আমিরাতের নারী ক্রিকেটে নতুন দিগন্ত উন্মোচন

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) ওয়ানডে মর্যাদা (২০১৫-২৯ চক্র) লাভ করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের নারী ক্রিকেট দল। এই সুখবর যখন আমিরাতের মেয়েরা পেল, তখন যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেটে নেমে এসেছে সর্বনাশের হতাশা।

আইসিসির ওয়ানডে স্ট্যাটাস পাওয়া দলের সংখ্যা এখন ১৬। এই তালিকায় এতদিন থাকা যুক্তরাষ্ট্রের স্থলাভিষিক্ত হয়েছে আমিরাতের নারী ক্রিকেট দল।

পারফরম্যান্সের বিচারে মার্কিনিদের বাদ পড়ার সুযোগে আইসিসির সহযোগী সদস্য দেশের তালিকায় নিজেদের নাম লিখিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটি।

গতকাল (শুক্রবার) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

প্রিমিয়ার লিগে উত্তপ্ত সন্ধ্যা বসুন্ধরা-আবাহনী ম্যাচে বিতর্কিত লাল কার্ড ও হাতাহাতি

বিস্তারিত পড়ুন

আইসিসির তথ্য অনুযায়ী, নারী ক্রিকেটে ওয়ানডে মর্যাদা পাওয়া পাঁচটি সহযোগী দেশ হলো– থাইল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, পাপুয়া নিউগিনি, নেদারল্যান্ডস এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।

মূলত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে শক্তিশালী পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতার ফলস্বরূপ ১৬তম দল হিসেবে ওয়ানডে মর্যাদা লাভ করেছে আমিরাত।

আইসিসির বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, আইসিসি নারী বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে উত্তীর্ণ হওয়ার মাধ্যমে থাইল্যান্ড (১১তম) ও স্কটল্যান্ড (১২তম) তাদের ওয়ানডে স্ট্যাটাস ধরে রেখেছে। 

অন্যদিকে, পাপুয়া নিউগিনি (১৩তম) ও নেদারল্যান্ডস (১৫তম) টি-টোয়েন্টি র‍্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে এই মর্যাদা পেয়েছে। নারী টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সর্বশেষ বার্ষিক র‍্যাঙ্কিংয়ে এই দেশগুলোর পরেই অবস্থান করছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, যা তাদের ওয়ানডে মর্যাদা পেতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

সাধারণত, কোনো দলকে ওয়ানডে স্ট্যাটাস পেতে তিন-চার বছরের চক্রে ফরম্যাটটিতে ন্যূনতম আটটি ম্যাচ খেলার পাশাপাশি র‍্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি করতে হয়।

গত মাসে পাকিস্তানের মাটিতে অনুষ্ঠিত নারী বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব থেকে স্বাগতিক পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মেয়েরা টুর্নামেন্টের মূল পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওই প্রতিযোগিতায় ব্যর্থ হয়েছে।