১৯ দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন কার্ড পাওয়ার বিষয়টি পুনরায় খতিয়ে দেখবে ওয়াশিংটন। দেশটির নাগরিকত্ব ও অভিবাসী পরিষেবা বিভাগের প্রধান জোসেফ এডলো জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজে তাকে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা অ্যালিয়েনদের গ্রিন কার্ড পাওয়ার বিষয়টি কঠোরভাবে তদন্ত করার নির্দেশনা দিয়েছেন।
হোয়াইট হাউসের জুন মাসের এক ঘোষণা অনুযায়ী, ১৯ দেশের তালিকায় শীর্ষস্থানে রয়েছে আফগানিস্তান, কিউবা, হাইতি, ইরান, সোমালিয়া এবং ভেনেজুয়েলা। অন্যান্য যেসব দেশের গ্রিন কার্ডধারীরা এই পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাবেন তাদের মধ্যে রয়েছে মায়ানমার, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র এবং লিবিয়া।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) ওয়াশিংটন ডিসিতে হোয়াইট হাউসের কাছে এক আফগান নাগরিক দুই ন্যাশনাল গার্ড সদস্যকে গুলি করে গুরুতর আহত করার অভিযোগের প্রেক্ষাপটে এই ঘোষণা এসেছে। ঘটনায় গুলিবিদ্ধ সারাহ বেকস্ট্রম নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হামলাকারী রহমানুল্লাহ লাখানওয়াল ২০২১ সালে তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসেন। সে সময় আফগানিস্তানের নাগরিকদের জন্য ‘বিশেষ অভিবাসী সুরক্ষা’ প্যাকেজ ঘোষণা করে বাইডেন প্রশাসন।
ডোনালড ট্রাম্প বলেন, গত প্রশাসন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ২০ মিলিয়ন লোককে যুক্তরাষ্ট্রে আসার অনুমতি দিয়েছিল। নিজেদের অস্থিত্বকে হুমকির মুখে ফেলে এরকম সিদ্ধান্তকে পৃথিবীর কোন দেশই সহ্য করবেনা বলে জানান ট্রাম্প। বলেন, ওয়াশিংটনে হামলা আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে।
গত সপ্তাহে, গ্রিন কার্ড পর্যালোচনার দায়িত্বে থাকা সংস্থা মার্কিন নাগরিকত্ব ও অভিবাসন পরিষেবা বিভাগ যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমলে হওয়া সমস্ত শরণার্থীর নথি পর্যালোচনা করার ঘোষণা দিয়েছে। বুধবার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে আসা সমস্ত অভিবাসন অনুরোধ প্রক্রিয়াকরণ স্থগিত করেছে। নাগরিকত্ব এবং অভিবাসন পরিষেবা জানিয়েছে ‘নিরাপত্তা এবং যাচাই-বাছাই প্রোটোকল’ পর্যালোচনার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।



