শুক্রবার, ০২ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রহিম শেখ

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৮, ২০২৪, ১২:২৪ এএম

পুঁজিবাজারে নীরব ‘রক্তক্ষরণ’

রহিম শেখ

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৮, ২০২৪, ১২:২৪ এএম

পুঁজিবাজারে নীরব ‘রক্তক্ষরণ’

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ঢাকা: আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছরে একের পর এক কারসাজিতে দেশের শেয়ারবাজার ছিল পতনে নিমজ্জিত। গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর তদারকি সংস্থাসহ সব খাতেই সংস্কার করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ৬ আগস্ট থেকে টানা চার কর্মদিবস চাঙ্গাও ছিল পুঁজিবাজার। বিনিয়োগকারীও আশায় বুক বেঁধে ছিলেন। কিন্তু এরপর থেকেই দরপতনের বৃত্তে আটকে গেছে শেয়ারবাজার। 

গত আড়াই মাসে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৯৫ শতাংশ কোম্পানির দর কমেছে। মুনাফা তো দূরের কথা, এই সময়ে ৯৮ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীর ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ পুঁজি কমে গেছে। দিনের পর দিন পুঁজি হারিয়ে লাখ লাখ বিনিয়োগকারী এখন নিঃস্ব, রিক্ত। আড়াই মাসে উধাও হয়ে গেছে বিনিয়োগকারীদের ৬২ হাজার কোটি টাকা। এ অবস্থায় গতকাল রোববারও ভয়াবহ ধস নেমেছে দেশের শেয়ারবাজারে। 

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্চের প্রধান মূল্যসূচক এক দিনেই ১৪৯ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার পয়েন্টের নিচে নেমে এসেছে। ফলে শেয়ারবাজার দীর্ঘ চার বছর পেছনের অবস্থানে চলে গেছে। অথচ অর্থনীতির বড় সংকটের মধ্যে থেকেও সরকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার সহায়তায় শ্রীলঙ্কার শেয়ারবাজার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। পাকিস্তানের পুঁজিবাজার উঠেছে রেকর্ড উচ্চতায়। 

অথচ দেশের শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা পুঁজি হারাচ্ছেন প্রতিদিনই। ফলে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের মাঝে চলছে হাহাকার আর নীরব ‘রক্তক্ষরণ’। এ যেন দেখার কেউ নেই। অথচ ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ, আইসিবি, নিয়ন্ত্রক সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীলরা নিশ্চুপ।

প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাম্প্রতিক সময়ের লেনদেন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ১২ আগস্ট থেকে গতকাল রোববার পর্যন্ত আড়াই মাসে তালিকাভুক্ত ৩৬০ কোম্পানির শেয়ার ও ৩৭ মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৩৭৮টি দর হারিয়েছে। এর মধ্যে ২০ থেকে ৭০ শতাংশ দর হারিয়েছে ২৭১ শেয়ার। 

গত এক বছরের সর্বনিম্ন দরে বা এর চেয়ে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ ওপরে অবস্থান করা শেয়ার সংখ্যা বেড়ে ১৮৬তে উন্নীত হয়েছে। এসব শেয়ার যেকোনো দিন বছরের সর্বনিম্ন দরে নেমে আসতে পারে। শেয়ারের এমন পতনের চিহ্ন রয়েছে মূল্যসূচকে। 

ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স গত আড়াই মাসে ১০৫০ পয়েন্ট হারিয়ে ৬০১৫ থেকে ৪৯৬৫ পয়েন্টে নেমেছে। সূচক পতনের হার ১৮ শতাংশ। গতকাল রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্চের প্রধান মূলসূচক এক দিনেই ১৪৯ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৯৬৫ পয়েন্টে নেমে এসেছে। অথচ সরকার বদলের খবরে সুদিনের আশায় বিনিয়োগকারীরা বড় মূলধন নিয়ে নেমেছিলেন। 

গত ৮ আগস্ট ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পরের কর্মদিবস ১১ আগস্ট ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ২ হাজার ৬৫ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়। এর আড়াই মাস পর গতকাল রোববার ঢাকা স্টক একচেঞ্জে মাত্র ৩০৩ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। 

