গিনি-বিসাউয়ের অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হলেন মেজর জেনারেল ওর্তা ইনতা-আ। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল ঘোষণার আগের দিন সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতা দখলের পর বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দেশটির সেনাবাহিনী এক বছরের জন্য তাকে এ পদে নিয়োগ দেয়।
পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর জোটের (ইকোয়াস) হস্তক্ষেপের পর অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট উমারো সিসোকো এমবালো বিশেষ এক ফ্লাইটে চেপে সেনেগালে আশ্রয় নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করে সেনেগালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এ নিয়ে গত ৫ বছরে পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার দেশগুলোতে নবম সামরিক অভ্যুত্থানের দেখা মিলল।
কোকেন পাচারের হাব হিসেবে খ্যাত গিনি-বিসাউয়ে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা আজকের নয়, দেশটিতে এর আগেও একাধিকবার রাজনীতিতে সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপ দেখা গেছে। বুধবার স্বঘোষিত ‘হাই মিলিটারি কমান্ড ফর দ্য রিস্টোরেশন অব অর্ডার’ টেলিভিশনে এক বিবৃতিতে জানায়, তারা এমবালোর কাছ থেকে ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছে।
সামরিক বাহিনীর উর্দি পরে, আরও সেনা কর্মকর্তাকে পাশে নিয়ে বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক অনুষ্ঠানে নেতা হিসেবে প্রথম প্রকাশ্যে আসেন ইনতা-আ। তিনি বলেন, ‘মাদক পাচারকারীরা গিনির গণতন্ত্র কব্জা’ করার ছক কষেছিল, তা রুখতেই বাধ্য হয়ে অভ্যুত্থানের পথে হাঁটতে হয়েছে।
তাদের এই অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ এক বছর থাকবে এবং এ সময়সীমা নতুন নেতার দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই শুরু হয়েছে বলেও তিনি জানান। পরে এক শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর নতুন চিফ অব স্টাফ হিসেবে মেজর-জেনারেল টমাস জেসির নাম ঘোষণা করেন ইনতা- আ।



