ঢাকা শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৫

বুয়েট মার্কেটে দখল-চাঁদাবাজির অভিযোগ, প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চায় ব্যবসায়ীরা

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৮, ২০২৫, ০৯:০৭ পিএম
বুয়েট মার্কেটে দখল-চাঁদাবাজির অভিযোগে ব্যবসায়ীদের মানবন্ধন। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) মার্কেটে দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে ব্যবসায়ীদের ওপর ত্রাস, চাঁদাবাজি এবং অবৈধ দখলের অভিযোগ উঠেছে। সাধারণ দোকান মালিকরা বলছেন, মাহবুবুল হক ও তার সহযোগীরা মার্কেটের নিয়ম এবং আইন উপেক্ষা করে দোকান ক্রয়-বিক্রয় ও ব্যবসায়ীদের উপর অব্যাহত হয়রানি চালাচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন তারা।

বাজার পরিচালনার নিয়ম অনুযায়ী, বুয়েট মার্কেট পরিচালনা কমিটি প্রতি তিন বছর নির্বাচিত প্রতিনিধির মাধ্যমে মার্কেট পরিচালনার দায়িত্ব প্রদান করে থাকে। কিন্তু ২০১৭ সালের নির্বাচনের সময়, দলীয় প্রভাবের কারণে মাহবুবুল হক ও তার মনোনীতরা বিনা ভোটে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করে, এবং এরপর দোকান মালিকদের উপর ভয়, হয়রানি ও জোরপূর্বক দখল চালায়।

দোকান মালিকরা জানান, এই সময় মাহবুবুল হক একজন সাধারণ কর্মচারী থেকে খুব অল্প সময়ে ১০–১২ কোটি টাকার মালিক হয়ে ওঠেন। তিনি এবং তার পরিবারের সদস্যরা বাজারের দোকান ক্রয়-বিক্রয় ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে অবৈধ অর্থ উপার্জন করেছেন। বর্তমানে তার এবং তার ভাইয়ের নামে মার্কেটে তিনটি দোকান রয়েছে, যার আনুমানিক মূল্য দুই কোটি টাকারও বেশি।

অভিযোগে আরও বলা হয়, মাহবুবুল হক ইতিমধ্যেই তার অবৈধ অর্থ দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কনভেনশন সেন্টার, ইকোপার্ক এবং ফাস্টফুড ব্যবসা পরিচালনা করছেন। দোকান মালিকরা জানিয়েছেন, তিনি বাজারে আবারও অবৈধ কার্যক্রম চালানোর পরিকল্পনা করছেন এবং ব্যবসায়ীদের ওপর ভয়-ভীতি সৃষ্টি করছেন।

দোকান মালিকদের দাবি:

  • বাজারে অবৈধ দখল ও চাঁদাবাজি বন্ধ করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ।
  • মার্কেট পরিচালনা কমিটি ও প্রশাসনকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান।
  • দীর্ঘদিনের হয়রানি ও ত্রাসের অভিযোগের তদন্ত এবং দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা।

বাজারের সাধারণ দোকান মালিকরা বলেন, ‘আমরা সাধারণ মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে আমাদের স্বপ্নের ব্যবসা, যা আমরা আমাদের পরিশ্রমে তৈরি করেছি, তা রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের দখলে এবং চাঁদাবাজির শিকার হচ্ছে। আমরা চাই প্রশাসন আমাদের পাশে দাঁড়াক এবং বাজারে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করুক।’

বাজার পরিচালনা কমিটি এখনও এই বিষয়টি নিয়ে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের কাছে দ্রুত হস্তক্ষেপ ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বারবার অনুরোধ জানিয়েছেন, যাতে মার্কেটটি স্বাভাবিকভাবে পরিচালিত হয় এবং সাধারণ ব্যবসায়ীরা তাদের স্বাভাবিক কাজ করতে পারে।