জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, বাংলাদেশের প্রত্যেকটি জেলায় আমরা আমাদের আহ্বায়ক কমিটি করার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। এরইমধ্যে উত্তরাঞ্চলের ৩২টি জেলার মধ্যে ২০টি জেলার আহ্বায়ক কমিটি হয়েছে। আমরা আশা করছি ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি ওয়ার্ড পর্যন্ত এনসিপির আহ্বায়ক কমিটি হবে।
রোববার (২৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর শাহবাগের শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, দেশের প্রতিটি জেলায় আহ্বায়ক কমিটি গঠনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। উত্তরাঞ্চলের ৩২ জেলার মধ্যে ইতোমধ্যে ২০ জেলায় আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যেই দেশের প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিটি গঠন সম্পন্ন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সারজিস বলেন, দেশের প্রচলিত রাজনৈতিক দলগুলো অতীতের মতো মাঠ পর্যায়ে আগের রাজনৈতিক সমীকরণে ভরসা করে আছে। আগে মানুষ দলের নাম বা প্রতীক দেখে ভোট দিত, কিন্তু এখন মাঠের বাস্তবতা পরিবর্তিত হয়েছে। তিনি বলেন, যারা ভাবছেন নির্বাচনের কয়েকদিন আগে মাঠে গিয়ে আগের মতো জিতে আসা যাবে তাদের আমরা বলবো, সময় থাকতে মাঠে গিয়ে জনগণের কথা শুনুন। জনগণের ভোগান্তি, অভিযোগ ও বাস্তব সমস্যার কথা বুঝতে হবে।
তিনি অভিযোগ করেন, কিছু জেলায় স্থানীয় পর্যায়ের নেতাকর্মীদের কর্মকাণ্ডে সাধারণ মানুষ হয়রানি ও ভোগান্তিতে পড়ছে। এতে মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে এবং আগের মতো ভোটে জিতে আসা আর সম্ভব হবে না।
সারজিস আলম বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এখন আর অন্ধ হয়ে কোনো দলকে ভোট দেবে না। বয়স, প্রতীক বা পুরোনো দলের প্রভাবের ওপর নির্ভর করে কেউ আর বিজয়ী হতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, এনসিপির সাংগঠনিক ভিত্তিকে শক্তিশালী করাই এখন মূল লক্ষ্য। এজন্য উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে কমিটি গঠনের কাজ দ্রুত এগোচ্ছে। তিনি জানান, আগামী নির্বাচনে শক্ত অবস্থান নিয়ে সংসদে যেতে হলে শক্তিশালী সাংগঠনিক কাঠামোর কোনো বিকল্প নেই।


