বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৯, ২০২৪, ০৯:২৭ এএম

ভাল টার্গেট দিয়েও ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে হারল টাইগাররা

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৯, ২০২৪, ০৯:২৭ এএম

ভাল টার্গেট দিয়েও ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে হারল টাইগাররা

ছবি: সংগৃহীত

টেস্ট ১-১ সমতায় শেষ করে এবার ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যেখানে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতেই রোববার (৮ ডিসেম্বর) টাইগারদের ৫ উইকেটে হারিয়েছে ক্যারিবীয়রা। এর মধ্যদিয়ে হার দিয়ে ওয়ানডে সিরিজ শুরু করলো মেহেদি হাসান মিরাজের দল।

এর আগে সেন্ট কিটসে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৯৪ রানের বড় সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৪ রান করেছেন মিরাজ। এছাড়া ফিফটি হাঁকিয়েছেন তানজিদ তামিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

এদিন টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু করে বাংলাদেশ। দৃষ্টিনন্দন তিনটি বাউন্ডারি মেরেছিলেন সৌম্য সরকার। কিন্তু তাতেই মনে হচ্ছিল অতি আত্মবিশ্বাস ভর করেছে তার ওপর। যার খেসারত দিতে হয় ৫ম ওভারের ৫ম বলে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে। ১৮ বলে ১৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি।

পরে দ্রুত আউট হয়ে দলকে বিপদে ফেলেন সৌম্য ও লিটন দাস। এরমধ্যে ওয়ান ডাউনে ব্যাট করতে নেমে লিটন খেলেছেন ৭ বলে মাত্র ২ রানের ইনিংস। ৪৬ রানে ২ উইকেট পড়ার পর জুটি বেঁধে দলকে উদ্ধারের কাজ করেন আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম এবং অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। ৭৯ রানের জুটি গড়েন তারা।

অন্যদিকে এরই মধ্যে ক্যারিয়ারের তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন তানজিদ হাসান তামিম, কিন্তু ইনিংসটা আরও বড় করতে পারেননি। ৬০ রানের মাথায় আউট হয়ে যান বাঁহাতি এই ওপেনার। ৬০ বলে খেলা ইনিংসটি সাজানো ছিল ৬টি বাউন্ডারি আর ৩টি ছক্কায়।

এরপর আফিফ হোসেনকে নিয়ে ৬২ বলে ৫৪ রানের জুটি গড়েন মিরাজ। ২৯ বলে ২৮ করে আউট হন আফিফ। মিরাজ খেলছিলেন দেখেশুনে ধীরগতিতে। শেষ পর্যন্ত মারমুখী হতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। সিলসকে বড় শট খেলতে গেলে বল উঠে যায় আকাশে। ১০১ বলে ৬ চার আর ১ ছক্কায় মিরাজের ইনিংসটি ছিল ৭৪ রানের।

এরপর মাহমুদউল্লাহ আর জাকেরের ঝোড়ো জুটিতে ২৯৪ রান পর্যন্ত গেছে বাংলাদেশের ইনিংস। শেষ দুই বলে রান আসলে হয়তো ৩০০ ছোঁয়া হয়ে যেতো। ওয়েস্ট ইন্ডিজের রোমারিও শেফার্ড ৫১ রানে ৩টি আর আলজেরি জোসেফ ৬৭ রানে নেন ২টি উইকেট।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে ক্যারিবীয়দের শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি। স্কোরবোর্ডে ২৭ রান যোগ করতেই দুই ওপেনারকে হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্যারিবীয়ান শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন তানজিম হাসান সাকিব। এই পেসারের করা অষ্টম ওভারের পঞ্চম বলটি স্কিড করে ঢুকেছিল। তবে ব্যাটে খেলতে পারেননি কিং। লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ার আগে ১৭ বলে ৯ রান করেন তিনি।

ক্যারিবীয়দের আরেক ওপেনার এভিন লুইসকে সাজঘরে ফেরান নাহিদ রানা। এই পেসারের গতিতে পরাস্ত হয়েছেন লুইস। ৩১ বলে ১৬ রান করে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন তিনি।

তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ভালো ভিত গড়ে দেন শাই হোপ ও কেসি কার্টি। যদিও ২১ রান করা কার্টিকে ফিরিয়ে সেই জুটি ভাঙেন রিশাদ। কিন্তু কার্টি সাজঘরে দ্রুত ফিরলেও শতকের পথে এগোচ্ছিলেন হোপ। শেষ পর্যন্ত ৮৬ রানে তাকে ফেরান মিরাজ।

পরবর্তীতে হোপের বিদায়ের পর শারেফানে রাদারফোর্ডের সঙ্গে শক্ত জুটি গড়েন জাস্টিন গ্রেভস। তারা উভয়েই ঝোড়ো ব্যাটিং করেছেন। সাজঘরে ফেরার আগে ৮০ বলে ১১৩ রান করেছেন মিডল অর্ডার ব্যাটার রাদারফোর্ড। অন্যদিকে ৪১ রানে অপরাজিত ছিলেন গ্রেভস। টাইগারদের হয়ে একটি করে উইকেট শিকার করেন নাহিদ রানা, তানজিম সাকিব, মেহেদি মিরাজ, রিশাদ হোসেন ও সৌম্য সরকার।

আরবি/এফআই

Link copied!