২০২৭ বিশ্বকাপে অভিজ্ঞ ওপেনার রোহিত শর্মাকে ভারতীয় দলে চান মোহাম্মদ কাইফ। সাবেক ক্রিকেটারের মতে, বিশ^কাপের সময় রোহিতের বয়স ৪০ হলেও দলের জন্য তাকে খুবই প্রয়োজন। এরই মধ্যে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিকে বিদায় বলেছেন রোহিত। বর্তমানে শুধু ওয়ানডে ক্রিকেট খেলাই চালিয়ে যাচ্ছেন এই তারকা ব্যাটার। গত মার্চে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়ের পর আর দেশের জার্সি গায়ে খেলতে দেখা যায়নি তাকে। সম্প্রতি দলের নেতৃত্ব হারিয়েছেন এই ক্রিকেটার। তার জায়গায় দায়িত্ব পেয়েছেন শুবমান গিল। আসন্ন অস্ট্রেলিয়া সফর থেকেই নেতৃত্ব দেবেন তিনি।
রোহিত ওয়ানডে দলে আছেন। তবে প্রশ্ন উঠছে, তাকে কত দিন বয়ে বেড়াবে দল। নেতৃত্ব না থাকা মানে এখন তার জন্য প্রতিটি সিরিজই একধরনের পরীক্ষার মতো। যদিও তার প্রমাণ করার কিছু নেই। তবে বাস্তবতা হলো, এই বয়সে একটি সিরিজ খারাপ গেলে বা টানা কয়েকটি ম্যাচে রান না পেলেই বড় প্রশ্ন উঠতে শুরু করবে। কাইফ অবশ্য কোনো প্রশ্নের জায়গা দেখেন না। সাবেক এই ব্যাটার ও ধারাভাষ্যকার রোহিতকে নিশ্চিতভাবেই দেখছেন আগামী বিশ^কাপে। তিনি বলেন, ‘২০২৭ বিশ^কাপে সে অবশ্যই খেলবে। নেতৃত্ব হয়তো তার কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে, তবে আমার বিশ্বাস, ওপেনার হিসেবে নিজের কাজটা রোহিত করেই যাবে।’ ২০২৭ সালের অক্টোবর-নভেম্বরে বিশ্বকাপ হবে দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে ও নামিবিয়ায়। ওই কন্ডিশনের জন্যও রোহিতের বিকল্প দেখেন না কাইফ। তিনি বলেন, ‘দলে অভিজ্ঞ একজন ওপেনার লাগেই। পুরোপুরি নতুন দল নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় যাওয়া যাবে না। ওই ধরনের কন্ডিশনে, যেখানে কখনো কখনো বল মুভ করে বেশ এবং উইকেট থাকে বাউন্সি, সেখানে শুধু নতুন ক্রিকেটারদের নিয়ে গেলে তারা উন্মোচিত হয়ে পড়বে।’ কাইফ আরও বলেন, ‘এ জন্যই বাউন্স সামলানোর মতো ব্যাটসম্যান লাগবে, যে কিনা উঁচু হওয়া ডেলিভারিতে কাট ও পুল খেলতে পারে, রোহিত শার্মা যেভাবে খেলে থাকে। ওই ধরনের পিচে তার কার্যকারিতা আরও বেশি হবে। ওই কন্ডিশনের সঙ্গে তার ব্যাটিংয়ের ধরন পুরোপুরি মানিয়ে যায়। সামনে পিচ করে উঠে আসা বল দারুণভাবে খেলে সে।
যতজনের নামই বলুন, এ ধরনের ডেলিভারি সবচেয়ে ভালো সামলায় সে।’ রোহিতের মতো অতটা না হলেও সংশয়-অনিশ্চয়তা তাড়া করবে বিরাট কোহলিকেও। বয়সে তিনি রোহিতের চেয়ে বছর দুয়েকের ছোট। তবে বাস্তবতা প্রায় একই। বিশ্বকাপের মতো আসরে এই দুজনকেই বড় সম্পদ মনে করেন কাইফ। তিনি বলেন, ‘তার পরিসংখ্যানের দিকে তাকান।
বিশ্বকাপের মতো আসরে রোহিত ও কোহলির মতো ক্রিকেটারদের প্রয়োজন, যারা গোটা দুনিয়া দেখে ফেলেছে এবং অনেক চড়াই-উতরাইয়ের সাক্ষী হয়েছে। বিশ্বকাপের মতো দু-একটি ম্যাচে হারতেও হতে পারে, তখন ঘুরে দাঁড়াতে হয়। বাঁচা-মরার ম্যাচও আসবে, যেখানে কোয়ার্টার ফাইনাল বা সেরা চারে উঠতে হলে জিততেই হবে। ওই সব সময়ে রোহিত-কোহলির মতো ক্রিকেটাররা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেন।’