কর্মসংস্থান ও উন্নত জীবনের জন্য স্থায়ীভাবে বসবাসের ইচ্ছুক মানুষের কাছে সিঙ্গাপুর এক স্বপ্নের ঠিকানা হয়ে উঠেছে। দেশটির পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি (পিআর) ব্যবস্থা এই সুযোগকে আরও সহজলভ্য করে দিয়েছে। পিআর পাওয়া গেলে দেশটিতে দীর্ঘমেয়াদে বসবাস ও কাজ করার নিশ্চয়তা মেলে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সিঙ্গাপুরের পিআর ব্যবস্থা বিদেশি পেশাজীবী, বিনিয়োগকারী এবং দক্ষ কর্মীদের জন্য একটি বড় সুযোগ। অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থা এবং উচ্চমানের স্বাস্থ্যসেবা এ সুযোগকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে।
আবেদন করতে পারবেন যারা
সিঙ্গাপুরের পিআর ভিসা একজন বিদেশিকে নির্দিষ্ট শর্তে দেশটিতে স্থায়ীভাবে থাকার অনুমতি দেয়। অনুমোদন পেলে আবেদনকারী পান নীল রঙের পরিচয়পত্র, যা স্থায়ী বাসিন্দার পরিচয় হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
. যারা ছাত্র হিসেবে অন্তত দুই বছর ধরে সিঙ্গাপুরে বসবাস করেছেন।
. ২১ বছরের নিচে এবং যাদের জন্ম সিঙ্গাপুরের নাগরিক বা পিআর হোল্ডারের পরিবারে।
. সিঙ্গাপুরের নাগরিক বা পিআর হোল্ডারের জীবনসঙ্গী।
. সিঙ্গাপুরে দীর্ঘদিন কর্মরত বিদেশি, যাদের কর্মসংস্থান পাস, এস পাস বা অন্য বৈধ পাস রয়েছে।
. দেশটিতে বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৬৮ কোটি বিনিয়োগ করা বিদেশি উদ্যোক্তা।
. নাগরিক বা পিআর হোল্ডারের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিরাও এ সুযোগ পান।
আবেদন করতে প্রয়োজনীয় নথি
আবেদনকারীর পাসপোর্ট, বৈধ ভ্রমণ নথি ও ইমিগ্রেশন পাস, কর্মসংস্থান পাস (যদি থাকে), জন্ম সনদ, শিক্ষাগত সনদপত্র, সাম্প্রতিক বেতন স্লিপ, স্পন্সরের পরিচয়পত্র, পূর্ববর্তী নিয়োগকর্তার সুপারিশপত্র, বিবাহ সনদ (যদি থাকে) এবং স্বামী বা স্ত্রীর শিক্ষাগত ও চাকরির নথি জমা দিতে হবে। নথিগুলো ইংরেজিতে না থাকলে নোটারিকৃত অনুবাদ দিতে হবে।
আবেদন প্রক্রিয়া
. প্রথমে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড চেকপয়েন্টস অথরিটি (আইসিএ) এর ওয়েবসাইটে গিয়ে যোগ্যতার স্কিম যাচাই করতে হবে।
. সিংপাস ব্যবহার করে অনলাইনে আইসিএ’র পোর্টালে লগইন করতে হবে।
. আবেদনপত্র পূরণ ও প্রয়োজনীয় নথি আপলোড করতে হবে।
. ফি হিসেবে প্রায় ৬ হাজার ৮৩৪ টাকা জমা দিতে হবে, যা ফেরতযোগ্য নয়।
. প্রক্রিয়া সাধারণত ৪ থেকে ৬ মাস সময় নেয়, তবে কখনো আরো বেশি লাগতে পারে।
. অনুমোদন হলে এনআরআইসি (আইডি কার্ড) ও পুনঃপ্রবেশের অনুমতিপত্র নিতে হবে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন