ধর্ষণ মামলায় দীর্ঘ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড শেষে মুক্তি পেলেন আর্জেন্টিনার ফুটবলার মার্টিন জারাতে। ২০২০ সালের ৩ জুলাই বুয়েনস এইরেসের বাহিয়া ব্লাঙ্কার কারাগারে শাস্তি শুরু করেন জারাতে। বিচার বিভাগ তাকে দণ্ডের দুই-তৃতীয়াংশ শেষ হওয়ায় শর্তসাপেক্ষ মুক্তি দিয়েছে।
মুক্তির পর তিনি জানান, কারাগারে থাকা অবস্থায়ও শারীরিক অনুশীলন বন্ধ করেননি এবং বাইরে এসে নিজের সামাজিক ও পেশাদার জীবন পুনর্গঠনের দিকে মনোনিবেশ করেছেন।
ঘটনাটা ২০১৪ সালের ১৬ মার্চের। আর্জেন্টিনার কুইলমেসের একটি ক্লাবে প্রেমিকা জুলিয়ানা পেরাল্টাকে নিয়ে পার্টিতে গিয়েছিলেন ইন্ডিপেনডিয়েন্তে ক্লাবের ফুটবলার মার্টিন বেনিতেজ। সঙ্গে ছিলেন ক্লাব সতীর্থ আর্জেন্টাইন ফুটবলার অ্যালেক্সিস জারাতে।
পার্টি শেষে তারা সবাই চলে যান বেনিতেজের অ্যাপার্টমেন্টে। গভীর রাতে পেরাল্টা যখন তার প্রেমিকের পাশে ঘুমাচ্ছিলেন, তখন তাকে ধর্ষণ করেন জারাতে! এই ঘটনায় অভিযোগ দায়েরের পরপরই ইন্ডিপেনডিয়েন্তে জারাতে তেম্পারলেতে পাঠিয়ে দেয়।
২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মামলাটি বিচার পর্যায়ে যায় এবং ওরাল কোর্ট নাম্বার ১ তাকে ‘যৌন নিপীড়ন ও শারীরিক সম্পর্ক’ অপরাধে ছয় বছর ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়।
রায় ঘোষণার পর জারাতে আপিল করেছিলেন। তিনি শুরু থেকেই দাবি করছিলেন, সবকিছু হয়েছে দুজনের সম্মতিতে।
আপিল চলাকালীন সময়ে তার সাজা স্থগিত ছিল এবং তিনি ওই সময় লাটভিয়ার এফকে লিয়েপায়া ক্লাবে যোগ দেন। তবে এক বছরের মাথায় আর্জেন্টিনায় ফিরে এসে আবার টেম্পারলেতে খেলেন।
এসময় আপিল আদালত তার সাজা বহাল রাখে এবং ২০২০ সালের ৩ জুলাই তিনি বুয়েনস এইরেসের বাহিয়া ব্লাঙ্কার কারাগারে শাস্তি ভোগ শুরু করেন।
জারাতে বলেন, কারাগারে থাকাকালীন আমি নিজেকে ব্যস্ত রাখার জন্য পড়াশোনা করেছি এবং বাইরে এসে কাজের মাধ্যমে সমাজের সঙ্গে পুনরায় যুক্ত হতে পেরেছি। এটি আমাকে নতুন সুযোগ দিয়েছে।
তিনি আরও জানান, শ্বশুরের পাস্তা কারখানায় কাজের মাধ্যমে পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছেন, তবে দ্রুতই পেশাদার ফুটবলে ফেরার পরিকল্পনা করছেন।
অন্যদিকে যৌন নির্যাতনের শিকার জুলিয়ানা পেরাল্টা এখন পর্যন্ত কোনো বক্তব্য দেননি। জারাতে কারাগারে যাওয়ার দিন তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন, ‘আজ থেকে আমি এই ভারী বোঝা নামিয়ে ফেলার চেষ্টা করব, যা এত বছর ধরে বয়ে বেড়িয়েছি।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন