মানুষ সবচেয়ে বেশি হতাশ হয় যখন মনের আশা পূরণ হয় না। অন্য সবার হয় কিন্তু নিজের হয় না। এই যে হতাশা বা উৎকণ্ঠা কাজ করে এটা খুবই স্বাভাবিক। আল্লাহ মানুষকে ইবাদাতের জন্যই সৃষ্টি করেছেন। আর আমল ও দোয়ার মাধ্যমেই আল্লাহর নৈকট্য অর্জন সম্ভব হয়।
বিপদ-আপদে হতাশ না হয়ে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে হবে। বেশি বেশি দোয়া করতে হবে। মানুষের দোয়া আল্লাহ ফিরিয়ে দেন না।
হাদিস থেকে দোয়া কবুলের তিনটি অবস্থা জানা যায়-
দোয়াকারীর দোয়া হুবহু কবুল করে দুনিয়াতে দেওয়া হয়।
তার দোয়ার প্রতিদান পরকালের জন্য সংরক্ষণ করা হয়।
দোয়ার মাধ্যমে তার অনুরূপ কোনো অমঙ্গলকে তার থেকে দূরে রাখা হয়। (মুসনাদে আহমদ, হাদিস: ১১১৩৩)
হাদিসে আছে, ‘একবার আনাস (রা.) রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে বসা ছিলেন। এ সময় এক ব্যক্তি এসে নামাজ আদায় করে নিচের এ দোয়াটি পাঠ করল-
বাংলা উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আস আলুকা বিআন্না লাকাল হামদু, লা ইলাহা ইল্লা আংতাল মান্নান, বাদিউস সামাওয়াতি ওয়াল আরজ, ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম, ইয়া হাইয়ু ইয়া কাইয়ুম।’
বাংলা অর্থ: হে আল্লাহ, আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করি। তুমিই তো সব প্রশংসার মালিক, তুমি ছাড়া কোনো উপাসক নেই। তুমি দয়াশীল। তুমিই আকাশসমূহ ও পৃথিবীর একমাত্র সৃষ্টিকর্তা। হে মহান সম্রাট ও সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী, হে চিরঞ্জীব, হে সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী।
তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, এ ব্যক্তি ‘ইসমে আজম’ পড়ে দোয়া করেছে, ইসমে আজম মহান আল্লাহর এমন নাম; যে নামে ডাকলে তিনি সাড়া দেন এবং যে নামে তাঁর কাছে চাওয়া হলে তিনি সব চাওয়া পূরণ করেন।’ (আবু দাউদ)