২০২৪-২৫ মৌসুম থেকে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ ৩৬ দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যেখানে আগে ছিল ৩২ দল। এতে করে বদলে যায় টুর্নামেন্টের ফরম্যাট। পরিবর্তিত ফরম্যাটের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে প্রাইজমানিও।
২.১৯ বিলিয়ন থেকে লাফিয়ে ইউসিএলের প্রাইজমানি দাঁড়িয়েছে ২.৭১ বিলিয়ন ডলারে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩৩ হাজার ৯৬ কোটি টাকা।
চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে সর্বোচ্চ, গত মৌসুমের তুলনায় ৭ হাজার কোটিরও বেশি বৃদ্ধি। এই বিশাল অঙ্কের প্রভাব পড়েছে টুর্নামেন্টের প্রতিটি ধাপে, বিশেষ করে চ্যাম্পিয়ন দলের প্রাপ্তিতে।
মিউনিখের অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় অনুষ্ঠিত ফাইনালে ইন্টার মিলানকে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত করে পিএসজি শুধু তাদের ট্রফি ক্যাবিনেটে নতুন এক শিরোপাই যোগ করেনি, নিশ্চিত করেছে তাদের ঐতিহাসিক ট্রেবল শিরোপাও।
ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের ফাইনালের ইতিহাসে এর আগে কোনো দল ৫ গোলের ব্যবধানে জেতেনি। একইসাথে, প্যারিসিয়ান সেইন্ট জার্মেই দলীয় পুরস্কারেও ইতিহাস গড়েছে।
কেবল চ্যাম্পিয়ন হয়েই তাদের পকেটে ঢুকছে ২৭.৮ মিলিয়ন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৩৯ কোটি ৫১ লাখ টাকা।
গতবারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদের (২৬২ কোটি ৫৭ লাখ) চেয়ে এটি ৭৭ কোটি টাকারও বেশি। রানার্সআপ ইন্টার মিলানও পেয়েছে ২৫৪ কোটি টাকা।
পুরো টুর্নামেন্টজুড়েই পিএসজি এবং ইন্টার মিলান তাদের অসাধারণ পারফরম্যান্সের সুবাদে উয়েফা থেকে বড় রাজস্ব অর্জন করেছে।
অবাক করার মতো বিষয় হলো, ইতালিয়ান ক্লাব ইন্টার মিলান চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে সর্বোচ্চ ১১১ মিলিয়ন ডলার পকেটে পুরেছে, যেখানে ফরাসি জায়ান্টরা পেয়েছে ১০৩.৫ মিলিয়ন ইউরো।
২০২৪-২৫ মৌসুমে রাজস্ব আয়ে এই দুই ফাইনালিস্টই কেবল ১০০ মিলিয়ন ডলারের গণ্ডি পেরিয়ে এক নতুন মাইলফলক ছুঁয়েছে।
এখানেই শেষ নয়, প্রতিযোগী প্রতিটি দলই উয়েফার কাছ থেকে পারফরম্যান্স-রিলেটেড প্রাইজমানি হিসেবে মোট ১০৩ বিলিয়ন ডলার পাবে। যার ম্যাচ জয় যত বেশি তার ভাগেই যাবে এর বড় একটি অংশ।
২০২৫ চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতে পিএসজির সামনে আয়ের আরও উৎস খুলে দিয়েছে। তারা চলতি বছর ফিফা ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ, উয়েফা সুপার কাপ।
এবং ২০২৯ ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে জায়গা করে নেওয়ার পাশাপাশি সেখানকার রাজস্ব আয়েরও বড় সুযোগ তৈরি করে রেখেছে।
এ ছাড়াও স্বাভাবিকভাবেই পিএসজির হাতে উঠেছে ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে প্রেস্টিজিয়াস ১৬.৫ পাউন্ডের ট্রফি।
পারফরম্যান্স কেন্দ্রিক আয় ছাড়াও লিগপর্ব থেকে শুরু করে প্লে-অফ, রাউন্ড অব সিক্সটিন ও সেমিফাইনালসহ প্রতিটি রাউন্ডে উত্তীর্ণ দলের জন্যও নির্দিষ্ট অঙ্কের বরাদ্দ রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :