ঢাকা শনিবার, ১৭ মে, ২০২৫

জাতীয় দলে উপেক্ষিত সাবিনা-মাসুরা, ভুটান থেকে ডাক পেলেন পাঁচ তরুণী

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ১৭, ২০২৫, ০২:১৫ পিএম
ছবি : সংগৃহীত

ভুটানের নারী ফুটবল লিগে খেলা বাংলাদেশের ১০ ফুটবলারের মধ্যে পাঁচজনকে জাতীয় দলে ডেকেছেন ব্রিটিশ কোচ পিটার বাটলার।

আজ (শনিবার) সকালে ভুটান থেকে ঋতুপর্ণা চাকমা, রুপ্না চাকমা, শামসুন্নাহার, মনিকা চাকমা ও মারিয়া মান্দা ঢাকায় বাফুফে ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন। 

তবে জাতীয় দলের নিয়মিত মুখ সাবিনা খাতুন, মাসুরা পারভীন, সানজিদা আক্তার ও কৃষ্ণা রাণী সরকারের ডাক না পাওয়াতে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

আগামী জুনে মিয়ানমারে নারী এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের আগে প্রস্তুতি হিসেবে বাংলাদেশ দল ২৭ মে জর্ডানে একটি ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টে অংশ নেবে। এই টুর্নামেন্টের জন্য বাফুফের ডাকে সাড়া দিয়ে ভুটানের তিনটি ক্লাব তাদের পাঁচ ফুটবলারকে ছেড়ে দিয়েছে।

তবে আশ্চর্যজনকভাবে এই দলে জায়গা হয়নি জাতীয় দলের অভিজ্ঞ এবং গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় সাবিনা খাতুন, মাসুরা পারভীন, সানজিদা আক্তার ও কৃষ্ণা রাণী সরকারের। তাদের সঙ্গে বাদ পড়েছেন জাপানিজ বংশোদ্ভূত মাতসুসিমা সুমাইয়াও।

ফুটবল সংশ্লিষ্টদের ধারণা, কোচ পিটার বাটলারের বিরুদ্ধে খেলোয়াড়দের বিদ্রোহের কারণেই এই পাঁচজনকে দলে নেওয়া হয়নি। গত মার্চে কোচ বাটলারের অনুশীলন বয়কট করেছিলেন ১৮ জন নারী ফুটবলার, যার ফলস্বরূপ তারা আরব আমিরাতের প্রীতি ম্যাচেও অংশ নেননি। 

সেই বিদ্রোহে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন দুইবারের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন ও মাসুরা পারভীন। এ ছাড়াও, সুমাইয়া বাফুফে সভাপতির কাছে চিঠি লিখেছিলেন।

সানজিদা ও কৃষ্ণার সঙ্গে এই তিনজনের ঘনিষ্ঠতা থাকায় কোচ তাদেরও বাদ দিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

যদিও বাফুফে কিংবা কোচ বাটলার এই বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা দেননি, তবে ফুটবল অঙ্গনে এই দল নির্বাচন নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে। বিদ্রোহের পর কোচ ও খেলোয়াড় উভয় পক্ষ অতীত ভুলে যাওয়ার কথা বললেও, বাটলারের দল নির্বাচন অন্য ইঙ্গিত দিচ্ছে।

অক্টোবরে সাফ টুর্নামেন্টের পর থেকে সিনিয়র খেলোয়াড়রা মাঠের বাইরে ছিলেন। তবে ভুটানে খেলতে যাওয়া ১০ জনের প্রত্যেকেই সম্প্রতি একটি করে ম্যাচ খেলেছেন, যেখানে কৃষ্ণা ও সাবিনা ম্যাচসেরার স্বীকৃতিও পেয়েছেন।

বাফুফে অবশ্য সেই ম্যাচের আগেই তিন ক্লাবের কাছে পাঁচ খেলোয়াড় চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছিল।

২০২২ ও ২০২৪ সালের সাফ চ্যাম্পিয়ন দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সেরা ফুটবলার হিসেবে পরিচিত। মাসুরা পারভীনও দেশের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার।

এমন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের বাদ দিয়ে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের জন্য দল গঠন করায় প্রশ্ন উঠেছে কোচের কৌশল নিয়ে।