ভারতীয় ক্রিকেটে বয়স ও ঠিকানা জালিয়াতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)।
চলমান দুর্নীতির রুখে দিতে খেলোয়াড়দের প্রকৃত পরিচয় যাচাইয়ের জন্য একটি বাহ্যিক তদন্ত সংস্থা নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে ভারতীয় ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
চলতি আগস্ট মাসের মধ্যেই এই সংস্থাকে কার্যকরভাবে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বিসিসিআই।
বয়স জালিয়াতি শনাক্তে বিসিসিআই বর্তমানে দুই স্তরের যাচাই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে থাকে। এর মধ্যে রয়েছে খেলোয়াড়দের জন্মসনদ ও অন্যান্য নথিপত্রের কড়াকড়ি যাচাই এবং হাড়ের গঠন পরীক্ষা (Bone Test)।
মূলত অনূর্ধ্ব-১৬ বালক ও অনূর্ধ্ব-১৫ বালিকা বিভাগে অংশগ্রহণকারী উদীয়মান খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রেই এই নিয়ম প্রয়োগ করা হয়।
ক্রিকবাজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগ্রহী সংস্থাগুলোর কমপক্ষে তিন বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে প্রামাণ্য যাচাই কাজে এবং তাদের থাকতে হবে সারাদেশজুড়ে একটি সক্রিয় নেটওয়ার্ক।
যাতে দেশের প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে খেলোয়াড়দের প্রকৃত পরিচয় ও জন্মতারিখ যাচাই করা সম্ভব হয়।
২০২০ সালের মাঝামাঝি সময়ে, সাবেক বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলীর মেয়াদে বোর্ড বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছিল বয়স জালিয়াতির বিরুদ্ধে।
সে সময় ঘোষণা করা হয়েছিল যেসব খেলোয়াড় জন্মতারিখে কারচুপি করে খেলছেন, তারা স্বেচ্ছায় অপরাধ স্বীকার করলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।
তবে কারচুপির তথ্য গোপন করে ধরা পড়লে তাদের সর্বোচ্চ দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হবে।
বর্তমান প্রশাসন বোঝাতে চাইছে যে, বয়স ও ঠিকানা জালিয়াতির মতো প্রতারণামূলক কাজ ভারতীয় ক্রিকেটে কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না।
ভবিষ্যতে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে আসা প্রতিটি ক্রিকেটারকে স্বচ্ছ ও সত্যনিষ্ঠ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই উঠে আসতে হবে ‘এই বার্তা স্পষ্ট করতে চাইছে বিসিসিআই।’
আপনার মতামত লিখুন :