নাপোলির সেরি ‘আ’ জয় এবং ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের মৌসুম শেষ হওয়ার সাথে সাথেই ব্যক্তিগত লড়াইয়েরও নিষ্পত্তি হয়েছে। জমে ওঠা লড়াই শেষে ভিক্টর ইয়োকেরেস ও মোহাম্মদ সালাহকে পেছনে ফেলে কিলিয়ান এমবাপ্পেই জিতে নিলেন ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু।
পরশু রাতে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে শেষ ম্যাচে জোড়া গোল করে কিলিয়ান এমবাপ্পে নিজেকে ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে যান। সামান্য লড়াইয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন মোহাম্মদ সালাহ, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি এমবাপ্পের সঙ্গে পেরে ওঠেননি।
স্প্যানিশ লা লিগায় নিজের অভিষেক মৌসুমেই এমবাপ্পে করেছেন ৩১ গোল। নতুন নিয়মে উয়েফা কো-এফিসিয়েন্ট র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ পাঁচ লিগে করা প্রতিটি গোলকে ২ দিয়ে গুণ করে পয়েন্ট দেওয়া হয়। লা লিগা র্যাঙ্কিংয়ের তিনে থাকায় এমবাপ্পে ৩১ গোলের দ্বিগুণ ৬২ পয়েন্ট পেয়েছেন।
দ্বিতীয় ইয়োকেরেস, তৃতীয় সালাহ
স্পোর্তিং সিপির ভিক্টর ইয়োকেরেস ৫৮.৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। সুইডেনের এই স্ট্রাইকার এবারের পর্তুগিজ লিগে ৩৯ গোল করেছেন, যা এমবাপ্পের চেয়ে ৮টি বেশি। তবে পর্তুগিজ লিগ উয়েফা কো-এফিসিয়েন্ট র্যাঙ্কিংয়ে সাত নম্বরে থাকায় (৬ থেকে ২২ র্যাঙ্কের লিগের গোলগুলোকে ১.৫ দিয়ে গুণ করা হয়) ইয়োকেরেসের পয়েন্ট এমবাপ্পের চেয়ে কম।
লিভারপুলের হয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ২৯ গোল করে ৫৮ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছেন মোহাম্মদ সালাহ। শেষ ম্যাচে ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করে লিভারপুল, দলের একমাত্র গোলটি সালাহই করেন।
এমবাপ্পেকে টপকে গোল্ডেন শু জিততে হলে ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে সালাহকে কমপক্ষে ৪ গোল করতে হতো। হ্যাটট্রিক করলে এমবাপ্পের সমান ৬২ পয়েন্ট হতো সালাহর। সেক্ষেত্রেও গোল্ডেন শু এমবাপ্পেই জিততেন।
কারণ, নিয়ম অনুযায়ী একাধিক খেলোয়াড়ের পয়েন্ট সমান হলে যিনি কম সময় খেলেছেন, তিনিই পুরস্কারটি জেতেন। এমবাপ্পে লা লিগার এবারের মৌসুমে খেলেছেন ২৯১২ মিনিট, যেখানে সালাহ ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলেছেন ৩৩৭৭ মিনিট। তাই এমবাপ্পেকে টপকাতে সালাহর হাতে একটাই ‘অপশন’ ছিল – ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে ৪ গোল করা, যা তিনি পারেননি।
এদিকে, রিয়াল মাদ্রিদের তৃতীয় ফুটবলার হিসেবে ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু জিতলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। তাঁর আগে এই পুরস্কার জিতেছিলেন হুগো সানচেজ ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।
ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু হলো প্রতিটি মৌসুমে ইউরোপের প্রতিটি দেশের শীর্ষ লিগগুলোর মধ্যে যিনি সবচেয়ে বেশি গোল করেন, তাঁকে দেওয়া সোনার জুতা পুরস্কার।
এটি সম্পূর্ণ ইউরোপের লিগগুলো থেকে গোলের জন্য সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট প্রাপ্ত খেলোয়াড়কে দেওয়া হয়, যেখানে পয়েন্ট হিসাব করা হয় গোলসংখ্যা এবং সংশ্লিষ্ট লিগের মানের ওপর ভিত্তি করে।
আপনার মতামত লিখুন :