ঢাকা শনিবার, ১৭ মে, ২০২৫

ছবিতে লাল সবুজের জার্সিতে প্রথম ওয়ানডে জয়ের ক্রিকেটাররা

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ১৭, ২০২৫, ০৭:১৮ পিএম
১২ বছরের অপেক্ষা শেষে নিজেদের ২৩তম ম্যাচে গিয়ে আসলো টাইগারদের প্রথম জয়। ছবি-সংগৃহীত

প্রায় ১২ বছরের অপেক্ষা শেষে নিজেদের ২৩তম ম্যাচে গিয়ে আসলো টাইগারদের প্রথম জয়। হায়দরাবাদের লাল বাহাদুর শাস্ত্রী স্টেডিয়ামে ইতিহাসে প্রথম ওয়ানডে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ

কেনিয়াকে হারিয়ে প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ম্যাচে জয়ের দেখা পেলো বাংলাদেশ। অথচ এই কেনিয়াকে হারিয়ে ১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফি জয়ের পর তাদের বিপক্ষে আর জিততেই পারছিল না বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডে জয়ের কারিগর ছিলেন দুই ওপেনার আতহার আলী খান ও মোহাম্মদ রফিক। স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার রফিক ওপেন করতেন মাঝেমধ্যে, পুরো ক্যারিয়ারে ৮ বার নেমেছেন ব্যাট শুরু করতে।
আতহার আলী খান এখনো দেশের ক্রিকেটে বেশ পরিচিত এক নাম। বাংলাদেশের খেলা প্রায় সব সিরিজেই ধারাভাষ্যকক্ষে দেখা যায় বাংলাদেশের হয়ে ১৯টি ওয়ানডে খেলা এই ওপেনারকে।


 

মো. রফিক শুধুমাত্র একজন স্পিন বোলারই ছিলেন না ছিলেন হার্ড হিটার অলরাউন্ডারও। ক্রিকেট থেকে অবসরের পর কিছুদিন বিসিবির হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) বিভাগের স্পিন কোচ হিসেবে কাজ করেছেন। বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি দলগুলোতেও যুক্ত হয়েছিলেন। সর্বশেষ বিপিএলে রংপুর রাইডার্সের স্পিন বোলিং কোচ ছিলেন রফিক। 

 
মিনহাজুল আবেদীন বাংলাদেশ ক্রিকেটের নির্বাচক প্যানেলে কাটিয়ে দিয়েছেন এ-কে এ-কে ১০ বছর। এখন তিনি বিসিবির প্রোগ্রাম হেড।
বাংলাদেশের জার্সিকে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান আমিনুলও যুক্ত ক্রিকেটের সঙ্গে। যদিও তিনি দেশের ক্রিকেটের কোনো দায়িত্বে নেই। আমিনুল এখন পুরো পরিবার নিয়ে আছেন অস্ট্রেলিয়ায়।

 
খান পরিবারের বড় নাম আকরাম খান! আইসিসি ট্রফিজয়ী দলের অধিনায়কের হাত ধরেই এসেছিল দেশের প্রথম ওয়ানডে জয়। এই ম্যাচে ইনজেকশন নিয়ে খেলেও করেছিলেন ৩৯ রান। আকরাম খান এখনো জড়িয়ে আছেন ক্রিকেটের সঙ্গে। 
 
সেই ম্যাচে ৪ রানে অপরাজিত থাকা নাঈমুর রহমানের অধীনে বাংলাদেশ ২০০০ সালে খেলেছিল প্রথম টেস্ট। খেলোয়াড়ি জীবনের শেষে নাঈমুর রহমান জড়িয়েছিলেন দেশের রাজনীতিতে।
 
খালেদ মাহমুদ ক্রিকেট থেকে অবসরের পর কখনো  বিসিবির পরিচালক, কখনো দেখা গেছে কোচ হিসেবে। আবার, বাংলাদেশ দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ভারপ্রাপ্ত কোচের দায়িত্বও পালন করেছেন। 
খেলোয়াড়ি জীবন শেষে এনামুল লম্বা সময় ২২ গজে করেছেন আম্পায়ারিং। বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট খেলোয়াড়, যিনি পরে টেস্টে আম্পায়ারিংও করেছেন।
 
বাংলাদেশের হয়ে ৩৭টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা হাসিবুল এখনো জড়িয়ে আছেন খেলার সাথেই! তিনি এখন বিসিবিতে কাজ করছেন বয়সভিত্তিক দলের নির্বাচক হিসেবে।
জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও উইকেটকিপার ব্যাটার খালেদ মাসুদ খেলা থেকে অবসরের পর নিজের ব্যবসা নিয়ে ভাবছেন। সম্প্রতি নতুন করে শুরু করেছেন রেস্টুরেন্ট ব্যবসাও। 
বাঁহাতি পেসার মোর্শেদ আলী লাল সবুজের জার্সিতে খেলেছেন মাত্র তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ। মোর্শেদ আলী এখন আইসিসির প্যানেল আম্পায়ার। ২০টি আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে আম্পায়ারিং করেছেন। নারী ক্রিকেটে ওয়ানডে আর টি–টোয়েন্টি মিলিয়ে করেছেন ৯টি ম্যাচে।