ঢাকা শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৫

কুয়েটে মারপিটের ঘটনায় শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার

খুলনা ব্যুরো
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৮, ২০২৫, ০৮:০৩ পিএম
সাদিক মাহমুদ। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এর ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে প্রথমবর্ষ ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে স্ট্রিট পেইন্টিং ও স্টলের স্থান নির্ধারণকে কেন্দ্র করে দুই শিক্ষার্থীর মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। এতে এক শিক্ষার্থী কাটারের আঘাতে জখম হন।

ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় দায়ী শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে। পাশাপাশি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানায়, বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) বিকেল আনুমানিক ৩টার দিকে কুয়েটের মেইনগেট সংলগ্ন এলাকায় ভর্তি পরীক্ষার স্ট্রিট পেইন্টিং ও স্টলের স্থান নির্ধারণকে কেন্দ্র করে ২৪তম ব্যাচের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী কাজী সাদিক মাহমুদ এবং একই ব্যাচের লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মো. জহিরুল ইসলামের মধ্যে কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটে।

এক পর্যায়ে সাদিক মাহমুদ হাতে থাকা কাটার দিয়ে জহিরুল ইসলামের বাম পেটের পাশে আঘাত করেন। আহত জহিরুল ইসলামকে সহপাঠীরা দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যান।

প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মাকসুদ হেলালী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডীন, ইনস্টিটিউট পরিচালক, হল প্রভোস্ট, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক, বিভাগীয় প্রধান ও নিরাপত্তা কমিটির সদস্যদের নিয়ে এক জরুরি সমন্বয় সভা আহ্বান করেন।

সন্ধ্যা ৬টায় কুয়েট প্রশাসনিক ভবনের সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী কাজী সাদিক মাহমুদকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এ ছাড়া আহত শিক্ষার্থীর সকল চিকিৎসা খরচ বহন, উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা এবং ক্যাম্পাসে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা জোরদারের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়।

রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আনিছুর রহমান ভূঁইয়ার স্বাক্ষরিত সাময়িক বহিষ্কারের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, কাজী সাদিক মাহমুদ লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী জহিরুল ইসলামকে মারাত্মকভাবে আঘাত করেছেন।

ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা নিশ্চিত হওয়ায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তের জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিধি অনুযায়ী চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অন্য এক বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে স্ট্রিট পেইন্টিং ও স্টল সংক্রান্ত সব কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।