এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ মিশনে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশের ক্লাব বসুন্ধরা কিংস। গ্রুপ পর্বের প্রতিটি ম্যাচে হেরেছে তারা। তিন ম্যাচেই হেরে ব্যর্থতার ষোলোকলা পূর্ণ করেছে কোচ মারিও গোমেজের দল। কুয়েতের জাবের আল-মুবারক আল-হামাদ স্টেডিয়ামে ‘বি’ গ্রুপের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে কুয়েত স্পোর্টস ক্লাবের কাছে ২-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন ক্লাবটি। আগের দুই ম্যাচেও হেরেছিল তারা। তৃতীয় ম্যাচের প্রথম মিনিটেই ক্রস থেকে হেডে স্বাগতিক দলের ইউসুফ নাসের গোল করে কুয়েতে ক্লাবকে এগিয়ে দেন। বিরতির ঠিক আগে যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে পরিকল্পিত আক্রমণ থেকে তাহা ইয়াসিন খেনিসির ডান পায়ের নিখুঁত প্লেসিংয়ে করেন দ্বিতীয় গোল। এই ম্যাচে কিংসের একাদশে ছিলেন গোলকিপার আনিসুর রহমান জিকো, যাকে এই ম্যাচে দেওয়া হয় অধিনায়কের দায়িত্বও। টুর্নামেন্টে এটাই ছিল তার প্রথম ম্যাচ। মেহেদি হাসান শ্রাবণের জায়গায় গোলরক্ষক পরিবর্তন করেও ভাগ্য বদলায়নি কিংসের।
কুয়েত যাওয়ার আগে কিংসের আর্জেন্টাইন কোচ মারিও গোমেজ বলেছিলেন, ভালো কিছু করাই তার দলের লক্ষ্য। নিয়মিত অধিনায়ক তপু বর্মণও স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন সমর্থকদের। কিন্তু তিন ম্যাচেই হেরে কোনো পয়েন্ট ছাড়াই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হয়েছে কিংসকে। শেষ ম্যাচের আগেও বিড়ম্বনায় পড়তে হয় কিংসকে। স্টেডিয়ামে যাওয়ার পথে দলের বাসের একটি টায়ার হঠাৎ বিস্ফোরিত হয়। সৌভাগ্যবশত খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফ সবাই সুস্থ ছিলেন, যদিও এতে স্টেডিয়ামে পৌঁছাতে কিছুটা দেরি হয়। গ্রুপ পর্বে ২৫ অক্টোবর কিংস প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ওমানের ক্লাব আল সিবের। সেই ম্যাচে পিছিয়ে পড়ার পর ২-১ গোলে এগিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত ৩-২ ব্যবধানে হেরে যায় কিংস। দ্বিতীয় ম্যাচে লেবাননের আল-আনসারের কাছে হার ৩-০ ব্যবধানে। তিন ম্যাচে কিংস করেছে মাত্র একটি গোল, বিপরীতে হজম করেছে সাতটি। গত বছরও এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচই হেরেছিল কিংস।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন