দলের ভরসা রাখলে তার জবাব দিতে জানেন রিশাদ হোসেন। সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে গড়া স্পিন ইউনিটে জায়গা পেয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়েছেন বাংলাদেশের এই লেগ স্পিনার। তার ৩ উইকেটে ভর করে বড় জয় নিয়ে ফাইনালে উঠেছে লাহোর কালান্দার্স।
শুক্রবার (২৩ মে) লাহোর টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে তোলে ২০২ রান। মোহাম্মদ নাঈম ও কুশল পেরেরা তুলে নেন দুটি ঝকঝকে ফিফটি- নাঈম ২৫ বলে করেন ৫০, আর পেরেরা ৩৫ বলে ৬১। তবে সাকিব আল হাসান ব্যাট হাতে ফেরেন শূন্য রানে।
জবাবে ব্যাটিংয়ে নামা ইসলামাবাদ ইউনাইটেড শুরু থেকেই চাপে পড়ে। ইনিংসের প্রথম ওভারেই শাহিন আফ্রিদি ফিরিয়ে দেন মোহাম্মদ শেহজাদকে। এরপর সালমান মির্জার গতিতে কাবু হয়ে ফিরে যান শাহিবজাদা ফারহান, র্যাসি ফন ডার ডুসেন ও ইমাদ ওয়াসিম।
এরপর আক্রমণে আসেন রিশাদ হোসেন। ৩৩ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর কিছুটা ঘুরে দাঁড়াতে চেয়েছিল ইসলামাবাদ। কিন্তু শাদাব খান ও আগা সালমানকে ফিরিয়ে সে আশা গুঁড়িয়ে দেন রিশাদ। পরে জিমি নিশামকেও ফিরিয়ে দেন তিনি। ৩৪ রানে ৩ উইকেট নিয়ে লাহোরকে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেন তরুণ লেগস্পিনার।
শেষের কাজটা সারেন আফ্রিদি। শেষ দুটি উইকেট নিয়ে মাত্র ৩ রানে নেন ৩ উইকেট। ইসলামাবাদ ১৫.১ ওভারে অলআউট হয় মাত্র ১০৭ রানে। ফলে লাহোর জয় পায় ৯৫ রানের বিশাল ব্যবধানে।
লাহোরের হয়ে রিশাদ, শাহিন ও সালমান—তিনজনই নিয়েছেন সমান ৩টি করে উইকেট।
আপনার মতামত লিখুন :