লিওনেল মেসির নাম শুনলেই চোখে ভেসে আসে গোল, জাদু এবং বিশ্বজোড়া খ্যাতি। কিন্তু ইদানীং তার গোলের মতোই সমান জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন তার ছায়ার মতো থাকা একজন ব্যক্তি— তার ব্যক্তিগত দেহরক্ষী ইয়াসিন চিউকো।
ইন্টার মিয়ামিতে মেসির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এই সাবেক নেভি সিলের সদস্য বেতন এবং বোনাসের দিক থেকে ক্লাবের অনেক খেলোয়াড়কেও ছাড়িয়ে গেছেন।
মেসির ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য চিউকোর বার্ষিক বেতন তিন মিলিয়ন ডলার। এর সঙ্গে, পুরো মৌসুমে সফলভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য তিনি অতিরিক্ত আড়াই লাখ ডলার বোনাসও পাবেন।
৩ মিলিয়ন ডলার বাংলাদেশি টাকায় ৩৬ কোটি টাকা। এই আকাশছোঁয়া পারিশ্রমিক তাকে ক্লাবের সবচেয়ে বেশি বেতন পাওয়া অ-খেলোয়াড় কর্মচারীতে পরিণত করেছে।
ইয়াসিন চিউকোর ইন্টার মিয়ামিতে যোগ দেওয়ার পেছনে রয়েছে এক বিশেষ গল্প। ক্লাবের সহ-মালিক ও সভাপতি ডেভিড বেকহ্যাম নিজেই তাকে ইউরোপ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে আসেন।
মেসির ইউরোপীয় সময় থেকেই চিউকোর সঙ্গে বেকহ্যামের পরিচয় ছিল এবং তিনি জানতেন যে আমেরিকান স্টেডিয়ামগুলোতে সম্ভাব্য নিরাপত্তা ঝুঁকির মোকাবিলা করার জন্য চিউকোর মতো একজন অভিজ্ঞ ব্যক্তির প্রয়োজন।
বেকহ্যামের সরাসরি সুপারিশে চিউকো দ্রুত ইন্টার মিয়ামির নিরাপত্তা দলের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন।
চিওকোর খ্যাতি শুধুমাত্র তার বেতনের জন্য নয়, তার পেশাদারিত্বের জন্যও। নেভি সিলের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এই ব্যক্তি দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং কড়া নিয়ম পালনের জন্য পরিচিত।
তার কাছে কোনো ভক্তের বয়স বা পরিচয় কোনো বিষয় নয়। যদি কেউ মেসির কাছে অনুমতি ছাড়া পৌঁছানোর চেষ্টা করেন, চিউকো তাকে দ্রুত এবং দক্ষতার সঙ্গে সরিয়ে দেন।
যদিও মেসির নিরাপত্তার দায়িত্বে চিউকো সবসময়ই থাকেন, মেসি কখনো কখনো ব্যক্তিগত সময়ে, যেমন শপিং সেন্টার বা সুপারমার্কেটে, দেহরক্ষী ছাড়াই চলাফেরা করেন।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন