ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৫

পাকিস্তান ক্রিকেটের পতন রুখতে তিন ঘণ্টার জরুরি বৈঠক

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ২৮, ২০২৫, ০৬:১৭ পিএম
পিসিবির জরুরি বৈঠক। ছবি- সংগৃহীত

২০২৩ সালের পর থেকে টানা তিনটি আইসিসি আসরের গ্রুপপর্বেই বিদায় নিতে হয়েছে পাকিস্তানকে। একসময়কার বিশ্বকাপ (১৯৯২) ও চ্যাম্পিয়নস ট্রফি (২০১৭) জেতা দল এখন নিজেদের ছায়া হয়ে পড়েছে।

ধারাবাহিক ব্যর্থতার সঙ্গে যোগ হয়েছে ক্যাপ্টেন-কোচ বদল এবং ব্যবস্থাপনায় অস্থিরতা। মাঠের খারাপ পারফরম্যান্সের সরাসরি প্রভাব পড়ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এই প্রেক্ষাপটে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) জরুরি বৈঠক ডাকে। তিন ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠকে দলের পারফরম্যান্স উন্নয়নে নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পিসিবি চেয়ারম্যান মোহসিন নকভি, বোর্ড অব গভর্নরসের সদস্য এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বিভাগের কর্মকর্তারা।

কী আলোচনা হলো বৈঠকে?

পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক ডন জানিয়েছে, বৈঠকে একাধিক বিষয় উঠে আসে। দলের ক্রমাবনতি নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বিভাগের জবাবদিহি চাওয়া হয়।

তবে তারা পাল্টা যুক্তি দিয়ে জানায়, ২০২১ সাল থেকে চার জন চেয়ারম্যান দায়িত্ব পালন করেছেন, রামিজ রাজা, নাজম শেঠি, জাকা আশরাফ এবং বর্তমানে মোহসিন নকভি। প্রত্যেক চেয়ারম্যানই আলাদা পরিকল্পনা ও রদবদল করেছেন, যার প্রভাব পড়েছে মাঠের পারফরম্যান্সে।

এ ছাড়া আলোচনায় উঠে আসে পিসিবির দ্বিপাক্ষিক সিরিজ সীমিত রাখার নীতি। এতদিন ধরে কেবল দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলার সিদ্ধান্ত কার্যকর ছিল।

বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, আগের ধারা ফিরিয়ে আনা হবে। অর্থাৎ একটি পূর্ণাঙ্গ সিরিজে তিন টেস্ট, তিন ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ আয়োজন করা হবে।

কেন এ অবস্থায় পাকিস্তান ক্রিকেট?

বিশ্লেষকদের মতে, ব্যবস্থাপনায় অস্থিরতা ও পরিকল্পনার ঘাটতিই পাকিস্তানের এই অধঃপতনের প্রধান কারণ। ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে তারা গ্রুপপর্বেই বিদায় নেয়।

এরপর ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও একই পরিণতি হয়। সর্বশেষ পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও নিজেদের মাঠে গ্রুপপর্ব পার হতে ব্যর্থ হয় বাবর-শাহিনরা।

আরেকটি বড় সংকট হলো তারকা ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সে ভাটা। যারা একসময় দলের ভরসা ছিলেন, তারা কেউই এবারের পিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তির ‘এ’ ক্যাটাগরিতে জায়গা পাননি।