পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মৃত্যুর গুজব নতুন করে জাগিয়ে তুললেন তার ছেলে কাশিম খান। ইমরান পুত্রের দাবি, তার বাবাকে রাখা হয়েছে ‘ডেথ সেলে’। তিনি যে বেঁচে আছেন, এমন কোনো প্রমাণ মেলেনি এখনো পর্যন্ত।
আদিয়ালা জেলের তরফে ইমরানের মৃত্যুসংবাদকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করা হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখা হচ্ছে বলেও দাবি করা হয়েছে জেলের বিবৃতিতে। ইমরানকে আদিয়ালা জেল থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সংবাদকেও খণ্ডন করা হয়েছে এতে।
তবুও গুঞ্জন অব্যাহত। এই পরিস্থিতিতে কাশিমকে বলতে শোনা গেছে, ‘কোনো ফোন কল নেই, কোনো সাক্ষাৎ মেলেনি, জীবিত থাকার কোনো প্রমাণও পাইনি। আমি আর আমার ভাইরা বাবার সঙ্গে কোনোরকম যোগাযোগই করতে পারছি না।’
কাশেম আরও জানিয়েছেন, ইমরানকে গত ৬ সপ্তাহ ধরে একা একটা সেলে রাখা হয়েছে। দেখা করতে দেওয়া হয়নি বোনদের সঙ্গেও। কাশিমের অভিযোগ, শাহবাজ শরিফ সরকার ও তার পরিচালকরা সকলেই ‘আইনত, নৈতিকভাবে এবং আন্তর্জাতিক বিচারে’ অপরাধী। আন্তর্জাতিক মহল এই বিষয়ে দ্রুত হস্তক্ষেপ করুক, এই আহ্বানও জানিয়েছেন ইমরানপুত্র।
এদিকে ইমরান খানের বোন আলিমা খান বলেছেন, ‘তার ভাইয়ের মাথার একটা চুলও স্পর্শ করতে পারবে না শাহবাজ শরীফ সরকার।’ ক্ষোভ উগরে দিয়ে আলিমা জানান, ‘সব দিক থেকেই আদালত অবমাননা করা হচ্ছে। বিচারব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। ভালো বিচারক আছেন, কিন্তু তাদের স্বায়ত্তশাসন কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’
ইমরান খানকে নিয়ে উদ্বেগ অবশ্য বাড়ছে তার। বলছেন, ‘তিন থেকে চার সপ্তাহ আগে যখন ওকে দেখেছি, চমৎকার স্বাস্থ্য ছিল। ফলে ওরা দাবি করতে পারবেন না বয়সজনিত কারণে বা অসুস্থতার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। সমস্যাটা হলো, কী করে ওর এখনকার স্বাস্থ্য সম্পর্কে আমরা পুরোপুরি নিশ্চিত হব?’
সব মিলিয়ে ইমরানকে নিয়ে ধোঁয়াশা বাড়ছেই। যদি তিনি জীবিতই থাকেন, তাহলে আদিয়ালা জেলের তরফে মৌখিত দাবি না করে, কেন ইমরানের সঙ্গে তার পরিবারকে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না, সেই প্রশ্নও উঠছে।



