সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


ধর্ম ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৫, ০৪:৩২ এএম

ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী মানবতার সর্বোত্তম আদর্শ, নবী মুহাম্মদ (সা.)

ধর্ম ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৫, ০৪:৩২ এএম

ইসলাম ধর্মের ইবাদত ঘর। ছবি- সংগৃহীত

ইসলাম ধর্মের ইবাদত ঘর। ছবি- সংগৃহীত

ইসলাম শুধুমাত্র একটি ধর্ম নয়, এটি প্রকৃতির ধর্ম, মানবতার ধর্ম, ভালোবাসা ও শান্তির ধর্ম। মহান আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে ইনসানের জন্য একমাত্র পূর্ণাঙ্গ ও সমন্বিত পথ প্রদর্শক হিসেবে ইসলামের পরিপূর্ণতা নিশ্চিত করতে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ নবী ও সর্বশেষ রাসুল, হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি ছিলেন ইনসানে কামিল- পরিপূর্ণ মানুষ, যার মধ্যে আল্লাহর গুণাবলীর প্রতিফলন স্পষ্ট।

কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘তিনি তার রাসুলকে সত্য ধর্ম ও পথনির্দেশসহ প্রেরণ করেছেন, যাতে এটি সব ধর্মের ওপর বিজয়ী হয়।’ (সূরা ফাতহ, ৪৮: ২৮)।

নবীজির চরিত্র ও জীবন কোরআনের আদর্শের এক সজীব চিত্র। আল্লাহ বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই আপনি মহান চরিত্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে অধিষ্ঠিত।’ (সূরা কলম, ৬৮: ৪)।

তিনি ছিলেন আমাদের জন্য এক দয়ালু মঙ্গলকামী, যিনি মুমিনদের প্রতি গভীর স্নেহ ও মমতা প্রদর্শন করতেন। কোরআনে এ সম্পর্কে উল্লেখ রয়েছে, ‘তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের কাছে এক রাসুল এসেছেন, যিনি তোমাদের যেকোনো কষ্টকে ভাগাভাগি করতে প্রস্তুত; তিনি তোমাদের মঙ্গলকামী ও দয়ালু।’ (সূরা তাওবা, ৯: ১২৮-১২৯)।

ইসলামের বিজয় অনিবার্য। কোরআনে আল্লাহ বলেছেন, ‘তারা (অবিশ্বাসীরা) আল্লাহর নূর নির্বাপিত করতে চায়, কিন্তু আল্লাহ তার নূরের পূর্ণতা দিতে চান, তিনি সত্য ধর্মসহ রাসুলকে প্রেরণ করেছেন।’ (সূরা তাওবা, ৯: ৩২-৩৩)। এবং, ‘অপরাধীরা অপ্রীতিকর মনে করলেও আল্লাহ তাঁর বাণী অনুসারে সত্য প্রতিষ্ঠা করবেন।’ (সূরা ইউনুস, ১০: ৮২)।

ইসলামের মূল শিক্ষা হলো উত্তম আচরণ। আল্লাহ বলেন, ‘মন্দের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করো উত্তম দ্বারা, তাহলে তোমার শত্রুও বন্ধু হয়ে যাবে।’ (সূরা হা-মীম সাজদাহ, ৪১: ৩৪)।

বিশ্বজগতের রহমত নবী মুহাম্মদ (সা.) ভালোবাসার এক অনন্য প্রতীক। কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘যদি তোমরা আল্লাহর ভালোবাসা পেতে চাও, তবে আমাকে অনুসরণ করো, তবেই আল্লাহ তোমাদের ভালোবাসবেন ও তোমাদের গুনাহ ক্ষমা করবেন।’ (সূরা আলে ইমরান, ৩: ৩১)।

হজরত মুহাম্মদ (সা.) উম্মতের প্রতি ছিল অকুণ্ঠ মায়া ও মমতার প্রতীক। তিনি কষ্ট ও কাঁটাতেই কষ্ট পেতেন, তাদের কল্যাণ কামনা করতেন। কোরআনে বলা হয়েছে, ‘তোমাদের মধ্য থেকে একজন রাসুল এসেছেন, যিনি তোমাদের বিপদে কষ্ট পান, তোমাদের কল্যাণকামী ও দয়ালু।’ (সূরা তাওবা, ৯: ১২৮)।

উহুদের যুদ্ধে দাঁত ভেঙে গেলেও, মাথা ফেটে গেলেও, খন্দকের যুদ্ধে শরীরে দাগ পড়লেও, তায়েফের মানুষের উপহাস, গালি, পাথর ছোড়াও সহ্য করে তিনি শান্তচিত্তে দোয়া করতেন- ‘হে আল্লাহ! আমার এই জাতিকে হিদায়াত দাও, তারা জানে না, বোঝে না।’ (শু’আবুল ঈমান, সুনানে বায়হাকী)।

এই মহানবী মানবতার জন্য আলোর দিশারি, শান্তির দূত, দয়া ও প্রেমের অনন্য আদর্শ। তার জীবন ও শিক্ষা অনুসরণ করলেই আমরা সত্যিকার মানবতা, ন্যায্যতা ও ঈমানের পথে অগ্রসর হতে পারব।

Link copied!