নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই এ ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকান পার্টি। আগামী ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। আমেরিকায় নির্বাচনে ভোটারদের ভোটের পাশাপাশি কলেজ ইলেকট্রোলাআমেরিকারর ভোটের উপর নির্ভর করতে হয়। আর ৭ দিন পর যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন। ডেমোক্রেট কামালা হারিস ও রিপাবলিকান ট্রাম্প সারা ব্আমেরিকা শেষ মুহুর্তের ক্যাম্পইনে ব্যাস্ত।
দুই প্রার্থীর ব্যবধান খুব কাছাকাছি। দুই শিবিরের শেষ ভরসা মুসলিম ভোটার। মুসলিম্ ভোটারদের টানার চেস্টা করছেন দুই শিবির। আর মুসলিমদের এবারের পছন্দ গ্রিন পার্টির জিল স্টেইন।নানা কারনে ডেমোক্রেট পার্টিই ছিল মুসলিমদের ভরসা, এবারই প্রথম ডেমোক্রেটরা মুসলিম ভোট পাবে না। গাজা ইসুতে জো বাইডেন প্রশাসন এর নীতির কারনে এবার মুসলিম সম্প্রদায় কামালা হারিসকে ভোট দিচ্ছেন না। চারটি সুয়ি্ং স্টেটের বড় দুটো মিশিগান ও পেনসেলভেনিয়ায় মুসলিম ভোটার বেশী। এই মুহুর্তে ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকান এর ব্যবধান প্রায় সমান সমান। তাই মিশিগান,, পেনসেলভেনিয়া ও মিনোসোটা এবার রেজাল্ট এর মুড় ঘোরাবে।
ট্রাম্প মুসলিম ভোটার টানার জন্য সব ধরনের যুদ্ব বন্ধের আশ্বাস দিচ্ছেন। এবারের নির্বাচনে এত ভুল করার পরও ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা টলেনি বললেই চলে। অন্যদিকে নির্বাচনি প্রচরণায় এ পর্যন্ত বড় ধরণের কোনো ভুল না করলেও হ্যারিস তার জনপ্রিয়তা খুব একটা বাড়াতে পারেননি। তবু এখন পর্যন্ত আসন্ন নির্বাচনের ফলাফল অনুমান করা দুরূহ, অন্তত জনমত জরিপগুলো থেকে নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের রণবাদ্য বাজছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সারা বিশ্ব তাকিয়ে আছে ৫ নভেম্বর এর রেজাল্ট এর উপর। বিশ্বের নানা দেশের ভাগ্যও নির্ভর করে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন এর ফলাফলের উপর। মধ্যপ্রাচ্যের নানা সমস্যা সমাধান ও গাজায় যুদ্ব বিরতি সহ অনেক কিছুই আটকে আছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের ভাগ্যও অনেকটা নির্ভর করছে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন এর পর।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইলেকটোরাল কলেজের মোট আসন সংখ্যা ৫৩৮টি। এই নির্বাচনে বিজয়ী হতে হলে কমপক্ষে ২৭০টি ইলেকটোরাল ভোট পেতে হয়। প্রতিটি রাজ্যের জন্য ইলেকটোরাল আসন সংখ্যা রাজ্যটির জন্য বরাদ্দকৃত সিনেট ও প্রতিনিধি পরিষদের মোট আসন সংখ্যার সমান। অর্থাৎ, কোনো একটি অঙ্গরাজ্যের প্রতিনিধি পরিষদে যতগুলো আসন আছে, তার সাথে অঙ্গরাজ্যটির জন্য বরাদ্দ থাকা দুটি সিনেট আসন যোগ করে ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা পাওয়া যায়। তবে ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়াকে আলাদাভাবে সম্মানসূচকভাবে তিনটি ইলেকটোরাল ভোট বরাদ্দ করা হয়েছে।
বর্তমানে ক্যালিফোর্নিয়ায় ৫৫টি, টেক্সাসে ৩৮টি, ফ্লোরিডায় ২৯টি, নিউইয়র্কে ২৯টি, পেনসিলভানিয়ায় ২০টি, ইলিনয়ে ২০টি, ওহাইওতে ১৮টি, জর্জিয়ায় ১৬টি, মিশিগানে ১৬টি, নর্থ ক্যারোলাইনায় ১৫টি, নিউজার্সিতে ১৪টি, ভার্জিনিয়ায় ১৩টি, ওয়াশিংটন ডিসিতে ১২টি, ইন্ডিয়ানায় ১১টি, টেনেসিতে ১১টি, অ্যারিজোনায় ১১টি, ম্যাসাচুসেটসে ১১টি,মিনেসোটায় ১০টি, উইসকনসিনে ১০টি, মিসৌরিতে ১০টি, ম্যারিল্যান্ডে ১০টি, সাউথ ক্যারোলাইনায় ৯টি,কলোরাডোয় ৯টি, আলাবামায় ৯টি, কেন্টাকিতে ৮টি, লুইজিয়ানায় ৮টি, ওরিগনে ৭টি, কানেকটিকাটে ৭টি, ওকলাহোমায় ৭টি, কানসাসে ৬টি, আইওয়াতে ৬টি, আরকানসাসে ৬টি, নেভাদায় ৬টি, ইউটায় ৬টি, মিসিসিপিতে ৬টি, নেব্রাস্কায় ৫টি, ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ায় ৫টি, নিউ মেক্সিকোতে ৫টি, আইডাহোতে ৪টি, রোড আইল্যান্ডে ৪টি, হাওয়াইতে ৪টি, নিউ হ্যাম্পশায়ারে ৪টি, মন্টানায় ৩টি, নর্থ ডাকোটায় ৩টি, ভারমন্টে ৩টি, মেইনে ৪টি, ডেলাওয়ারে ৩টি, ওয়াইওমিংয়ে ৩টি, সাউথ ডাকোটায় ৩টি, আলাস্কায় ৩টি এবং ডিস্ট্রিক্ট অব কলাম্বিয়াতে ৩টি ইলেকটোরাল ভোট রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আগাম ভোট ও পোস্টাল ভোট শুরু হয়ে গেছে।
এবারের নির্বাচনে মার্কিন জনগনের তেমন কোন উচ্ছাস নেই। ডেমোক্রেট কামালা হারিস জো বাইডেনের টীম আবার বহুল বিতর্কিত রিপাবলিকান ট্রাম্প ও অনেকের অপছন্দের। তাই নির্বাচন এর ইস্যুটা মার্কিন নাগরিকরদের কাছে এবার ফ্যাকাসে । জব মার্কেট ভাল, ইকোনমি ও অনেক ভাল তাই মাার্কিন জন জীবনে তেমন প্রভাব পড়ছেনা মার্কিন নির্বাচন। তবে রিপাবলিকান ট্রাম্প পাশ করলে যুূ্দ্ব বন্ধ হতে পারে বলে অনেকের ধারনা।
তবে এবারের ৭ জন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ক্যান্ডিডেটের মধ্যে গ্রীন পার্টির জিল স্টেইন অনেক পপুলার।
আপনার মতামত লিখুন :