চ্যাম্পিয়নস ট্রফির অধিনায়কদের অনুষ্ঠান বাতিল

আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির অধিনায়কদের নিয়ে যে অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল, সেটি বাতিল করা হয়েছে। একসঙ্গে এত অধিনায়ককে আর কোথাও দেখা যায় না বললেই চলে। ‘ক্যাপ্টেনস ইভেন্ট’ সবাইকে এ সুযোগটা করে দেয়। আর এটা হতে পারে শুধু আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টের আগে।

তবে এবারের অনেক আলোচিত চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অধিনায়কদের এই অনুষ্ঠান হচ্ছে না। পাকিস্তানের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ এই খবরই দিয়েছে। শুধু এটি নয়, পাকিস্তানের বহুল আকাঙ্ক্ষিত এই টুর্নামেন্টে থাকছে না কোনো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানও। স্বাভাবিকভাবেই অধিনায়কদের এই অনুষ্ঠান করতে চেয়েছিল পিসিবি। 

তবে যাঁদের নিয়ে অনুষ্ঠান করবে, সেই অধিনায়কদেরই সময়মতো পাচ্ছে না তারা। ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা পাকিস্তানে যাচ্ছেন না, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া সেটি নিশ্চিত করেছিল। 

এ ছাড়া ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ককেও সময়মতো পাচ্ছে না পিসিবি। ক্রিকবাজসহ পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলো তাদের সূত্রের বরাতে খবর দিয়েছে, ইসিবি ও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া তাদের সফরসূচি চূড়ান্ত করেছে। 

সে সূচি অনুযায়ী ইংল্যান্ড ১৮ ফেব্রুয়ারি ও অস্ট্রেলিয়া ১৯ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে যাবে। যেখানে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শুরুই হবে ১৯ ফেব্রুয়ারি। ইংল্যান্ড বর্তমানে ভারত সফরে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে সিরিজ খেলছে। এই সিরিজ শেষে দলকে ৭ দিনের বিশ্রাম দিতে চায় ইসিবি। 

ইংল্যান্ডের ভারত সিরিজ শেষ ১২ ফেব্রুয়ারি। শ্রীলঙ্কায় অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট সিরিজ শেষ হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি। পাকিস্তানে যাওয়ার আগে তারাও পাচ্ছে ৪ দিনের বিশ্রাম। এমনকি তারা পাকিস্তানে প্রস্তুতি ম্যাচও খেলবে না। প্রতিটি দলের দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগ ছিল। তবে তারা সরাসরি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেই খেলতে চাইছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানও ঠিক একই কারণে হবে না। 

জিও সুপারে নাম না প্রকাশের শর্তে আইসিসির একজন কর্মকর্তা বলেছেন, পিসিবি ও আইসিসির আগ্রহ থাকার পরও ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া যথাযথ সময়ে না আসায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হচ্ছে না। যদিও উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হওয়ার বিষয়ে আগে কোনো ঘোষণা দেয়নি পাকিস্তান। 

ক্রিকবাজেও সেটিই বলেছেন সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা, ‘আইসিসি বা পিসিবি কারও পক্ষ থেকেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ঘোষণা হয়নি।’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা বাতিল করলেও পাকিস্তান টুর্নামেন্ট ঘিরে উদ্‌যাপন করতে চায়। জিও সুপার জানিয়েছে, ১৯ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান–নিউজিল্যান্ড ম্যাচের আগে বিশেষ কোনো আয়োজন করতে চায় পিসিবি।