টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজের পর হার দিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করল বাংলাদেশ। কুশল মেন্ডিস ও পাথুম নিসাঙ্কার তাণ্ডবে বল হাতে লড়াই করার সুযোগও পেল না টাইগাররা।
মেন্ডিসের ৫১ বলে ৭৩ রান ও নিসাঙ্কার ১৬ বলে ৪২ রানের বিধ্বংসী ইনিংসের সুবাদে ৭ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় আসলঙ্কার দল।
আজ বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) ক্যান্ডির পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম ম্যাচে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক চারিথ আসালঙ্কা।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ শুরুর পর ছন্দ হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। ব্যাটিং ব্যর্থতায় নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৫৪ রান।
প্রথমে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪.৫ বলে বাংলাদেশ করে ফেলে ৪৬ রান। তারপর থেকে শুরু হয় ব্যাটিং বিপর্যয়। শুরুর দিকে ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল ২০০ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করছে টাইগাররা। তবে না, সেই পুরোনো রোগে আজও আক্রান্ত হয়ে পড়ে বাংলাদেশ।
দলীয় ৪৬ রানে প্রথম উইকেট, ৬৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট, ৬৭ রানে তৃতীয় ও ৮৯ রানের মধ্যেই হারিয়ে ফেলেন চতুর্থ উইকেট। তারপর থেকে ধীরে ধীরে রানের চাকা কমতে শুর করে বাংলাদেশের।
ব্যাটিংয়ে নেমে এ দিনও ব্যর্থ ছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক লিটন কুমার দাস। ১১ বল খেলে টেস্টের গতিতে সংগ্রহ করেন মাত্র ৬ রান।
শেষ দিকে মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাঈম শেখের জুটিতে টেনেটুনে ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের ব্যাট হাতে ২২ বলে ৩৬ রান করেন পারভেজ হোসেন ইমন, তানজিদ তামিম ১৭ বলে ১৬ রান, তাওহিদ হৃদয় ১৩ বলে ১০, মেহেদী হাসান মিরাজ ২৩ বলে ২৯ রান, নাঈম শেখ ২৯ বলে ৩২ রান ও শামীম হোসেন পাটোয়ারী ৫ বলে ১৪ রান।
অপরদিকে বাংলাদেশের দেওয়া ১৫৫ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে বিধ্বংসী রুপে হাজির হন লঙ্কান দুই ওপেনার কুশল মেন্ডেস ও পাথুম নিসাঙ্কা। তাদের তাণ্ডবে মাত্র ১৭ বলেই দলীয় ৫০ রান পূর্ণ করে শ্রীলঙ্কা।
দলীয় ৭৮ রানের মাথায় ১৬ বলে ৪২ রান করে মিরাজের বলে রিশাদ হোসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন নিসাঙ্কা। পাওয়ারপ্লে শেষে ১ উইকেট হারিয়ে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৮৩ রান।
এ অবস্থা থেকে আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি বাংলাদেশ। মেন্ডিসের ৫১ বলে ৫ চার ৩ ছক্কায় ৭৩ রান ও নিশাঙ্কার ৪২, কুশল পেরেরার ২৪ রানের সুবাধে ৬ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের দেখা পায় শ্রীলঙ্কা।
বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে ১টি করে উইকেট সংগ্রহ করেন, মেহীদ হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও রিশাদ হোসেন।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: কুশল মেন্ডিস।