ঢাকা শুক্রবার, ৩০ মে, ২০২৫

আইপিএলে মানকাডিংয়েও রেহাই, নো বলেও জীবন! 

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ২৮, ২০২৫, ০৪:৩৯ পিএম
মানকাডিং প্রচেষ্টা এবং একটি বিতর্কিত নো বল, যা জিতেশকে দু‍‍`বার জীবন ফিরিয়ে দেয়।

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগের (আইপিএল) শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে মঙ্গলবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক জিতেশ শর্মা এক অনবদ্য ৮৫ রানের ইনিংস খেলে দলকে ৬ উইকেটে জয় এনে দিয়েছেন।

তবে এই ম্যাচজয়ী ইনিংসের পেছনে লুকিয়ে ছিল এক নাটকীয় মানকাডিং প্রচেষ্টা এবং একটি নো বল, যা জিতেশকে দু'বার জীবন ফিরিয়ে দেয়।

ঘটনার সূত্রপাত হয়, লখনৌ সুপার জায়ান্টসের বোলিংয়ের সময়। ডেলিভারির ঠিক আগমুহূর্তে থেমে নন-স্ট্রাইকার জিতেশ শর্মার স্টাম্প ভেঙে দেন বোলার দিগ্বেশ রাঠি। নন-স্ট্রাইকে থাকা জিতেশ তখন স্পষ্টতই ক্রিজের বাইরে ছিলেন। 

মানকাডিং আউট নিয়মের আওতায় তাকে আউট ঘোষণা করা উচিত ছিল। তবে টিভি আম্পায়ার উল্লাস গান্ধে ‘নট আউট’ ঘোষণা করায় সকলের মনে প্রশ্ন জাগে।

আইপিএলের প্লেয়িং কন্ডিশন ৩৮.৩.১ অনুযায়ী, বোলিং করার সময় বোলার যতক্ষণ পর্যন্ত না সাধারণভাবে বল ছাড়ার কথা, ততক্ষণ পর্যন্ত নন স্ট্রাইকার যদি ক্রিজের বাইরে থাকেন, তবে বোলার তাকে রান আউট করতে পারবে। 

এমন পরিস্থিতিতে নন স্ট্রাইকার ক্রিজের বাইরে থাকলে বোলার বলটি না ছুঁড়ে সরাসরি হাতে থাকা বলে বা বল ছুঁড়ে যদি স্টাম্প ভাঙতে পারেন, তবেও তিনি রানআউটের নিয়মের মধ্যে পড়বেন।

কিন্তু এক্ষেত্রে টিভি আম্পায়ার সিদ্ধান্ত দেন যে, রাঠি তার বোলিং অ্যাকশন প্রায় পূর্ণ করে ফেলেছিলেন, অর্থাৎ বল ছাড়ার জন্য তিনি প্রস্তুত ছিলেন। এই কারণে মানকাডিং প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।

টিভি স্ক্রিনে ‘নট আউট’ ভেসে ওঠার সময় লখনৌ অধিনায়ক ঋষভ পান্থ ইশারায় বুঝিয়ে দেন যে তিনি আপিল তুলে নিচ্ছেন। এরপর তিনি জিতেশকে বুকে জড়িয়ে ধরেন, যা খেলোয়াড়সুলভ আচরণের এক দারুণ দৃষ্টান্ত। 

পান্থ পরে জানান, তৃতীয় আম্পায়ার আউট দিলেও তিনি আপিল তুলে নিতেন।

ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে, ১২.২ ওভারে যখন বিরাট কোহলি আউট হন, তখন বেঙ্গালুরুর দলীয় সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেটে ১২৩ রান। জয়ের জন্য ৫২ বলে তখনও প্রয়োজন ছিল ১০৫ রান। 

এই পরিস্থিতিতে ছয় নম্বরে নেমে আগ্রাসী ব্যাটিং শুরু করেন জিতেশ। ৬টি ছক্কা এবং ৮টি চারের মারে ৩৩ বলে ৮৫ রানের এক অসাধারণ অপরাজিত ইনিংস খেলে তিনি দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। 

এই ম্যাচজয়ী ইনিংসের জন্য তিনিই ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন।

কেবল মানকাডিং থেকেই বাঁচেননি জিতেশ, ১৭তম ওভারে ব্যক্তিগত ৪৯ রানেও তিনি আরও একবার জীবন পান। রাঠির বলেই বাদোনির হাতে ক্যাচ দিয়েছিলেন তিনি, কিন্তু আম্পায়ার সেটিকে ‘নো বল’ এর সংকেত দিলে এই ডানহাতি ব্যাটার পুনরায় জীবন পান এই ব্যাটার।

এদিন দিনের শেষে, ভাগ্য এবং অসাধারণ ব্যাটিংয়ের সংমিশ্রণে জিতেশ শর্মা বেঙ্গালুরুকে এক স্মরণীয় জয় এনে দেন।