বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৮, ২০২৫, ১২:৩২ এএম

ছাত্র সংসদ না জাতীয় কোন নির্বাচন আগে

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৮, ২০২৫, ১২:৩২ এএম

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

জাতীয় সংসদ নির্বাচন নাকি সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র সংসদ নির্বাচন আগে হবেÑ এ নিয়ে চলছে বিতর্ক। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের জোরালো দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিতে চেয়েছিল সরকার।

তারা মনে করেন, অচলায়তন ভেঙে ছাত্র সংসদ কার্যকর হলে শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফেরার পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষার্থীদের নির্যাতন-নিপীড়ন কমে আসবে। কিন্তু গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতনের পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও নির্বাচন নিয়ে নামকাওয়াস্তে দু-একটি প্রতিষ্ঠান ছাড়া কারো নেই কোনো রোডম্যাপ। এরই মধ্যে আগামী সংসদ নির্বাচনের প্রাথমিক রোডম্যাপের ইঙ্গিত দিয়েছে সরকার। ছাত্রদলসহ কিছু ছাত্রসংগঠনও তাড়াহুড়ো করে ছাত্র সংসদ নির্বাচন চাচ্ছে না। ফলে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের স্বপ্ন আপাতত অধরাই থেকে যাচ্ছে বলে ধারণা করছেন অনেকেই।

বাংলাদেশের অধিকাংশ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সর্বশেষ ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়েছে ১৯৯০ সালে। এরপর বিচ্ছিন্নভাবে দু-একটি প্রতিষ্ঠানে নির্বাচন হলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ নির্বাচন আটকে ছিল। সর্বশেষ দীর্ঘ ২৮ বছর বন্ধ থাকার পর ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ২০১৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ-ডাকসু নির্বাচনের আয়োজন করা হয়। সেই নির্বাচনেও ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলেছিল ছাত্রলীগ ছাড়া অধিকাংশ ছাত্রসংগঠন।

ছাত্রসংসদ নির্বাচন নিয়ে সর্বশেষ অবস্থা: দেশে বর্তমানে ৬১টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৫৩টিতে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। যার মধ্যে অন্তত ৪০টি পর্যাপ্ত অবকাঠামো, শিক্ষক-শিক্ষার্থী থাকায় নির্বাচন দেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে। এ ছাড়া সারা দেশের বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আরো সহস্রাধিক বড় মাপের কলেজ রয়েছে। এসব কলেজে একসময় নিয়মিত ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতো। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে শুধুমাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে। বাকি বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার জন্য শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করলেও কর্তৃপক্ষ এখনো খুব একটা সায় দেয়নি। কেউ কেউ কচ্ছপগতিতে এগোচ্ছে ছাত্রসংসদ নির্বাচনের দিকে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আবার নির্বাচন না দেওয়ার পক্ষে।

সর্বশেষ তথ্য মতে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-ডাকসু নির্বাচন আয়োজনে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ডাকসু ও হল সংসদের গঠনতন্ত্র সংশোধন বা পরিমার্জন কমিটি গঠনতন্ত্র সংশোধন করতে একাধিক বৈঠকও করেছে। নির্বাচন নিয়ে হয়েছে সিন্ডিকেট সভাও। বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান জানিয়েছেন, “এই নির্বাচন ঘিরে ‘নিয়মতান্ত্রিকভাবে’ কাজ করা হচ্ছে। ডাকসু আমাদের অঙ্গীকার। ডাকসুর জন্য একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছি। কমিটি সব অংশীজনের সঙ্গে কথা বলে সুপারিশ জমা দেবে। সেই সুপারিশের আলোকেই উৎসবমুখর ডাকসু নির্বাচন আয়োজন করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।”

অন্যদিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের জন্য পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করা হয়েছে ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামানকে। জাকসু নির্বাচন নিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের রোডম্যাপও প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, ১০ ও ১৫ জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। এ ছাড়া ২৫ জানুয়ারি নির্বাচনি আচরণবিধি প্রণয়ন করা হবে ও পয়লা ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে।

তবে ছাত্র সংসদ নির্বাচন চালু করলে আবার ছাত্ররাজনীতি ফেরার আশঙ্কা থাকায় ইউকসু নির্বাচন চান না বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। বুয়েট ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল আমিন সিদ্দিক বলেন, বুয়েটে এখনো ছাত্র সংসদ চালুর পরিকল্পনা নেই। অন্যদিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. শামীম উদ্দিন খান বলেন, নির্বাচনের বিষয়ে আমরাও আন্তরিক। সবার মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আর রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) উপাচার্য অধ্যাপক  ড. মো. শওকাত আলী বলেন, ছাত্র সংসদ নির্বাচনের জন্য গঠনতন্ত্র অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ওই গঠনতন্ত্রের আলোকে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে ছাত্র সংসদ ও হল সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হবে।

আরো কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিনির্ধারকরা বলেন, ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতিতে গতি আসলে দেশের অন্য সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ ছাড়াও সারা দেশের কলেজগুলোতেও নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে।

আগে কোন নির্বাচন? ছাত্রসংসদ নির্বাচনের আওয়াজ ওঠার পর থেকেই মাঠ গোছাতে শুরু করেছে ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ছাত্র ইউনিয়ন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন। বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সবার দৃষ্টি। নির্বাচন নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তোড়জোড় যখন তুঙ্গে, তখন ডাকসুর নির্বাচনে গঠনতন্ত্র সংশোধনের দাবি তুলে কৌশলে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে ছাত্রদল। স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্র সংসদ ও ছাত্রশিবিরসহ কয়েকটি ছাত্র সংগঠনের দাবি, দ্রুততম সময়ের মধ্যেই ডাকসু নির্বাচন দিতে হবে। রোডম্যাপ ঘোষণার জন্য তারা সময় বেঁধে দিয়ে এরই মধ্যে দুই দফায় আলটিমেটামও দিয়েছে। তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি অংশও। তবে ছাত্রদল, ছাত্র ফেডারেশনসহ অন্য কয়েকটি ছাত্রসংগঠন বলছে, নির্বাচন দিতে হবে। তবে তার আগে ডাকসুর বর্তমান ‘অগণতান্ত্রিক’ গঠনতন্ত্র সংস্কার করে তারপর নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ৩ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট সভায় ডাকসু নির্বাচন দ্রুত সম্পন্ন করার দাবি জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ দাবির সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে আলোচনা না করতে এবং দ্রুত কোনো সিদ্ধান্ত না নিতে উপাচার্যের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ান ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগে চার নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে শাখা ছাত্রদল। ওই দিন রাতেই ছাত্রদলের এমন কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে এবং দ্রুত ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

এ ছাড়া ক্যাম্পাসে রাজনীতি ও নির্বাচনের এই সুযোগ নিয়ে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সঙ্গেও মতবিরোধ বাড়ছে ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়নসহ কিছু ছাত্রসংগঠনের। কারণ, ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসংগঠনগুলো কয়েক দশক ধরে ‘শিবিরকে অবাঞ্ছিত কিংবা নিষিদ্ধ’ ঘোষণা করে রাখলেও গত পাঁচই আগস্টের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর সক্রিয় হতে শুরু করেছে শিবির।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ডাকসুসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন ঘিরে ভালো প্রস্তুতি থাকায় সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে শাখা ছাত্রশিবির ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ ক্ষেত্রে কিছুটা পিছিয়ে শাখা ছাত্রদলের নেতারা। কারণ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবগঠিত কমিটির শতকরা ৬০ ভাগ নেতাই অছাত্র। আবার পরিবর্তিত এই পরিস্থিতিতে এখন নির্বাচন হলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে কতটা গ্রহণযোগ্যতা পাবে, তা নিয়েও রয়েছে শঙ্কা।

এ ছাড়া বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তাদের ব্যাপক কর্মী-সমর্থন থাকলেও অনেক জায়গায় কমিটি নেই। আবার কমিটি থাকলেও রয়েছে গ্রুপিং। ফলে এখনই নির্বাচন হলে এসব পরিস্থিতি সামাল দিয়ে কতটা বিজয় নিশ্চিত করতে পারবে, তা নিয়ে রয়েছে শঙ্কা।

অন্যদিকে ছাত্রশিবির ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ কয়েকটি ছাত্রসংগঠন ছাড়া অধিকাংশ সংগঠনের নেতারাই মনে করেন, ডাকসু, জাকসুসহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রসংসদ নির্বাচন দেওয়া শুরু হলে মানুষের মূল ফোকাস চলে যাবে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দিকে। ফলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি আড়ালে চলে যেতে পারে। তাই তারা সংসদ নির্বাচনের পর ছাত্র সংসদ নির্বাচন চাচ্ছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন, ডাকসুর গঠনতন্ত্র সংস্কার ও নির্বাচনের বিষয়ে আলটিমেটাম বেঁধে দিয়ে তাড়াহুড়ার পক্ষে আমরা নই। যৌক্তিক সময় নিয়ে সব স্টেকহোল্ডারের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে ডাকসুর গণতান্ত্রিক ও সুষ্ঠু সংস্কারের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সহযোগিতা করে যাচ্ছি। 

ছাত্রনেতারা যা বলছেন:  জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেছেন, গত সাড়ে ১৫ বছরে বাংলাদেশের কোনো ক্যাম্পাসে কোনো ছাত্র সংগঠন স্বাভাবিক ধারায় রাজনীতি করতে সক্ষম হয়নি। এ সময়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংগঠনগুলোর দূরত্ব বেড়েছে এবং তারা সংগঠনগুলোর আদর্শ, কার্যক্রম ও পার্থক্য বুঝতে পারেনি।

গণঅভ্যুত্থানের পর পরিবর্তিত সময়ে সবেমাত্র শিক্ষার্থীরা ক্লাসে যাচ্ছে, পরীক্ষা দিচ্ছে। এক ধরনের প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। তাই ছাত্রসংগঠনগুলোকে বোঝার জন্য, জানার জন্য শিক্ষার্থীদের একটি ন্যায্য সময় দিলে সেই ছাত্র সংসদ অনেক কার্যকর হবে। অন্যদিকে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী দুঃশাসনের আমলের ক্যাম্পাস রাজনীতির সংস্কার চাই, যা শুরু হবে ছাত্রসংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে।  ক্যাম্পাসে ঐক্যের জন্য সবার আগে দরকার ছাত্রসংসদ নির্বাচন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব আরিফ সোহেল বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে ছাত্রসংসদ নির্বাচন হওয়ার দরকার আছে। নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যে নেতৃত্ব উঠে আসবে তারা হবে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের সামনের দিকের সেফ গার্ড।

এ সেফগার্ড খুব গুরুত্বপূর্ণ গণতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখার জন্য, তা না হলে এক-এগারো হতো না। আমরা ছাত্রসংসদ নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের আগে চাই এবং এটি করতে যা যা সংস্কার দরকার, সেসব দ্রুত সময়ে করতে হবে। এটি করতে কোনো গড়িমসি করলে আমরা বুঝে নেব এটি সামনের দিনে গণতন্ত্রকে দুর্বল করে রাখার পাঁয়তারা।

বাংলাদেশ গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সহ-সভাপতি নুরুল হক নুর এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ছাত্র সংসদ নির্বাচনের আগে জাতীয় নির্বাচন হবে না, হতে দেওয়া হবে না। প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মচারীদের নির্বাচন হয়, শিক্ষকদের নির্বাচন হয়, তাহলে ছাত্রদের নির্বাচন কেন হবে না? ছাত্র সংসদ নির্বাচন কেন হবে না? আমরা নতুন-তরুণদের রাজনীতিতে এগিয়ে আসার কথা বলছি। নতুন নেতৃত্বে তরুণদের সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার কথা বলছি। এ ক্ষেত্রে ছাত্রসংসদ নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।’

এদিকে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা ও ছাত্রনেতা মো. নাহিদ ইসলাম ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, যেকোনো জাতীয় বা অন্য কোনো নির্বাচনের আগে অন্তর্বর্তী সরকার ছাত্রসংসদ নির্বাচন আয়োজন করবে। ছাত্রদের রাজনৈতিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়াই হচ্ছে আমাদের সর্বপ্রথম কর্তব্য। ছাত্ররা দেশের ভালো চায় এবং দেশকে পুনর্গঠন করতে চায়। এ জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সহায়তা তারা কামনা করছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্ররাজনীতি সংস্কার করার দাবি প্রবলভাবে উঠেছে।

আরবি/জেডআর

Shera Lather
Link copied!