং জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব নাহিদা সারওয়ার নিভা প্রমুখ।

তবে সভায় দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে তালিকাভুক্ত থাকলেও তিনি উপস্থিত ছিলেন না।