আল্লাহ সর্বশক্তিমান, তার রহমত অসীম। কোরআন-হাদিসে দোয়া করার গুরুত্ব বারবার উল্লেখ করা হয়েছে।
আল্লাহ বলেন, তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব। (সুরা মু’মিন: ৬০)। তবে কিছু কারণে বান্দার দোয়া আল্লাহর দরবারে গ্রহণযোগ্য হয় না।
হাদিস ও আলেমদের ব্যাখ্যা অনুযায়ী পাঁচ ধরনের মানুষের দোয়া কবুল হয় না-
১. হারাম খাদ্যগ্রহণকারী
যারা হারাম উপার্জন, হারাম খাবার ও পানীয় গ্রহণ করে, তাদের দোয়া কবুল হয় না।
রাসুল (সা.) বলেন, হারাম খাদ্য, পানীয় ও বস্ত্র দোয়া কবুলের অন্তরায়। (আল মুজামুল আওসাত : ৬৪৯৫)
২. হতাশ হয়ে পড়া ব্যক্তি
যে ব্যক্তি দোয়া করে হতাশ হয়ে যায় এবং ভাবে যে দোয়া কবুল হলো না, তার দোয়া গ্রহণ করা হয় না।
হাদিসে এসেছে, তোমাদের প্রত্যেকের দোয়া কবুল হয় যদি না সে তাড়াহুড়ো করে। (বোখারি : ৬৩৪০)
৩. দায়িত্ব অবহেলা করা ব্যক্তি
যে আল্লাহর নির্দেশিত দায়িত্ব পালন করে না এবং অন্যায় প্রতিরোধ করে না, তার ওপর আল্লাহ শাস্তি নাজিল করেন এবং তখন তার দোয়া কবুল হয় না। (তিরমিজি : ২১৬৯)
৪. আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী
যে আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করে, তার দোয়া কবুল হয় না। হাদিসে সতর্ক করা হয়েছে যে, সম্পর্ক ছিন্নকারীরা জান্নাতে প্রবেশ করবে না এবং তাদের দোয়া গ্রহণযোগ্য হবে না। (আত-তারগীব : ১৬৩৩)
৫. অমনোযোগী ব্যক্তি
যখন কেউ মনোযোগ ছাড়া দোয়া করে, আল্লাহ তার দোয়া কবুল করেন না।
নবীজি (সা.) বলেছেন, পূর্ণ আস্থা নিয়ে দোয়া করো, কারণ আল্লাহ অসাড় মনের দোয়া কবুল করেন না। (তিরমিজি : ৩৪৭৯)
দোয়া কবুলের জন্য হালাল রিজিক গ্রহণ, আল্লাহর প্রতি আস্থা রাখা, দায়িত্ব পালন, আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা ও মনোযোগ দিয়ে দোয়া করার ওপর জোর দিয়েছেন আলেমরা।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন