শুক্রবার, ০২ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৮, ২০২৪, ০২:০৬ পিএম

যে কাজের বিনিময়ে পেতে পারেন জান্নাত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৮, ২০২৪, ০২:০৬ পিএম

যে কাজের বিনিময়ে পেতে পারেন জান্নাত

ছবি, সংগৃহীত

হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদিসে জানান, ‘যে ব্যক্তি আমাকে তার দুই চোয়ালের মধ্যবর্তী জিনিস (জিহ্বা) এবং দুই উরুর মধ্যবর্তী জিনিসের (লজ্জাস্থান) হেফাজতের নিশ্চয়তা দিবে। আমি তার জন্য, জান্নাতের নিশ্চয়তা দেব’।

হাদিসে বর্ণিত এই তাৎপর্যপূর্ণ বক্তব্য বর্তমান প্রেক্ষাপটে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বর্তমান সমাজের বাস্তবতা হচ্ছে, দুনিয়ার যত গোনাহ, মারামারি, কাটাকাটি, দাঙ্গা-হাঙ্গামা, জেল-জুলুম, খুন-খারাবি, নারী-নির্যাতন, বেহায়াপনা, অশ্লীলতা থেকে শুরু করে যত ধরনের অপরাধ সংঘটিত হয়- তার প্রধান কারণ এ দু’টিই জিনিস।

জিহ্বার অসংলগ্নতা- যাতে খারাপ ভাষা, যেমন সম্পৃক্ত, তেমনি পেটের চাহিদা পূরণ করার জন্য কৃত অপরাধ কিংবা কুপ্রবৃক্তি। মানুষ যদি নামাজ-রোজা ইত্যাদি ব্যক্তিগত আমলে ত্রুটি করে তবে তার কুফল ও পরিণতি ওই ব্যক্তি পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকে। অথচ জিহ্বা ও লজ্জাস্থানের অসংলগ্নতার কারণে সমাজের সর্বত্র এর কুপ্রভাব বিস্তার লাভ করে থাকে। এমনকি অবশেষে তা পুরো সমাজকে ধ্বংসের অতলে ডুবিয়ে ছাড়ে।

ইসলাম উপযুক্ত কারণেই এ দু’টি অসংলগ্নতা দূর করার শিক্ষা প্রদানের পাশাপাশি পূর্ণাঙ্গ আহকাম দান করেছে। জৈবিক চাহিদা হচ্ছে, মানুষের সহজাত, যার ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থায় কাঙ্ক্ষিত। পবিত্রতার সঙ্গে তার প্রয়োগ করতে পারলে তা জীবনে প্রশান্তি আনয়ন করে। এটা মানব সৃষ্টির ধারা টিকিয়ে রাখার উপায়। এর মাধ্যমে সম্পর্ক ও ভালোবাসা মজবুত বন্ধনে স্থাপিত হয়। কিন্তু এ চাহিদা যদি সীমালঙ্ঘন করে আর পশুত্বসূলভ পথ অবলম্বন করে, তাহলে পুরো জীবন ধারাকে পারস্পারিক সম্পর্ক ও বন্ধন কেবলই কৃত্রিমতার রূপ প্ররিগ্রহ করে। চারিত্রিক ও শারীরিক অসুখের ব্যাপকতা দেখা দেয়। পারস্পরিক হিংসা ও বিদ্বেষের দহন বাড়তে থাকে। ঐক্যবদ্ধ কর্মপন্থায় ব্যাঘাত ঘটে।

যে সব কাজের মাধ্যমে মানুষের চিন্তাধারা বিকৃত হতে পারে, যার দ্বারা তাদের কুপ্রবৃত্তি লাগামহীন হতে পারে। যার কারণে, জৈবিক উন্মাদনা বাড়তে পারে এবং যা সমাজের মধ্যে কোনো না কোনোভাবে নগ্নতা ও অশ্লীলতা ছড়ানোর জন্য দায়ী- ইসলাম এসব কিছুর পথ গোড়াতেই বন্ধ করে দিয়েছে।

এ লক্ষ্য অর্জনের জন্যই পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘হে নবী! আপনি মুসলমানদের বলে দিন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি অবনত রাখে এবং নিজেদের লজ্জাস্থানের হেফাজত করে। এটা তাদের জন্য পবিত্রতার মাধ্যম। নিশ্চয় আল্লাহ সব কিছু জানেন যা কতিপয় লোক করে থাকে। ’ -সূরা আন নূর : ৩০

কোরআনে কারিমে বারবার সমগ্র সমাজ কাঠামোতে মানুষের কামনা-বাসনা, পূতঃপবিত্র রাখার জন্য প্রচারমাধ্যমকে সতর্ক করা হয়েছে। এ জাতীয় অসংখ্য নির্দেশনা দ্বারা মানুষের কান, চোখ অন্তর এবং তার সমস্ত ধ্যান- ধারণার ওপর আল্লাহর ভয় ও পরকাল ভাবনার ব্যাপারটি প্রয়োগ করা হয়েছে। এত কিছুর পরও যদি কোনো সুযোগ তালাশের মাধ্যমে অসদুপায় অবলম্বন করে- তবে তার জন্য রয়েছে ভয়াবহ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি।

পবিত্র কোরআনের নির্দেশনা ও প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শিক্ষার প্রভাব এমন ছিল যে, নবী আমলের লোকেরা নিষ্কলুষ চরিত্র, সতীত্ব ও পবিত্রতা এবং জৈবিক চাহিদা নিয়ন্ত্রণ করার ব্যাপারে সমগ্র পৃথিবীতে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল। সত্যিকারের মুসলমানদের এমন চরিত্রের হওয়া দরকার।

আমাদের সামনে বেহায়াপনা ও চারিত্রিক স্খলনের যে সব কাহিনী দৃশ্যমান- তা খুবই পীড়াদায়ক। বর্তমানে অন্য সব অসৎ ক্রিয়া-কর্মের সঙ্গে এ বিষয়টি সমাজের প্রকৃতিকে অস্বাভাবিক ক্ষিপ্রতায় বদলে দিচ্ছে। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। 

আরবি/এস

Link copied!