ভারতের উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদের এক নারী তার স্বামীর নৃশংস ও অনিয়ন্ত্রিত আচরণের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন। শানু ওরফে শানভি অভিযোগ করেছেন যে, তার স্বামী শিবম উজ্জ্বল তাকে জোরপূর্বক নোরা ফাতেহি-র মতো ফিটনেস অর্জন করাতে চাপ দিতেন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিবম একটি সরকারি স্কুলের শারীরিক শিক্ষা শিক্ষক। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি দৈনিক তিন ঘণ্টা করে স্ত্রীকে ব্যায়াম করাতেন এবং ব্যায়াম না করলে খাবার দেওয়া হতো না।
শানু জানান, স্বামী ইন্টারনেটে নারীদের অনুপযুক্ত ভিডিও দেখার অভ্যাস রাখতেন এবং সেই আগ্রহের কারণে তাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে অত্যাচার করতেন। স্বামীর সঙ্গে শ্বশুর-শাশুড়িও এই চাপের অংশ ছিলেন। তারা নিয়মিতভাবে স্ত্রীর ব্যায়ামের ফলাফল তদারকি করতেন।
শানু আরও বলেন, ‘শিবম আমার বডি শেমিং করতেন। আমার উচ্চতা ও গায়ের রং সত্ত্বেও আমাকে কুৎসিত বলে অপমান করতেন। শ্বশুরবাড়িও আমাকে যাচ্ছেতাই বলত।’
অভিযোগ রয়েছে যে শানু গর্ভবতী হওয়ার পরও স্বামী এবং পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে চাপের মুখে পড়তে হয়েছিল। এতে তার গর্ভপাত হলে তার ওপরই দায় চাপানো হতো।
শানু গত ১৪ আগস্ট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের মধ্যে রয়েছে মানসিক, শারীরিক ও আবেগজনিত নির্যাতন, যৌতুক দাবি, জোরপূর্বক গর্ভপাত চাপানো, ব্ল্যাকমেল এবং তালাকের হুমকি। বর্তমানে শানু তার বাবার বাড়িতে অবস্থান করছেন।
স্থানীয় পুলিশ অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে। প্রয়োজনে শিবম এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।