গত ১২ আগস্ট ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৯ হাজার ৭৬৯ কোটি টাকা। গত রোববার লেনদেন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৪৭ হাজার ৮৮ কোটি টাকা। গত আড়াই মাসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বাজার মূলধন কমেছে প্রায় ৬২ হাজার কোটি টাকা। 

দর পতনের হাল এমনই, বিনিয়োগকারীরা দলে দলে লোকসানে শেয়ার বিক্রি করে বাজার ছাড়ছেন। এ অবস্থায় দরপতন পরিস্থিতি সামাল তো নয়ই, সান্ত্বনা দেওয়ার জন্যও বিনিয়োগকারীর পাশে কেউ নেই। 

বিনিয়োগকারীর ইলেকট্রনিক শেয়ারধারণকারী জাতীয় প্রতিষ্ঠান সিডিবিএলের তথ্য অনুযায়ী, ১ সেপ্টেম্বর থেকে গতকাল রোববার পর্যন্ত বিনিয়োগের জন্য নতুন ৯ হাজার ৭৪৬টি বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও অ্যাকাউন্ট) খোলা হয়েছে। দর পতনের ধারা দেখে বিও অ্যাকাউন্ট খুলেও এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৭৫টি অ্যাকাউন্টে বিনিয়োগকারী কোনো শেয়ারই কেনেননি। 

এ ছাড়া গত আট সপ্তাহে সম্পূর্ণ খালি হওয়া বিও অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ১৬ হাজার ৪৩টি বেড়ে ৩ লাখ ২৫ হাজার ৪৭৭টিতে উন্নীত হয়। সম্প্রতি খোলার পর অব্যবহৃত পড়ে থাকা দুই হাজার অ্যাকাউন্ট বাদ দিলেও সব শেয়ার বিক্রি করে খালি হওয়া অ্যাকাউন্ট সংখ্যা ১৩ হাজার ৯৬৮। কেন শেয়ারবাজার ছাড়ছেন বিনিয়োগকারীরা, এ নিয়ে গত কয়েক দিনে কথা হয় শেয়ারবাজারের লেনদেনের মধ্যস্থতাকারী ছয়টি ব্রোকারেজ হাউসের শীর্ষ কর্মকর্তার সঙ্গে। 

রূপালী বাংলাদেশকে তাঁরা জানান, বাজারে এ মুহূর্তে অর্থের চেয়ে বিনিয়োগকারীদের আস্থার সংকটই বেশি। এ কারণে বিও হিসাবে টাকা থাকার পরও অনেকে শেয়ার কিনছেন না। আবার অনেকে শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন ঠিকই, কিন্তু টাকা তুলে নিচ্ছেন না। শেয়ার বিক্রির পরও বিনিয়োগকারীদের টাকা বিও হিসাবে অলস পড়ে থাকছে। 

তাতে বোঝা যাচ্ছে, এই বিনিয়োগকারীরা বাজারে বিনিয়োগ করা নিয়ে আস্থাহীনতায় ভুগছেন। আস্থাহীনতার কারণ সম্পর্কে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্রোকারেজ হাউসের শীর্ষ নির্বাহী রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, পুনর্গঠিত বিএসইসির পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত যত ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সবই সংস্কারকে কেন্দ্র করে। এসব পদক্ষেপের সুফল হয়তো পাওয়া যাবে দীর্ঘ মেয়াদে। কিন্তু বিদ্যমান বাজার পরিস্থিতিতে স্বল্পমেয়াদি কোনো পদক্ষেপই দৃশ্যমান নয়। ফলে বিনিয়োগকারীদের আস্থায় চিড় ধরেছে। 

তবে শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, অতীতের অনিয়ম-দুর্নীতির ফল এখন ভোগ করছে শেয়ারবাজার। একদিকে টাকা ছাড়া শেয়ার ইস্যু হয়েছে। ওই শেয়ার কোম্পানির মালিকরা প্রক্রিয়ায় প্লেসমেন্ট আকারে বিক্রি করেছে। প্রভাবশালীরাও ভাগ নিয়েছে। 

অন্যদিকে কারসাজি করে শেয়ার দর বাড়িয়েছে কয়েকটি চক্র। বছরের পর বছর বিনিয়োগকারীরা তাদের অনুসরণ করে শেয়ার কেনাবেচা করেছেন। এখন কারসাজি চক্র নেই। অন্যদিকে কারসাজির চক্রের দেখাদেখি যারা শেয়ার কেনাবেচা করতেন, তারাও দিশা পাচ্ছেন না। ফলে দরপতন অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠেছে এমন মত শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট ও বিশ্লেষকদের। 

বিশ্লেষকরা আরও জানান, বাজারের এসব অনিয়মের সঙ্গে সরকারও ঊচ্চ কর আরোপ করে। ক্যাপিটাল গেইন ৫০ লাখ টাকার ওপর হলেই ৩০ শতাংশ কর আরোপ করেছে। করদাতা সম্পদশালী হলে তাদের সারচার্জসহ কর হয় সাড়ে ৪০ শতাংশ। এমন কর ব্যবস্থার কারণে অনেক বড় বিনিয়োগকারী বাজার ছেড়েছেন। তবে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা এ অবস্থায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির একের পর এক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা এবং তদন্তের উদ্যোগকে এ দরপতনের জন্য দায়ী করছেন। তারা পতন রুখতে এ সংস্থার হস্তক্ষেপও দাবি করছেন। 

সাইফুল ইসলাম নামের এক বিনিয়োগকারী বলেন, পুঁজিবাজারে যে ভয়াবহ দরপতন হচ্ছে তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। পোর্টফোলিওতে যে কয়টি শেয়ার কেনা আছে, প্রত্যেকটির দাম ৭০-৮০ শতাংশের বেশি গত আড়াই মাসে কমে গেছে। বিনিয়োগ করা পুঁজি চার ভাগের এক ভাগ হয়ে গেছে। তারপরও দরপতন থামছে না। 

তিনি বলেন, প্রতিদিন আশায় থাকি পুঁজিবাজারের পরিস্থিতি ভালো হবে। সকালে লেনদেনের শুরুতে বাজার কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী থাকে, কিন্তু অল্প সময়ের ব্যবধানে আবার দরপতন শুরু হয়। প্রতিদিন বাজারে একই চিত্র দেখতে হচ্ছে। প্রতিদিন শেয়ারের দাম কমে লোকসান বাড়ছে, এটা দেখা ছাড়া আমাদের যেন আর কোনো উপায় নেই। 

মনির হোসেন নামের আরেক বিনিয়োগকারী রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরা এখন কঠিন সময় পার করছেন। প্রতিদিন বিনিয়োগকারীদের লোকসান বাড়ছে। এ পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে থামবে বলা মুশকিল। যে হারে দরপতন হয়েছে, তাতে বেশিরভাগ বিনিয়োগকারী ৬০-৭০ শতাংশ লোকসানে রয়েছে। এত লোকসানে শেয়ার বিক্রি করা সম্ভব না। আবার ধরে রেখে যারা বিক্রি করছেন না, তাদের লোকসান বেড়েই চলেছে। 

তিনি বলেন, পুঁজিবাজারে প্রতিনিয়ত দরপতন হচ্ছে, কিন্তু বাজারকে এই পতনের বৃত্ত থেকে বের করে আনতে সংশ্লিষ্টদের কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে না। দিন দিন পুঁজিবাজার রক্তশূন্য হয়ে পড়ছে। দায়িত্বশীলদের উচিত পুঁজিবাজারের দিকে নজর দেওয়া। এভাবে চলতে থাকলে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরা নিঃস্ব হয়ে যাবেন, বাজারের ওপর বিনিয়োগকারীদের কোনো আস্থা থাকবে না। 

সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চলতি দরপতনের জন্য দায় বিগত সরকারের ১৫ বছরে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওই ১৫ বছরে অনিয়মের মাধ্যমে অস্তিত্বহীন এবং দুর্বল মৌলভিত্তির কোম্পানির শেয়ার তালিকাভুক্ত করা এবং কারসাজির মাধ্যমে শেয়ারের দর অস্বাভাবিক পর্যায়ে উঠানো হয়েছিল। 

কৃত্রিম ব্যবস্থা দিয়ে পতন ঠেকানোর ব্যবস্থাও করা হয়। এখন কোম্পানিগুলোর প্রকৃত অবস্থা বের হতেই দরপতন হচ্ছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তাও একই যুক্তি দিয়েছেন। 

