ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন, ২০২৫

দেশের ‘ঘুমন্ত’ ক্রিকেটকে জাগাতে মাঠে বুলবুল

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ২৬, ২০২৫, ০১:২১ পিএম
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। ছবি- সংগৃহীত

বাংলাদেশ ক্রিকেটের টেস্ট অভিষেক হয়েছিল ২০০০ সালের ১০ নভেম্বর। ভারতের বিপক্ষে সেই ঐতিহাসিক ম্যাচে শতক হাঁকিয়েছিলেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল।

ঠিক ২৫ বছর পর দেশের ক্রিকেট ইতিহাসের এ গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সেই বুলবুল।

সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে দেশের ক্রিকেট, বিশেষ করে টেস্ট সংস্করণ নিয়ে নিজের ভাবনা তুলে ধরেছেন তিনি। জানিয়েছেন, ‘ঘুমিয়ে পড়া’ টেস্ট ক্রিকেটকে কীভাবে জাগাতে চান তিনি।

সাক্ষাৎকারে বুলবুল বলেন, ‘প্রথম টেস্টে সেঞ্চুরি করার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার। সেটা অবশ্যই গর্বের। ফারুক ভাই, আতাহার ভাই, নান্নু ভাই- অনেকেই আমাদের সময় ছিলেন, যারা সেই অভিষেক টেস্টে সুযোগ পাননি। আমি তাদের তুলনায় ভাগ্যবান। এখন বোর্ড সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছি, চেষ্টা করব এ সুযোগটা কাজে লাগাতে।’

বুলবুল মনে করেন, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেটের মূল ভিত্তি হওয়া উচিত টেস্ট ক্রিকেট। টেস্টই আমাদের পরিচয়। এই সংস্করণকে জাগিয়ে তুলতে হবে। ঘুম ভাঙাতে হবে। আমরা সেটা শুরু করেছি, এখন কাজ এগিয়ে নেওয়ার পালা।’

ক্রিকেট উন্নয়নে বড় পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সারা বিশ্বে কাজ করেছি, অভিজ্ঞতা আছে। ২৫ বছরে অন্তত ২৫টি কর্মসূচি হওয়া উচিত ছিল। আমরা শুরু করলাম ২৫তম বছরে এসে। ‘ট্রিপল সেঞ্চুরি’ নামে একটি প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছি। সারা দেশের ‘ঘুমিয়ে থাকা’ ক্রিকেটকেই জাগানো হবে।’

জাতীয় উন্নয়নের জন্য মাঠপর্যায়ের গুরুত্ব তুলে ধরে বুলবুল বলেন, ‘৬৪ জেলায় ৬৪ জন কোচের কার্যকারিতা মূল্যায়ন করছি। শুধু মিরপুরে বসে পরিকল্পনা করলে হবে না। মাঠপর্যায়ে শক্তিশালী কোচ তৈরি করতে হবে। একই সঙ্গে মাঠ ব্যবহারে দক্ষতা বাড়াতে চাই। ফুটবল ও ক্রিকেট যেন এক মাঠেই চলতে পারে, সেই চিন্তা করছি।’

বাংলাদেশ ২৫ বছরে ২৫টি টেস্টও জিততে পারেনি- এ প্রসঙ্গে বুলবুল বলেন, ‘প্রশ্নটা আমিই করলাম। কারণ এভাবে চললে তো জাগরণ সম্ভব না। তবে বিশ্বাস করি, ঘুম ভাঙাতে পারলে বাংলাদেশ অনেকদূর যাবে। কাজটা শুরু করেছি, এখন এগিয়ে নেওয়া দরকার।’

বোর্ড সভাপতির দায়িত্বে কতদিন থাকবেন- এ প্রশ্নে বুলবুল হাসতে হাসতে বলেন, ‘এ বিষয়ে কিছু বলতে চাই না। এখনই এসব ভাবছি না।’