ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কোচ রুবেণ আমোরিম ওল্ড ট্রাফোর্ডে আসার পর থেকেই এক কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি। প্রিমিয়ার লিগে ২৬ ম্যাচে ১৪টি হার, যা পর্তুগিজ লিগে তার ব্রাগা ও স্পোর্টিং সিপি অধ্যায়ের মোট হারের সমান।
বর্তমানে প্রিমিয়ার লিগের ২০ দলের মধ্যে ১৬তম স্থানে থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জন্য বাংলাদেশ সময়ে আজ রাত ১টার উয়েফা ইউরোপা লিগ ফাইনাল তাই এক ‘লাইফ লাইন’ হয়ে এসেছে।
এই ম্যাচ জিতলেই শুধু ট্রফি নয়, মিলবে আগামী মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার টিকিটও।
গত সপ্তাহে আমোরিম স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, ট্রফির চেয়েও তার কাছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তার মতে, ‘আগামী কয়েক বছরে শীর্ষে ফেরার ভালো একটা মাধ্যম হতে পারে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ।’
তাই বিলবাওয়ের সান মামেস স্টেডিয়ামে আজকের ফাইনালটি তার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
টটেনহামের চোখ রাঙানি: ইউনাইটেডের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ
এই ‘গুরুত্বপূর্ণ’ ফাইনালে ইউনাইটেডের প্রতিপক্ষ ইংলিশ লিগেরই আরেক দল টটেনহাম। চলতি লিগে তারা ইউনাইটেডের এক ধাপ নিচে, ১৭তম অবস্থানে থাকলেও, এই মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে তিনবার মুখোমুখি হয়ে তিনবারই ইউনাইটেডকে হারিয়েছে টটেনহাম।
আজ জিতলে তারা এভারটনের পাশে নাম লেখাবে, যারা প্রথম এবং একমাত্র দল হিসেবে ১৯৮৫-৮৬ মৌসুমে চারবার ইউনাইটেডকে হারিয়েছিল।
এদিকে আমোরিমের মতোই টটেনহাম কোচ অ্যাঞ্জে পোস্তেকগ্লুও এই ফাইনালের দিকে তাকিয়ে আছেন। দলের বাজে পারফরম্যান্সের কারণে তার চাকরি এমনিতেই হুমকির মুখে। আজকের ফাইনাল হারলে টটেনহাম তাকে বিদায় বলে দিতে পারে।
অপরদিকে, ইউরোপা লিগের ফাইনাল কে জিতবে, তা নিয়ে অপ্টার সুপার কম্পিউটারও হিমশিম খাচ্ছে।
চলতি মৌসুমে আগের তিন সাক্ষাতে জয়ের কারণেই সম্ভবত, অপ্টার সুপার কম্পিউটারে টটেনহামের জয়ের সম্ভাবনা ৫০.৩ শতাংশ! এই পরিসংখানই বলে দিচ্ছে, আজকের ম্যাচটি কতটা জমজমাট হতে চলেছে।
আপনার মতামত লিখুন :