‘ওই কীরে কী, মধু… মধু… রসমালাই’ বলে তরমুজ বিক্রির সময় ভাইরাল হওয়া রনি এবার নতুন করে আলোচনায় এসেছেন লিচুকে ‘বসন্তের কোকিল’ বলে ডেকে। লিচুর নাম নিয়ে আবার আলোচনায় তরমুজ বিক্রেতা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এখন যিনি ‘বসন্তের কোকিল’ নামে পরিচিত।
এ প্রসঙ্গে রনি বলেন, লিচু বছরে একবার আসে, কোকিলও বসন্তে একবার ডাকে-এজন্যই লিচুর নাম দিয়েছি বসন্তের কোকিল। এই ছন্দময় ব্যাখ্যা, হাসিমাখা মুখ আর স্বতঃস্ফূর্ত আবেগ তাকে আবারও ভাইরাল করে তুলেছে।
এই ভিডিওটি ফেসবুক, টিকটক, ইনস্টাগ্রামসহ নানা প্ল্যাটফর্মে লাখো মানুষ দেখেছেন ও শেয়ার করেছেন। অনেকেই তার সংলাপ রিমিক্স করে মজার ভিডিও তৈরি করছেন। কেউ কেউ একে বলছেন ‘লোকসাংস্কৃতিক মার্কেটিং’-একধরনের আবেগনির্ভর মৌসুমি বিপণন কৌশল যা তার ভেতর থেকে আপনা-আপনি বেরিয়ে এসেছে।
তবে ভাইরাল হওয়া রনির জন্য কেবল আনন্দ বয়ে আনেনি। আগেরবার যখন তরমুজ বিক্রির সময় ভাইরাল হন, তখন প্রচুর ইউটিউবার আর দর্শনার্থী তার দোকানে ভিড় করে। এতে মূল ক্রেতারা আসতে ভয় পেতে থাকেন। আশপাশের দোকানিরাও এর প্রতিবাদ করেন। রনি বলেন, ভাইরাল হইয়া ব্যবসা লাটে উঠার জোগাড় হইছিল।
রনির বাড়ি মুন্সীগঞ্জের বিক্রমপুরে। স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে তার ছোট্ট সংসার। কারওয়ান বাজারে তিনি প্রায় ১৫ বছর ধরে মৌসুমি ফল বিক্রি করছেন। ভাইরাল হওয়ার সুবাদে কিছু বিজ্ঞাপনেও সুযোগ পেয়েছিলেন, তবে তার দাবি ‘অনেকে আমাকে দিয়ে বিজ্ঞাপন করাইছে, গিফট দেওয়ার কথা কইছে, কিন্তু কিছুই দেয় নাই। সবাই ঠকাইছে।’
তবে তিক্ত অভিজ্ঞতার পরও তার প্রাণখোলা হাসি, আন্তরিকতা ও মজার উচ্চারণ এখনো মানুষকে আনন্দ দেয়। তার নতুন এই লিচু-বিপণন স্টাইল আবারও প্রমাণ করল, সরলতা আর সৃজনশীলতা মিলে গেলে ভাইরাল হওয়া খুব কঠিন কিছু নয়।
আপনার মতামত লিখুন :