ঈদের আনন্দ বহু রঙে রঙিন। ঈদের নামাজ, দল বেঁধে ঘুরে বেড়ানো, আর প্রিয়জনদের কাছ থেকে সালামি পাওয়া—সব মিলে ঈদের আনন্দ হয়ে ওঠে পূর্ণ। শিশু-কিশোরদের জন্য এই সালামি যেন ঈদের সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত উপহার।
ঐতিহাসিকদের মতে, সালামি বা ঈদ উপহারের এই প্রথার সূচনা হয়েছিল মিসরে, ফাতিমীয় খেলাফত আমলে, দশম শতাব্দীতে। সেই সময় ঈদের দিন রাজকোষ থেকে প্রজাদের উপহার দেওয়া হতো। শুধু টাকা বা মুদ্রাই নয়, উপহারস্বরূপ দেওয়া হতো নতুন পোশাক, মিষ্টি বা ফলমূলও।
সময় গড়িয়েছে, স্থান বদলেছে, তবে ঈদের সালামি প্রথাটি থেকে যায় নানা রূপে, নানা নামে। একনজরে দেখে নিই—
বাংলাদেশ ও ভারত উপমহাদেশে এটাকে বলা হয় ‘সালামি’ বা ‘ঈদি’; পাকিস্তানে ‘ঈদি’ নামেই বেশি পরিচিত; আরব দেশগুলোতে শিশুদের মধ্যে প্রচলিত নাম ‘ঈদিয়াহ’ (Eidiya); ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ায় বলা হয় ‘রায়া’ (Raya Gift)’।
শুধু টাকা নয়, বিশ্বের অনেক দেশে ঈদের সালামি হিসেবে ছোটদের দেওয়া হয় মিষ্টান্ন, চকলেট, খেলনা কিংবা শুভেচ্ছাপত্রও।
নাম যাই হোক, শিশুদের চোখে সালামির আনন্দ এক এবং অভিন্ন—ভালোবাসা, উদ্যাপন ও পারিবারিক বন্ধনের প্রতীক।
আপনার মতামত লিখুন :