সংস্কার ও বিচার না করে কেন সবচেয়ে প্রভাবশালী ছাত্র উপদেষ্টা পদত্যাগ করে দল গঠন করল?- এমন প্রশ্ন তুলেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে তিনি বলেন, চেয়ারে থাকলে যা করা যায়, আজকে চিল্লাচিল্লি করেও যে তা করা যাবে না, সেটা কি অনুমেয় ছিল না?
কয়েক মাস আগে অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টার পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে নতুন গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক হয়েছেন জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম নায়ক নাহিদ ইসলাম।
ওপরের প্রশ্নগুলো মূলত তার উদ্দেশেই ছুড়ে দিয়েছেন রাশেদ খান।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) রাত ১২টা ১০ মিনিটে নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি ওই প্রশ্ন ছুড়ে দেন।
কারো নাম উল্লেখ না করেই পোস্টে গণঅধিকার পরিষদ নেতা বলেন, ‘এতদিন প্রধান উপদেষ্টা খুব ভালো ছিলেন। কিন্তু তিনি এখন হয়ে গেছেন গণঅভ্যুত্থানের চেতনার বিরোধী শক্তি! অথচ কিছুদিন আগেও তিনি ছিলেন তাদের কাছে খুব প্রিয়। তাদের যন্ত্রণায় সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা পর্যন্ত করা যেত না। অথচ সেই তারা প্রধান উপদেষ্টাকে নগ্ন ভাষায় সমালোচনা করছে!’
সমালোচনা করে রাশেদ খান বলেন, ‘মানে নির্বাচনের রোডম্যাপ দেওয়া যাবে না। নির্বাচন হয়ে গেলে তো তাদের বিচারপতি নিয়োগ, ডিসি নিয়োগ, ভিসি নিয়োগের খবরদারি থাকবে না। তাই যেকোনোভাবে সংস্কার ও বিচারের দোহাই দিয়ে নির্বাচন আটকাতে হবে। কিন্তু সংস্কার ও বিচার না করে কেন সবচেয়ে প্রভাবশালী ছাত্র উপদেষ্টা পদত্যাগ করে দল গঠন করল? চেয়ারে থাকলে যা করা যায়, আজকে চিল্লাচিল্লি করেও যে তা করা যাবে না, সেটা কি অনুমেয় ছিলো না?
নাহিদ ইসলামের পদত্যাগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, সরকার সেদিনই দুর্বল হয়ে পড়েছে, যেদিন থেকে পদত্যাগ শুরু হয়েছে। শোনা যাচ্ছে, সামনে আরও পদত্যাগ করে নির্বাচন বা রাজনীতিতে কয়েকজন উপদেষ্টা নাম লেখাবে। তখন তো এই সরকার আরও দুর্বল হবে।
সংবিধান ইস্যুতে রাশেদ খান বলেন, ‘আচ্ছা নতুন সংবিধান চান, তবে মুজিবাদী সংবিধান মেনে যে শপথ নিলেন, তখন মনে ছিলো না? সংবিধানকে স্বীকৃতি দিয়ে, হাসিনার রাষ্ট্রপতির হাতে শপথ নিয়ে আবার তাকেই অবৈধ বলা যায়?
তার ভাষায়, ‘নিত্য-নতুন দাবি করে নির্বাচন আটকানোর চেষ্টা করে দেশে ১/১১ নামিয়ে আনলে লাভটা কিন্তু হাসিনার হবে। তখন কিন্তু আমি আপনি আমরা কেউ বাঁচতে পারবো না। সুতরাং একগুঁয়ে মনোভাব না দেখিয়ে ঐক্যমতের ভিত্তিতে সংস্কার ও বিচারের পথপ্রক্রিয়া আবিষ্কার করে নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি সবার নেওয়া উচিত।
এনসিপি নেতা নাহিদের নাম উল্লেখ না করেই রাশেদ খান বলেন, ‘আপনি ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না, তো হাসিনা ফিরে আসার পর আরেকটি ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিনের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চান? নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত রোডম্যাপকে সাধুবাদ জানাতে পারছেন না কেন? এই নির্দেশনা তো ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস দিয়েছেন, তা কি জানেন না?’

 
                             
                                    

-20250828222412.webp)
 সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন 
                                     
                                     
                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                             
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
       -20251025002118.webp) 
        
        
        
        
        
       
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন