মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


উৎপল দাশগুপ্ত

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৮, ২০২৪, ১২:৪৬ এএম

শ্বেতপত্রে পাঠ্যবইয়ের হিসাব

১৫ বছরে সাড়ে ১১ হাজার কোটি খরচ

উৎপল দাশগুপ্ত

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৮, ২০২৪, ১২:৪৬ এএম

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

শিক্ষাবিদ, শিক্ষক ও অভিভাবকদের প্রবল আপত্তি সত্ত্বেও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির একগুঁয়েমিতে ২০২৩ সালে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয়। প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে ওই বছর নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা হয়। চলতি বছর দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নতুন শিক্ষাক্রমে পড়ানো হয়। ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে চতুর্থ, পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে মাধ্যমিক স্তরের সব শ্রেণিতে এবং ২০২৬ সালে একাদশ, ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণি নতুন শিক্ষাক্রমে চালু হওয়ার কথা ছিল।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার নতুন শিক্ষাক্রম বাতিলের ঘোষণা দেয়। কিন্তু সাবেক সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী ইতিমধ্যে সাত শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের জন্য পাঠ্যপুস্তক, শিক্ষক সহায়িকা প্রণয়ন ও শিক্ষক প্রশিক্ষণে বিপুল অর্থ ব্যয় হয়। নতুন শিক্ষাক্রম বাতিলের ফলে এ-সংক্রান্ত ব্যয়িত অর্থও গচ্চা গেছে। এ ছাড়া বিগত ১৫ বছর ধরে আওয়ামী সরকারের শাসনামলে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের বিনা মূল্যের পাঠ্যবই ছাপা নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতিরও অভিযোগ রয়েছে।

ব্যাংক-বীমাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাবেক সরকারের ব্যাপক লুটপাট ও আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে শ্বেতপত্র প্রকাশ কমিটির পক্ষ থেকে জাতীয় শিক্ষাক্রম পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) কাছে বিনা মূল্যের পাঠ্যবই ছাপার বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়। নির্দেশনা অনুযায়ী এনসিটিবি পাঠ্যবই ছাপার বিস্তারিত তথ্য পাঠায় শ্বেতপত্র কমিটির কাছে।

শ্বেতপত্রের আলোকে এনসিটিবির পাঠানো তথ্য থেকে দেখা গেছে, বিগত ১৫ বছরে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বই ছাপানোর জন্য সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করেছে এনসিটিবি। এনসিটিবির পাঠানো ওই হিসাবে ২০২৩ সালে তিনটি শ্রেণি ও চলতি বছরের চারটি শ্রেণির বই ছাপানো ও সংশ্লিষ্ট ব্যয়ের আলাদা হিসাব না থাকায় নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে কী পরিমাণ টাকা গচ্চা গেছে, সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায় না। তবে নতুন শিক্ষাক্রমে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক ও শিক্ষক সহায়িকা প্রণয়নের জন্য ১০টি কর্মশালায় ব্যয় দেখানো হয়েছে প্রায় দেড় কোটি টাকা, যা অস্বাভাবিক বলে মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

অন্যদিকে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাক্রম রূপরেখা, শিক্ষাক্রম উন্নয়ন, শিখন সামগ্রী উন্নয়ন ও শিক্ষক-কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ ব্যয় বাবদ চার অর্থবছরে ব্যয় দেখানো হয়েছে ২৬ কোটি ৬৩ লাখ ৮ হাজার ৪৫৯ টাকা।

এ বিষয়ে এনসিটিবির প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, বই ছাপার বিষয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ কমিটি যা যা তথ্য জানতে চেয়েছে, আমরা সেভাবেই এটি প্রস্তুত করে দিয়েছি। নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে ব্যয়ের পরিমাণ নিয়ে আলাদা হিসাব করা হয়নি।

সূত্রমতে, শ্বেতপত্র প্রকাশ কমিটির চাহিদামতো তথ্য সরবরাহে সময়ের স্বল্পতা থাকায় এনসিটিবির পাঠানো তথ্যে হয়তো ব্যয়ের অনেক হিসাব অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হয়নি।

শ্বেতপত্র কমিটিতে পাঠানো তথ্যের ভূমিকা অংশে সংস্কারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলা হয়, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড আইন, ২০১৮ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে এনসিটিবিকে আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।   

এদিকে ১০ কর্মশালায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়কে ‘অস্বাভাবিক’ বলে মন্তব্য করেছেন এনসিটিবির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান।

রূপালী বাংলাদেশকে তিনি বলেন, ব্যয়ের চিত্র অবশ্যই অস্বাভাবিক। শ্বেতপত্র কমিটিতে পাঠানো এই হিসাব মূলত একটি সারসংক্ষেপ। এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ হিসাব বিবরণী তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে কি না এমন প্রশ্নে চেয়ারম্যান বলেন, অবশ্যই, ভবিষ্যতে এ বিষয়ে খাতওয়ারি বিস্তারিত হিসাব প্রস্তুত করে আলোকপাত করা হবে।

একই ধরনের মন্তব্য করেছেন এনসিটিবির সদস্য (প্রাথমিক শিক্ষাক্রম) প্রফেসর এ এফ এম সারোয়ার জাহান।

রূপালী বাংলাদেশকে তিনি বলেন, ‘পাঠ্যবই প্রণয়নে আমরাও কর্মশালা করছি। তাতে আবাসিক কর্মশালা হলে পাঁচ দিনে সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা আর ইনডোর কর্মশালায় আরও কম লাগবে। এ ক্ষেত্রে ১০ কর্মশালায় দেড় কোটি টাকা ব্যয় অবশ্যই অস্বাভাবিক। ব্যয়ের এই হিসাব সন্দেহজনক।

শ্বেতপত্র কমিটির কাছে এনসিটিবির পাঠানো তথ্য থেকে জানা গেছে, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক ও শিক্ষক সহায়িকা তৈরির জন্য চলতি বছরের এপ্রিল থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত ১০টি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এই কর্মশালায় ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ৪২ লাখ ৭৮ হাজার ৪৮৬ টাকা। অর্থাৎ, প্রতিদিন ব্যয় হয়েছে গড়ে প্রায় ১৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে ৫ জুন সর্বোচ্চ ব্যয় হয়েছে ২৩ লাখ ৮২ হাজার ২২৩ টাকা। ১০ কর্মশালার সাতটির ব্যয় নির্বাহ হয়েছে পিইডিপি-৪ কর্মসূচির সহায়তার মাধ্যমে। বাকি তিন কর্মশালার খরচ জুগিয়েছে এনসিটিবি। কিন্তু নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন না হওয়ায় গচ্চা গেছে পুরো ব্যয়।

অন্যদিকে মাধ্যমিক শিক্ষাক্রম রূপরেখা, শিক্ষাক্রম উন্নয়ন, শিখনসামগ্রী উন্নয়ন ও শিক্ষক-কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ খাতে ২০২০-২১ অর্থবছরে মোট ব্যয়ের পরিমাণ ৪ কোটি ৩৮ লক্ষ ৮৭ হাজার ২৯৮ টাকা। এর মধ্যে এনসিটিবির নিজস্ব ফান্ড থেকে দেওয়া হয়েছে ২ কোটি ৮৩ লাখ ৫৮ হাজার ৪৭৩ টাকা। আর ইউনিসেফের সহায়তা থেকে পাওয়া গেছে ১ কোটি ৫৫ লাখ ২৮ হাজার ৮২৫ টাকা। ২০২১-২২ অর্থবছরে মোট ব্যয়ের পরিমাণ ৬ কোটি ৫২ লাখ ৮০ হাজার ৩৬৩ টাকা। এর মধ্যে এনসিটিবির নিজস্ব ফান্ড থেকে দেওয়া হয়েছে ৪ কোটি ৬ লাখ ৮২ হাজার ৭২১ টাকা। আর ইউনিসেফের সহায়তা থেকে পাওয়া গেছে ২ কোটি ৪৫ লাখ ৯৭ হাজার ৬৪২ টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট ব্যয়ের পরিমাণ ৮ কোটি ২ লাখ ৭৭ হাজার ৪৮৪ টাকা। এর মধ্যে এনসিটিবির নিজস্ব ফান্ড থেকে দেওয়া হয়েছে ৪ কোটি ৪৫ লাখ ৩১ হাজার ৬৮২ টাকা। আর ইউনিসেফের সহায়তা থেকে পাওয়া গেছে ৩ কোটি ৪৭ লাখ ৪৫ হাজার ৮০২ টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট ব্যয়ের পরিমাণ ৭ কোটি ৬৮ লাখ ৬৩ হাজার ৩১৪ টাকা। এর মধ্যে এনসিটিবির নিজস্ব ফান্ড থেকে দেওয়া হয়েছে ৩ কোটি ৯২ লাখ ৪৩ হাজার ৮৪১ টাকা। আর ইউনিসেফের সহায়তা থেকে পাওয়া গেছে ৩ কোটি ৭৬ লাখ ১৯ হাজার ৭৪২ টাকা।

অন্যদিকে বিগত ১৫ বছরে মাধ্যমিক ও প্রাথমিক স্তরে ১১ বছরে মোট ৫১ কোটি ৮২ লাখ ৬৩ হাজার ১৬১ শিক্ষার্থীর জন্য বই ছাপানো বাবদ মোট ব্যয় হয়েছে ১১ হাজার ৬৬১ কোটি ২৫ লাখ ৯৯ হাজার ২৪৭ টাকা। এর মধ্যে প্রাথমিক স্তরের ২৭ কোটি ৫০ লাখ ৯২ হাজার ১৬৯ শিক্ষার্থীর বই বাবদ খরচ হয়েছে ৩ হাজার ২৩১ কোটি ৫২ লাখ ৫৮ হাজার ৮১৬ টাকা। আর মাধ্যমিক স্তরের ২৪ কোটি ৩১ লাখ ৭০ হাজার ৯৯২ শিক্ষার্থীর বই বাবদ খরচ হয়েছে ৮ হাজার ৪২৯ কোটি ৭৩ লাখ ৪০ হাজার ৪৩১ টাকা।

এদিকে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের বই ছাপতে অনুমোদিত বাজেটের চেয়ে প্রায় ৭৫০ কোটি টাকা বেশি লাগছে বলে জানা গেছে, যা পূর্ববর্তী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রায় দ্বিগুণ।

জানা গেছে, পাঠ্যক্রম মুদ্রণ ও সরবরাহ (ইন্সপেকশনসহ), রয়্যালটি, পরিবহন ব্যয়, পাণ্ডুলিপি প্রণয়নকারীদের সম্মানী ও প্রশিক্ষণ খাতসহ পাঁচ খাতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের অনুমোদিত বাজেট বিভাজন ছিল ১ হাজার ২৫০ কোটি টাকা। পরবর্তীতে বাজেট পর্যালোচনায় ব্যয় বৃদ্ধির সম্ভাবনায় সংশোধিত বাজেট চাহিদা দাঁড়ায় ১ হাজার ৯৫৭ কোটি ৪০ লাখ ৪৪ হাজার ৬৬৭ টাকা।

এনসিটিবি সূত্র জানায়, গত বছরের তুলনায় ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রায় ৬ কোটি বই বেশি ছাপা হচ্ছে। এর মধ্যে দশম শ্রেণির বই রয়েছে প্রায় সাড়ে ৫ কোটি। এ ছাড়া বইয়ের মানের বিষয়ে এনসিটিবির কঠোর ভূমিকার ঘোষণায় প্রেস মালিকেরাও ভালো দাম দিয়ে বই ছাপার কাজ নিয়েছেন। শর্ত অনুযায়ী প্রেস মালিকেরা বই সরবরাহ করছেন কি না, এটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

বইয়ের সংখ্যা বাড়ায় ছাপার ব্যয় বেড়েছে মন্তব্য করে এনসিটিবি চেয়ারম্যান বলেন, এবার বইয়ের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৬ কোটিরও বেশি। পাশাপাশি বইয়ের ফর্মাও বেড়েছে। তাই গতবারের চেয়ে এবার টাকা বেশি লাগছে।

তিনি বলেন, ইতিপূর্বে আপনারা দেখেছেন, প্রেস মালিকেরা প্রাক্কলিত দরের চেয়ে অনেক কমে বই ছাপার কাজ করতেন। এর ফলে প্রেসগুলো নিম্নমানের বই দিয়ে লাভ করলেও ক্ষতি হতো শিক্ষার্থী ও এনসিটিবির। প্রতি বছর বই ছাপার জন্য অনুমোদিত বাজেটের প্রায় ২০০ কোটি বা তারও বেশি টাকা ফেরত যেত। কিন্তু বইয়ের মান খারাপ হওয়ায় আপনারাও সেটাকে ভালো বলেননি। তাই মানসম্পন্ন বইয়ের ক্ষেত্রে এবার আমাদের ‘জিরো টলারেন্স’।

এদিকে শ্বেতপত্র কমিটিতে পাঠানো এনসিটিবির বই ছাপার হিসাব থেকে দেখা গেছে, প্রাথমিক স্তরে ২০১২-১৩ অর্থবছর থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছর পর্যন্ত ১১ বছরে মোট ২৭ কোটি ৫০ লাখ ৯২ হাজার ১৬৯ শিক্ষার্থীকে ১২২ কোটি ৯২ লাখ ৫৬ হাজার ২০৮ কপি বই সরবরাহ করা হয়েছে। এসব বই উৎপাদন ও বিতরণের জন্য ব্যয় হয়েছে মোট ৩ হাজার ২৩১ কোটি ৫২ লাখ ৫৮ হাজার ৮১৬ টাকা।

অন্যদিকে মাধ্যমিক স্তরে ২০১০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ১৫ বছরে ইবতেদায়ি, মাধ্যমিক (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন), দাখিল, এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনাল, কারিগরি এবং ব্রেইলের মোট শিক্ষার্থী ছিল (প্রাথমিক ও মাধ্যমিক) ২৪ কোটি ৩১ লাখ ৭০ হাজার ৯৯২ জন। এসব শিক্ষার্থীর মধ্যে বই সরবরাহ করা হয়েছে ৩০২ কোটি ৯৪ লাখ ৯১ হাজার ৭৬৬ কপি। এসব বই উৎপাদন ও বিতরণে ব্যয় হয়েছে ৮ হাজার ৪২৯ কোটি ৭৩ লাখ ৪৩১ টাকা।

আরবি/জেডআর

Link copied!