আগামী ১৮ নভেম্বর জাতীয় স্টেডিয়ামে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের ম্যাচে সফরকারী ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এই দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যকার ফুটবল ম্যাচ মানেই বাড়তি উন্মাদনা। ফুটবলারদের মধ্যে সেটি কাজ করে। ভারত ম্যাচের জন্য মুখিয়ে আছেন জাতীয় দলের ফুটবলার রহমত মিয়া। গত অক্টোবরে উইন্ডোতে হংকংয়ের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের দুই ম্যাচের প্রস্তুতি শুরুর আগে বাংলাদেশের সামনে টিকে ছিল এএফসি এশিয়ান কাপে কোয়ালিফাই করার সম্ভাবনা। ঘরের মাঠে হেরে আর প্রতিপক্ষের মাঠে ড্র করায় শেষ হয়ে যায় সেই সম্ভাবনা; বিদায় নেয় দুই ম্যাচ হাতে রেখেই। বাংলাদেশের যে ম্যাচ দুটি বাকি আছে তা কেবলই আনুষ্ঠানিকতার। তবে এই আনুষ্ঠানিকতার দুই ম্যাচের মধ্যে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটির রয়েছে অন্যরকম আবেদন। দুই দেশের জন্যই ম্যাচটি মর্যাদার। বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ ঘিরে কেবল এই দুই দেশেরই নয়, আলোচনা তুঙ্গে উঠে দক্ষিণ এশিয়ায়ও।
বাংলাদেশের ডিফেন্ডার রহমত মিয়া বলেন, ‘এখন শেষ দুই ম্যাচ জিতলেও লক্ষ্যে পৌঁছতে পারব না। এখানে একটা কষ্ট তো থাকবেই। এবার এশিয়ান কাপে আমাদের টিম ভালো করছে। সামনে আরও ভালো করার সম্ভাবনা আছে। তো এইবার যে আমরা কোয়ালিফাই করতে পারিনি তা নিয়ে সব প্লেয়ারের মধ্যে সেই কষ্টটা আছে। পরবর্তীতে ইনশাআল্লাহ সবাই আরও ভালো করার চেষ্টা করবে। যে ম্যাচ চলে গেছে তা নিয়ে ভেবে লাভ নেই। সামনে যে ম্যাচগুলো আসছে সেদিকে ফোকাস করা উচিত।’
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে সবাই উজ্জীবিত আছেন বলে উল্লেখ করে রহমত মিয়া জানান, ‘ভারতের সঙ্গে খেলা হলে সবাই অনেক রোমাঞ্চিত থাকে। তো আগের মতো এবারও সবাই রোমাঞ্চিত। আমাদের সবার ফোকাস প্রস্তুতিতে। অনুশীলন শুরু হলো, সবাই আসলে একসঙ্গে ভালো প্রস্তুতি নিতে পারবো ইনশাআল্লাহ।’ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা কবে আসবেন সে প্রসঙ্গে রহমত মিয়া বলেছেন, ‘কোচের ব্যাপারে জানি না। কোচ কবে আসবেন, এটা অফিসিয়াল বিষয়।’ ঘুরেফিরে সেই নেপালের বিপক্ষেই প্রস্তুতি ম্যাচ। ১৩ নভেম্বর জাতীয় স্টেডিয়ামে হবে ম্যাচটি। এ প্রসঙ্গে রহমত মিয়া বলেছেন, ‘প্রত্যেকটা প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচের আগে একটা প্রস্তুতি ম্যাচ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যদি শক্ত টিম হয় অবশ্যই আমাদের জন্য ভালো। কিন্তু শক্ত প্রতিপক্ষ না পাওয়া গেলে অন্তত সমমানের একটা টিম থাকলেও হয়। প্রস্তুতি তো প্রস্তুতিই।’ পেশাদার ফুটবলারদের অনেককে স্থানীয় পর্যায়ে টুর্নামেন্ট খেলতে দেখা যায়Ñ এমন অভিযোগ আছে। সিনিয়র খেলোয়াড় হিসেবে এটাকে কীভাবে দেখেন রহমত। সেখানে অনুপযুক্ত মাঠে খেলোয়াড়দের চোট পাওয়ার শঙ্কা থাকে। রহমত মিয়া বলেছেন, ‘প্রথমত লোকাল টুর্নামেন্টগুলো খেলতে গিয়ে কেউ ইনজুরিতে পড়েছেন কি না আমার জানা নেই। দ্বিতীয়ত, যখন আমরা এলাকাতে থাকি তখন এলাকার যারা গণ্যমান্য ব্যক্তি আছেন তারা চান যে, ন্যাশনাল টিমের প্লেয়াররা বাড়িতে আসছেন তাঁরা যেন আমাদের মাঠে খেলেন। তো আমার মনে হয় যে, সামাজিক এবং রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করেই প্লেয়ারদের আসলে বাধ্য হতে হয় নিজের মাঠে খেলতে।’ সব সময়ই দেখা যায় অনুশীলন শুরু হয় এলোমেলোভাব। প্রথম কয়েকদিন পূর্ণাঙ্গ দলই পাওয়া যায় না। এ প্রসঙ্গে রহমত মিয়া বলেছেন, ‘আসলে এক একটা উইন্ডোতে একেক রকম পরিস্থিতি তৈরি হয়। যেমন বসুন্ধরা কিংস কুয়েতে আছে এফসি চ্যালেঞ্জ লিগ খেলতে যাওয়ার কারণে অন্যান্য প্লেয়ার যারা অন্য ক্লাবে খেলেন, তাদের কোনো খেলা নেই আপাতত। এটা ভালো না যে, এক টিম খেলতেছে এবং আরেক টিমের সব প্লেয়ার বসে আছেন। ১৪ জন আসছেন। আবার ১১ জন আসবেন।’ ক্যাম্পের বাকি খেলোয়াড় কারা আছেন সে প্রসঙ্গে রহমত বলেছেন, ‘আমি আসলে প্লেয়ার লিস্ট সম্পর্কে জানি না। কোচ সেটা ভালো জানেন কারা আসবেন। আমাদের হামজা ও শমিত পরে জয়েন করবেন। তা ছাড়া বসুন্ধরা থেকে কারা কারা জয়েন করবে সেটা কোচিং স্টাফের জানার বিষয়।’

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন