ঢাকা শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৫

নোয়াখালী-২ আসন

বিএনপির আলোচনা সভায় দলীয় প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি

নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৮, ২০২৫, ০৮:৪৯ পিএম
দলীয় মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবি নেতাকর্মীদের। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

নোয়াখালীতে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সেনবাগ-সোনাইমুড়ী আংশিক আসনে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ফারুকের দলীয় মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন দলের একাংশের নেতাকর্মীরা।

সোনাইমুড়ী উপজেলার উত্তর ওয়াসেকপুর অম্বরনগরে আয়োজিত ওই আলোচনা সভায় দলীয় প্রার্থী পরিবর্তনের এই দাবি তোলা হয়।

আলোচনা সভায় বিএনপি নেতা মোহাম্মদ শাহজালালের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মফিজুর রহমান।

প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সদস্য ও সৌদি আরব কেন্দ্রীয় বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল মান্নান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সেনবাগ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, সেনবাগ উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ওবায়দুল হক, সোনাইমুড়ী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আলম মোল্লা।

সাইফুল্লাহ মাসুদ, সেনবাগ পৌরসভা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল উদ্দিন বাবু, পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক ভিপি মফিজ, সেনবাগ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলমসহ বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের একাংশের নেতাকর্মীরা।

বক্তারা বলেন, জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়, যা বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথ সুগম করেছিল। দলকে সুসংগঠিত রাখতে এই দিবসের আদর্শে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তারা।

বক্তারা আরও বলেন, নোয়াখালী-২ (সেনবাগ–সোনাইমুড়ী) আসনে বিএনপি এমন একজনকে মনোনয়ন দিয়েছে, যিনি গত ৩৫ বছর ধরে দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষকে শোষণ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। কেন্দ্রে তাঁর অবস্থান থাকলেও সেনবাগ–সোনাইমুড়ীতে তিনি একজন জনবিচ্ছিন্ন নেতা।

স্থানীয় তৃণমূল নেতাকর্মীদের মতামত উপেক্ষা করে জনবিচ্ছিন্ন ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, যা মাঠের বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

দ্রুত প্রার্থী পরিবর্তন করে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য একজন নেতাকে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রতি আহ্বান জানান বক্তারা।

এ সময় সভায় গণতন্ত্র পুণরুদ্ধার, দল পুনর্গঠন এবং নেতাকর্মীদের মৌলিক অধিকার রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।