বায়ার্ন মিউনিখকে হারিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে জায়গা করে নিল ফরাসি জায়ান্ট প্যারিস সেন্ট-জার্মেই (পিএসজি)। কিন্তু ম্যাচটিতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল শুধু জয় নয়—ছায়া ফেলেছে জার্মান মিডফিল্ডার জামাল মুসিয়ালার গুরুতর চোট, দুই লাল কার্ড এবং কিংবদন্তি থমাস মুলারের বিদায়।
ম্যাচের ৭৮তম মিনিটে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের নায়ক দেজিরে দুয়ে বাঁ পায়ে দুর্দান্ত এক নিচু শটে বল জড়ান জালে। আর অতিরিক্ত সময়ের গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ওসমান ডেম্বেলে।
এর মধ্যেই পিএসজির দুই ডিফেন্ডার উইলিয়ান পাচো ও লুকাস হার্নান্দেজ লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন।
প্রথমার্ধে গোল না হলেও ম্যাচটি ছিল টান টান উত্তেজনায় ভরা। বায়ার্নের দায়োত উপামেকানো একটি হেড থেকে গোল করলেও তা অফসাইডের কারণে বাতিল হয়। অন্যদিকে ব্র্যাডলি বারকোলার একটি প্রচেষ্টা আটকে দেন বায়ার্ন গোলরক্ষক মানুয়েল নয়ার।
তবে সবচেয়ে দুঃখজনক দৃশ্যটি দেখা যায় প্রথমার্ধের শেষদিকে। মাইকেল ওলিসের একটি ভুল পাস ধরতে গিয়ে পিএসজি গোলরক্ষক ডনারুম্মার সঙ্গে সংঘর্ষে পড়েন জামাল মুসিয়ালা।
বাম পায়ে গুরুতর আঘাত পান এই জার্মান তরুণ, মাঠেই প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে তুলে নেওয়া হয় স্ট্রেচারে।
খেলার ৮৮ মিনিটে পাচো লাল কার্ড দেখেন, আর যোগ করা সময়ে হার্নান্দেজ লাল কার্ড দেখেন রাফায়েল গেরেইরোর মুখে কনুই লাগানোর জন্য।
ম্যাচের শেষ দিকে রেফারি পিএসজির নুনো মেন্ডেসের বিরুদ্ধে একটি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নিলেও ভিএআর দেখে সেটি বাতিল করেন। ফলে ম্যাচের ফলাফল আর বদলায়নি।
এদিকে এই ম্যাচ দিয়ে শেষ হয় বায়ার্নের কিংবদন্তি থমাস মুলারের ১৭ বছরের ক্যারিয়ার। ৩৫ বছর বয়সী জার্মান ফরোয়ার্ড ম্যাচের ৮০ মিনিটে কিংসলে কোমানের পরিবর্তে মাঠে নামেন—এটাই ছিল তার বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে শেষ ম্যাচ।
পিএসজি এবার মুখোমুখি হবে রিয়াল মাদ্রিদের, যারা নিউ জার্সিতে ৩-২ গোলে হারিয়েছে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে।
আপনার মতামত লিখুন :