ঢাকা শুক্রবার, ০৯ মে, ২০২৫

বছরের যেসব দিন রোজা রাখা নিষিদ্ধ

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ৭, ২০২৫, ০৭:৩৬ পিএম
প্রতীকী ছবি

রোজা ইসলামের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও অন্যতম বিধান। আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে বান্দার ওপর অন্যতম মৌলিক ফরজ। আরবি বর্ষপূঞ্জির নবম মাস তথা পবিত্র রমজানে রোজা রাখা ফরজ। বাকি ১১ মাস সুন্নত-মুস্তাহাব ও নফল রোজা রাখার নিয়ম রয়েছে। তবে বছরে পাঁচটি দিন এমন রয়েছে, যে দিনগুলোয় রোজা রাখা হারাম বা নিষিদ্ধ।

যে পাঁচটি দিনে রোজা রাখা হারাম বা নিষিদ্ধ-

ঈদুল ফিতরের দিন

রমজান মাস শেষে শাওয়াল মাসের প্রথম দিনে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়। এই দিনে রোজা রাখা হারাম।

ঈদুল আজহার দিন

জিলহজ মাসের ১০ তারিখে ঈদুল আজহা পালিত হয়। এই দিনেও রোজা রাখা নিষিদ্ধ।

আইয়ামে তাশরিকের দিন

জিলহজ মাসের ১১, ১২ ও ১৩ তারিখে আইয়ামে তাশরিক বলা হয়। এই তিন দিনেও রোজা রাখা হারাম।

হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার দিন রোজা রাখতে নিষেধ করেছেন। (বুখারি, ১৯৯২ এ ছাড়া আইয়ামে তাশরিকের দিনগুলোতে রোজা রাখা থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

পুরো বছর একটানা রোজা রাখা ইসলামে নিষিদ্ধ। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সারা বছর রোজা রাখে, সে যেন রোজাই রাখল না।’ (বুখারি, ১৯৭৮) তিনি প্রতি মাসে তিন দিন রোজা রাখার পরামর্শ দিয়েছেন, যা সারা বছর রোজা রাখার সমতুল্য। তবে যদি কেউ বেশি রোজা রাখতে চায়, তাহলে হজরত দাউদ (আ.)-এর সুন্নত অনুসারে এক দিন রোজা রাখা ও এক দিন ছেড়ে দেওয়ার পদ্ধতি অনুসরণ করা।

শুধু শুক্রবার রোজা রাখা উচিত নয়। তবে যদি শুক্রবারের আগে বা পরে আরও একটি রোজা রাখা হয়, তাহলে তা জায়েজ। যেমন- বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বা শুক্রবার ও শনিবার রোজা রাখা।

শাবান মাসের ৩০ তারিখে রোজা রাখা নিষিদ্ধ, যদি রমজানের চাঁদ দেখা নিয়ে সন্দেহ থাকে। এই দিনকে ‘ইয়ামুশ শাক’ বা সন্দেহের দিন বলা হয়। কারণ এই দিনে সন্দেহ থাকে যে, এটি শাবান মাসের ৩০ তারিখ নাকি রমজান মাসের ১ তারিখ। তাই এই দিনে রোজা রাখা থেকে বিরত থাকা উচিত।