বাঁহাতি স্পিনার নোমান আলীর ক্যারিয়ার সেরা বোলিং (ম্যাচে ১০ উইকেট) নৈপুণ্যে লাহোর টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৮৩ রানে অলআউট করে দুর্দান্ত এক জয় তুলে নিল পাকিস্তান। এই জয়ে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।
২৭৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আজ (চতুর্থ দিনে) ৯৩ রান আগেই গুটিয়ে যায় প্রোটিয়াদের দ্বিতীয় ইনিংস। নোমান আলীর (৪/৭৩) সঙ্গে ৪টি উইকেট নিয়েছেন শাহিন শাহ আফ্রিদিও (৪/৩৩)।
পাকিস্তানের মাটিতে লাল বলের ম্যাচে সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড গড়ার চ্যালেঞ্জ নিয়ে নামলেও ১৮৩ রানের বেশি করতে পারেনি সফরকারীরা।
স্পিন সহায়ক উইকেটে তৃতীয় দিন শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন ছিল ২২৬ রান। আজ দিনের তৃতীয় বলেই আগের ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান টনি ডি জর্জিকে সাজঘরে পথ দেখান আফ্রিদি।
এরপর চার রানের মাথায় নোমানের বলে সালমান আলী আঘার হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ত্রিস্তান স্টাবস। ৫৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকা।
সেখান থেকে রায়ানের রিকেলটন ও ডেওয়াল্ড ব্রেভিসের ৭৩ রানের জুটি কিছুটা আশা জাগালেও, ব্রেভিসকে (৫৪) এক জাদুকরী স্পিনে বোল্ড করেন নোমান আলী।
এ উইকেট নিয়েই ম্যাচে ১০ উইকেটের কীর্তি গড়েন ৩৯ বছর বয়সী নোমান। ২০ টেস্টের ক্যারিয়ারে এটি তার তৃতীয়বার ১০ উইকেট নেওয়ার নজির।
ব্রেভিসের প্রস্থানের পরই সফরকারীদের আশা কার্যত শেষ হয়ে যায়। ওপেনিংয়ে নামা রিকেলটনকে (৪৫) থামান সাজিদ খান। বাকি তিনটি উইকেটই নিজের খাতায় লেখেন শাহিন আফ্রিদি।
৩৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে চতুর্থ ইনিংসে এটিই এ বাঁহাতি পেসারের সেরা বোলিং। স্রেফ ১৭ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে শেষ হয় দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান: ৩৭৮ ও ১৬৭ (বাবর ৪২, শফিক ৪১; মুথুসামি ৫-৫৭, হারমার ৪-৫১)
দক্ষিণ আফ্রিকা: ২৬৯ ও ১৮৩ (ব্রেভিস ৫৪, রিকেলটন ৪৫; আফ্রিদি ৪-৩৩, নোমান ৪-৭৯)
ম্যাচসেরা: নোমান আলী