রবিবার, ০৪ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ৩, ২০২৫, ০৪:৫৭ পিএম

খেলোয়াড় থেকে কিংবদন্তী কোচ ‘পেপ গার্দিওলা’

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ৩, ২০২৫, ০৪:৫৭ পিএম

খেলোয়াড় থেকে কিংবদন্তী কোচ ‘পেপ গার্দিওলা’

জোসেফ পেপ গার্দিওলা। ছবি: সংগৃহীত

জোসেফ পেপ গার্দিওলা স্পেনের বার্সেলোনার নিকটবর্তী সান্টপেডোরে ১৯৭১ সালের ১৮ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। ফুটবল খেলার প্রতি তার প্রবল আগ্রহ ছোটবেলা থেকেই ছিল। মাত্র ১৩ বছর বয়সে তিনি স্থানীয় ক্লাব জিমন্যাস্টিক মানরেসা থেকে বার্সেলোনার যুব একাডেমিতে যোগদান করেন।

বার্সেলোনার বিখ্যাত ‘লা মাসিয়া’ যুব একাডেমি থেকে উঠে আসা গার্দিওলা ১৯৯০ সালে সিনিয়র দলে অভিষেক করেন। ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে তিনি দ্রুত দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে ওঠেন।

কিংবদন্তী ইয়োহান ক্রুইফের অধীনে বার্সেলোনার ‘ড্রিম টিম’-এর অংশ ছিলেন গার্দিওলা, যে দল ১৯৯২ সালে ক্লাবের ইতিহাসে প্রথম ইউরোপিয়ান কাপ জেতে এবং ১৯৯১ থেকে ১৯৯৪ পর্যন্ত টানা চারটি লা লিগা শিরোপা অর্জন করে।

গার্দিওলা ১৯৯৭ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বার্সেলোনার অধিনায়ক ছিলেন। বার্সেলোনার হয়ে তিনি ২৬৩টি লিগ ম্যাচে ৬টি গোল করেন। ২০০১ সালে বার্সেলোনা ছাড়ার পর তিনি ইতালির ব্রেসিয়া ও রোমা, কাতারের আল-আহলি এবং মেক্সিকোর ডোরাডোসের হয়ে খেলেন। স্পেনের জাতীয় দলের হয়ে তিনি ৪৭টি ম্যাচ খেলেন এবং ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেন।

কিংবদন্তী কোচ পেপ গার্দিওলার কোচিং জীবন

খেলোয়াড় হিসেবে অবসর নেওয়ার পর গার্দিওলা ২০০৭ সালে বার্সেলোনা ‘বি’ দলের কোচ হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। তার অধীনে দলটি তৃতীয় বিভাগ থেকে দ্বিতীয় বিভাগে উন্নীত হয়। ২০০৮ সালে ফ্র্যাঙ্ক রাইকার্ডের স্থলাভিষিক্ত হয়ে বার্সেলোনার মূল দলের কোচ হন গার্দিওলা।

বার্সেলোনার কোচ হিসেবে গার্দিওলার সময়কাল ছিল অভাবনীয় সাফল্যের। তার অধীনে বার্সেলোনা ২০০৯ সালে লা লিগা, কোপা দেল রে এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতে ঐতিহাসিক ‘ট্রেবল’ অর্জন করে। তিনি বার্সেলোনাকে দুটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, তিনটি লা লিগা এবং দুটি কোপা দেল রে সহ মোট ১৪টি শিরোপা জেতান। তার উদ্ভাবনী কৌশল বিশ্বজুড়ে প্রশংসা কুড়ায়।

অপরদিকে ২০১৩ সালে গার্দিওলা জার্মানির বায়ার্ন মিউনিখের কোচ হন এবং সেখানে টানা তিনটি বুন্দেসলিগা শিরোপা জেতেন। ২০১৬ সালে তিনি ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার সিটির কোচ হিসেবে যোগদান করেন। ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে তিনি ছয়টি প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা, দুটি এফএ কাপ এবং চারটি লিগ কাপ জিতেছেন। ২০২৩ সালে তার অধীনে ম্যানচেস্টার সিটি প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জেতে এবং ‘ট্রেবল’ অর্জন করে।

এদিকে সম্প্রতি তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে ইতিহাদ স্টেডিয়াম ছাড়ার পর তিনি কোচিং থেকে কিছু সময়ের জন্য বিরতি নেবেন। তবে, ঠিক কবে তিনি অবসর গ্রহণ করবেন, সে বিষয়ে এখনও কোনো নিশ্চিত খবর দেননি।

গত নভেম্বরে গার্দিওলা সিটির সঙ্গে ২০২৭ সালের জুন মাস পর্যন্ত দুই বছরের নতুন চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এই চুক্তি অনুযায়ী, ৫৪ বছর বয়সী এই স্প্যানিশ কোচ যদি তার মেয়াদ পূর্ণ করেন, তাহলে তিনি সিটির ডাগআউটে দীর্ঘ ১১ বছর অতিবাহিত করবেন। 

ইএসপিএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গার্দিওলা বলেন, ‘সিটির সঙ্গে আমার চুক্তির মেয়াদ শেষ হলেই আমি থামব, এটা নিশ্চিত। আমি জানি না আমি অবসর নেব কিনা, তবে আমি কিছু দিনের জন্য বিরতি অবশ্যই নেব।’

পেপ গার্দিওলা আধুনিক ফুটবলের অন্যতম প্রভাবশালী কোচ হিসেবে বিবেচিত হন। তার কৌশল, খেলার দর্শন এবং দলের প্রতি তার আবেগ তাকে বিশ্বজুড়ে খ্যাতি এনে দিয়েছে। খেলোয়াড় জীবন থেকে কোচিং জীবনে তার এই অসাধারণ যাত্রা তাকে ফুটবল ইতিহাসের কিংবদন্তীদের একজন করে তুলেছে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!