নতুন আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হোয়াসং-২০ উন্মোচন করেছে উত্তর কোরিয়া; যাকে তারা ‘সবচেয়ে শক্তিশালী পারমাণবিক কৌশলগত অস্ত্র’ বলে দাবি করেছে। শনিবার (১১ অক্টোবর) পিয়ংইয়ংয়ের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাতে এই তথ্য জানা গেছে।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) প্যারেডে উত্তর কোরিয়ার দীর্ঘ পাল্লার কৌশলগত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন লঞ্চ যানসহ বেশ কিছু অত্যাধুনিক অস্ত্র প্রদর্শন করা হলেও সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পায় হোয়াসং-২০ আইসিবিএম। দেশটির সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ দাবি করে, এটি দেশটির সেনাবাহিনীর ‘সবচেয়ে শক্তিশালী পারমাণবিক কৌশলগত অস্ত্র ব্যবস্থা’।
১১-অক্ষ বিশিষ্ট বিশাল এক লঞ্চার ট্রাকে স্থাপন করা হোয়াসং-২০ এই প্রথম জনসমক্ষে আনা হয়। কয়েক সপ্তাহ আগে উত্তর কোরিয়া কার্বন ফাইবার দিয়ে তৈরি নতুন সলিড-ফুয়েল রকেট ইঞ্জিন পরীক্ষার ঘোষণা দিয়েছিল। নতুন প্রজন্মের আইসিবিএমে ব্যবহারের জন্যই ইঞ্জিনটি তৈরি করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়। কেসিএনএ জানায়, এই ইঞ্জিন ১৯৭১ কিলোনিউটন শক্তি উৎপাদন করতে সক্ষম, যা পূর্বের সব উত্তর কোরীয় রকেট ইঞ্জিনের চেয়ে শক্তিশালী।
মার্কিন থিংক ট্যাংক কার্নেগি এন্ডাওমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিসের বিশ্লেষক অঙ্কিত পাণ্ডে বলেন, ‘হোয়াসং-২০ উত্তর কোরিয়ার দীর্ঘ পাল্লার পারমাণবিক হামলা সক্ষমতার শীর্ষ সাফল্যের প্রতীক। এ বছরের শেষের আগেই এটির পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ হতে পারে।’ বিশেষজ্ঞদের ধারণা, হোয়াসং-২০ একাধিক পারমাণবিক ওয়ারহেড বহন করতে সক্ষম হতে পারে, যা যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।
অঙ্কিত পাণ্ডে বলেন, ‘এই ক্ষেপণাস্ত্রটি সম্ভবত একাধিক ওয়ারহেড বহনের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যমান মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে বিপর্যস্ত করতে পারে এবং কিম জং উনের চোখে এটিই কার্যকর প্রতিরোধ ক্ষমতা।’
প্যারেড শেষে দেওয়া ভাষণে কিম জং উন বলেন, ‘আজ আমরা বিশ্ববাসীর সামনে অদম্য শক্তির অধিকারী এক জাতি হিসেবে দাঁড়িয়ে আছি। এমন কোনো বাধা নেই যা আমরা অতিক্রম করতে পারি না।’ তিনি উত্তর কোরিয়াকে ‘সমাজতান্ত্রিক শক্তির বিশ্বস্ত সদস্য’ এবং ‘পশ্চিমাদের আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার দুর্গ’ বলে উল্লেখ করেন।