ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) ধারাবাহিক ভালো পারফরম্যান্স দেখালেও শেষ পর্যন্ত জয়ের ধারা ধরে রাখতে পারল না সাকিব আল হাসানের দল অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা ফ্যালকনস।
ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে মাত্র ১৪৬ রানেই থেমে যায় তাদের ইনিংস। সাকিব নিজে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেও বল হাতে নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছেন। তবে শেষ পর্যন্ত তার দল ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে।
বুধবার রাতে ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে অ্যান্টিগা। ইনিংসের শুরুতেই রাকিম কর্নওয়াল ও করিমা গোরকে হারিয়ে চাপে পড়ে দলটি।
ওপেনার জুয়েল অ্যান্ড্রু ৩১ বলে ৪০ রান করে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। তবে মিডেল অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। দলটির তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানও ব্যর্থ হয়েছেন; তিনি ১৪ বলে ১৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন।
শেষদিকে ইমাদ ওয়াসিমের ২৫ বলে ৩৭ ও উসামা মিরের ২৬ বলে ৩৪ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসে ভর করে কোনোরকমে দেড়শর কাছাকাছি পৌঁছায় অ্যান্টিগা। তবে এই রান প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলার জন্য যথেষ্ট ছিল না।
ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন মোহাম্মদ আমির। তিনি একাই ৩টি উইকেট শিকার করেন। এ ছাড়া আকিল হোসেন ও আন্দ্রে রাসেল ২টি করে উইকেট পান।
১৪৭ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ত্রিনবাগো শুরুতেই কলিন মানরোকে হারায়, তাকে ফিরিয়ে দেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু এরপর আর কোনো বিপদ আসেনি।
কেসি কার্টি ও অ্যালেক্স হেলসের ৮৭ রানের দারুণ জুটিতে জয়ের পথ অনেকটাই সহজ হয়ে যায় নাইট রাইডার্সের জন্য। হেলস দুর্দান্ত ব্যাটিং করে তার ৮৮তম টি-টোয়েন্টি ফিফটি তুলে নেন, যা তাকে সর্বাধিক ফিফটি করা ব্যাটসম্যানদের তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে তুলে এনেছে।
এরপর চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে নিকোলাস পুরান মাত্র ১১ বলে ২৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে দ্রুত ম্যাচ শেষ করে দেন। শেষ পর্যন্ত ৮ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটের বিশাল জয়ে মাঠ ছাড়ে নাইট রাইডার্স। অ্যান্টিগার হয়ে সাকিব ১টি এবং জেইডেন সিলস ১টি উইকেট লাভ করেন।
এই হারের পরও, ৭ ম্যাচে ৩ জয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে রয়েছে সাকিবের অ্যান্টিগা। তবে বাকি দলগুলো তাদের চেয়ে কম ম্যাচ খেলেছে।