তিনি বলেন, অনিয়ম করে টাকা ছাড়াই শেয়ার ইস্যু করেছিলেন কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকরা। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত করার জন্য বিভিন্ন প্রভাবশালীকেও বিনা টাকায় শেয়ার দেওয়া হয়েছিল। বহু শেয়ার প্রাইভেট প্লেসমেন্ট প্রক্রিয়ায় বিক্রি হয়। ওইসব শেয়ার বিক্রি করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের টাকা লুট হয়েছে। 

ওই কর্মকর্তা জানান, অনিয়মের মাধ্যমে শেয়ারবাজারে আসা শেয়ারগুলোর যখন দরপতন শুরু হয়েছে, তখন ফ্লোর প্রাইসের মতো কৃত্রিম ব্যবস্থা দিয়ে দরপতন ঠেকিয়ে রাখা হয়। ওই কৃত্রিম ব্যবস্থা তুলে নিতে এখন দরপতন হচ্ছে। 

গত সপ্তাহের বুধ ও বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজারের মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্যতম মার্চেন্ট ব্যাংক এবং ব্রোকারেজ হাউসের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে দীর্ঘ তিন ঘণ্টা করে প্রায় ছয় ঘণ্টা বৈঠক করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ওই দুই বৈঠকে চলতি দর পতনের কারণ বা এর থেকে উত্তরণের কোনো আলোচনাই হয়নি। 

বৈঠকে অংশ নেওয়া এমন প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা সিইও বলেন, আলোচনার অধিকাংশ সময়ে বিএসইসির চেয়ারম্যান এবং অন্য কর্মকর্তারা কথা বলেছেন। তাদের দীর্ঘ বক্তব্যের মূলে ছিল আইন অনুযায়ী বাজার পরিচালনা করবেন তারা। আইন বাস্তবায়নের জন্য আগে একটা সক্রিয় বাজার থাকা দরকার, যা তাদের অনুধাবন করা উচিত। 

ডিবিএ সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি ভালো নয়। এ অবস্থায় একদিকে দায়িত্বশীল পর্যায় থেকে ভরসা দেওয়া দরকার। তবে এখন মুখের কথায় কিছু হবে বলে মনে হচ্ছে না। কাউকে না কাউকে দর পতন ঠেকানোর উদ্যোগ নিতে হবে। 

যেমন- রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিনিয়োগ সংস্থা আইসিবি চাইলে শেয়ার কিনে পরিস্থিতি সামাল দিতে পারে। 

আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল হোসেন বলেন, এখন বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে নতুন বিনিয়োগ দরকার। এ জন্য নগদ টাকার দরকার, যা আইসিবির কাছে নেই। এ জন্য তিন হাজার কোটি টাকার সহায়তা চেয়েছিলেন। সরকার তিন হাজার কোটি টাকার ‘সভরেন গ্যারান্টি’ দিতে রাজি হয়েছে। গ্যারান্টি পেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে তার বিপরীতে ঋণ পাওয়া ।

জানতে চাইলে প্রাইম ব্যাংক সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, ব্যাংকে আমানত রাখলে ১০ থেকে ১২ শতাংশ মুনাফা মিলছে। ব্যক্তিশ্রেণির বড় বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ বিনিয়োগ বিবেচনায় ব্যাংকে টাকা রাখছেন। 

এমনকি যেসব ব্যাংকের হাতে অলস টাকা আছে, তারা ট্রেজারি বিল-বন্ডে বিনিয়োগ করছে। শেয়ারবাজারমুখী টাকার প্রবাহ নেই, উল্টো বড় বিনিয়োগকারী তুলে নিচ্ছে। 

পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ এবং রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু আহমেদ রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। আশা করি, আগামী ২ মাসের মধ্যে অর্থনীতির প্রভাব পুঁজিবাজারে পড়বে। পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানির সংকট রয়েছে, ভালো কোম্পানি আনতে হবে। এ জন্য ভালো কোম্পানি তালিকাভুক্তির বিষয়ে উদ্যোগ নিতে হবে। তবে সেটি করতে সময় লাগবে বলেও মনে করেন তিনি।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!