মিরপুরে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৭৪ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এই জয়ে সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪৯ ওভার ৪ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২০৭ রান করে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫১ রান করেছেন তাওহিদ হৃদয়। এ ছাড়া ৪৬ রান করেছেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। জবাবে খেলতে নেমে ৩৯ ওভারে ১৩৩ রানে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
বাংলাদেশের দেওয়া ২০৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত। টাইগার ব্যাটাররা যেখানে পুরো ইনিংসেই সংগ্রাম করেছেন সেখানে দুই ক্যারিবীয় ওপেনার মিলে গড়েন ৫১ রানের উদ্বোধনী জুটি।
বাংলাদেশের হারের ভয় চেপে বসেছে, তখন এই লেগ স্পিনারের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক। ব্যাট হাতেও তিনি দলের জন্য জরুরি কাজটা করে এসেছেন। তার ১২ বলে ২৬ রানের ইনিংসের সৌজন্যেই বাংলাদেশ কোনোমতে ২০০ রানের গণ্ডি পার হয়েছিল। স্কোর দাঁড়ায় ২০৭। কিন্তু সেই ২০৭ রান মোটেই নিরাপদ মনে হচ্ছিল না। কারণ, ওয়েস্ট ইন্ডিজের উদ্বোধনী জুটিই ৫০ ছাড়িয়ে গিয়েছিল। পাওয়ার প্লে শেষ হলো। ম্যাচের ১১তম ওভারে রিশাদের হাতে বল আসতেই ম্যাচের চিত্র বদলে গেল। তাঁর ঘূর্ণিতে বোকা বনতে লাগলেন ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানরা।
শুরুটা হয় অ্যালিক আথানেজেকে দিয়ে। তাকে এলবিডব্লু করে ব্রেন্ডন কিংয়ের সঙ্গে ৫১ রানের জুটি ভাঙেন রিশাদ। সেই যে শুরু, এরপর রিশাদের ঘূর্ণি বুঝতে না পেরে কিসি কার্টি, শেরফান রাদারফোর্ড, ব্রেন্ডন কিং ফিরলেন ড্রেসিংরুমে।
রিশাদের ৫ উইকেট পূর্ণ হয় তার বলে কাট করতে গিয়ে উইকেট-কিপারের হাতে রোস্টন চেজ ক্যাচ দিলে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান তখন ৫ উইকেটে ৯২। আর রিশাদের বোলিং বিশ্লেষণ—৭ ওভারে ২৫ রান দিয়ে ৫ উইকেট! কী দারুণভাবেই না ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিলেন বাংলাদেশের এই লেগ স্পিনার।
৩৬ বলে ২৭ রান করে রিশাদের বলে লেগ বিফোর উইকেট হয়ে আউট হন আথানেজ। ক্যারিবীয়দের শুরুটা ভালো হলেও ধস নামতে সময় লাগেনি। রিশাদের ঘূর্ণিতে মুহূর্তেই গুড়িয়ে যায় টপ অর্ডার।
ক্যারিবীয়দের প্রথম ৫ ব্যাটারকেই আজ আউট করেছেন রিশাদ। আথানেজ ফেরার পর একে বিদায় নেন কিসি কার্টি, কিং, শেরফান রাদারফোর্ড, রোস্টন চেজরা। গুদাকেশ মোতিকে ফেরান মিরাজ। এক পর্যায়ে ক্যারিবীয়দের ১০০ রানে ৬ উইকেট তুলে নিয়ে জয়ের আশা ফেরায় টাইগাররা।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে ২০৭ রান করে বাংলাদেশ। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে সিরিজ দিয়েই দলে ফিরেছেন সৌম্য সরকার। আজ ওপেনিংয়ে সাইফ হাসানের সঙ্গীও ছিলেন তিনিই। তবে এ দুজনের উদ্বোধনী জুটিতে ৮ রানের বেশি স্কোরবোর্ডে ওঠেনি।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই আউট হন সাইফ।দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলে রোমারিও শেফার্ড সাজঘরে ফেরান সাইফকে। আউট হওয়ার আগে তিনি ৬ বলে ৩ রান করেন।
এদিকে সাইফ ফেরার পরের ওভারেই সাজঘরে ফিরেন আরেক ওপেনার সৌম্যও। একটি চার হাঁকিয়ে ভালো কিছুর আভাস দিলেও শেষ পর্যন্ত আর তা হয়নি।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন