অবশেষে দিল্লি ক্যাপিটালসের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হলো। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পক্ষ থেকে মুস্তাফিজুর রহমানের জন্য তিন ম্যাচের অনাপত্তি পত্র (এনওসি) প্রদান করা হয়েছে।
এর ফলে আইপিএল ২০২৫-এর লিগ পর্বের বাকি সবগুলো ম্যাচেই এই টাইগার পেসারকে পাবে দিল্লির ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
প্লে-অফের দৌড়ে টিকে থাকার জন্য মুস্তাফিজুর রহমানের উপস্থিতি দিল্লি ক্যাপিটালসের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পয়েন্ট টেবিলে বর্তমানে পঞ্চম স্থানে থাকা দিল্লী ১১ ম্যাচে ৬টি জয় নিয়ে ১৩ পয়েন্ট অর্জন করেছে।
তাদের পরবর্তী তিনটি ম্যাচ গুজরাট টাইটান্স, মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স এবং পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে। এই ম্যাচগুলোতে জয়লাভ করে শেষ চারে নিজেদের স্থান পাকা করতে মরিয়া অক্ষর প্যাটেলের দল।
এর আগে, আইপিএল স্থগিত হওয়ার পর চোট এবং ব্যক্তিগত কারণে বেশ কয়েকজন বিদেশি ক্রিকেটার দল ছেড়ে যাওয়ায় ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো সমস্যায় পড়েছিল। দিল্লি ক্যাপিটালসও চোটের কারণে তাদের অস্ট্রেলিয়ান তারকা জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্ককে হারিয়েছে।
অন্যদিকে, মিচেল স্টার্কও আইপিএলের বাকি অংশে না খেলার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় একটি অভিজ্ঞ পেসারের অভাব অনুভব করছিল দিল্লি। এই পরিস্থিতিতে নিলামে অবিক্রিত থাকা মুস্তাফিজুর রহমানকে দলে অন্তর্ভুক্ত করে তারা।
রেকর্ড ৬ কোটি রুপির বিনিময়ে মুস্তাফিজকে দলে নিলেও তার এনওসি পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। জাতীয় দলের সাথে আরব আমিরাত সফরে থাকায় তার যোগদান নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছিল।
তবে শেষ পর্যন্ত মুস্তাফিজুর রহমান এবং দিল্লি ক্যাপিটালসের চাওয়া পূরণ করেছে বিসিবি। আরব আমিরাতের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি খেলেই ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন এই কাটার মাস্টার।
এদিকে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ দল মুস্তাফিজকে পাবে না। তবে দিল্লি ক্যাপিটালস লিগ পর্বের বাকি তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তাদের এই তারকা পেসারকে পাচ্ছে।
এর আগে ২০২২ সালে দিল্লির হয়ে ৮টি ম্যাচ খেলে ৮টি উইকেট এবং ২০২৩ সালে ২টি ম্যাচ খেলে ১টি উইকেট নিয়েছিলেন মুস্তাফিজ। পরের বছর চেন্নাই সুপার কিংস তাকে দলে নিলেও ২০২৫ সালের নিলামে তিনি দল পাননি।
আপনার মতামত লিখুন :